নিজস্ব প্রতিবেদক :
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতির কথা দিল্লিকে জানিয়েছে ঢাকা। পশ্চিমাদের মতো ভোট নিয়ে মাথাব্যথা নেই তাদের। সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশন ও সরকারের প্রস্তুতিতে আস্থা রাখছে দেশটি। ভারত কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলবে না, তারা জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন চায়।
শুক্রবার দিল্লিতে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে দেশে ফিরে রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, নির্বাচন নিয়ে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি অবস্থান অপ্রত্যাশিত। বাংলাদেশের নির্বাচন দেখতে আসতে আগ্রহী দেখিয়েছে ৯০টি দেশের প্রতিনিধিরা।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও নাশকতায় ব্যবহার করা যেতে পারে, এমন পণ্যের চোরাচালান বন্ধে দেশটিকে অনুরোধ করেছে সরকার।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এটা আমি মন্তব্য করতে চাই না। বাংলাদেশে কী হচ্ছে না হচ্ছে, সেটা নিয়ে আমরা বলতে পারি। তৃতীয় বা চতুর্থ দেশ তাদের মধ্যে কী আলাপ-আলোচনা করছে, এটা আমাদের জন্য খুব একটা… বিষয়টা অনভিপ্রেত বলা যায়। আমরা আলোচনা করতে চাই না।
ঢাকা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে না চাইলেও যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পাল্টাপাল্টি অবস্থান তো বাংলাদেশ নিয়েই এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এর আগে চীনকেও দেখেছি আলোচনা করতে। আমরা তো কারও কাছে মন্তব্য করতে সলিসিট (অনুরোধ) করিনি।
বৈঠকে পি কে হালদারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না-জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, পি কে হালদারের ব্যাপারে আমরা বলেছি। কিন্তু তারা বলেছে, এটা একটা সাবজুডিস (বিচারধীন)। তাদের এখনো এটার বিচার প্রক্রিয়া চলছে, সেজন্য জন্য আমাদের যে অনুরোধ, সেটা তাদের বিবেচনায় আছে। যেহেতু বিচারধীন তারা এটা নিয়ে বেশি আলোচনা করতে চায় না।
বৈঠকে ভারতে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের দেশে ফেরানো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।