Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনের নামে পাতানো ফাঁদে পা দেবে না ইসলামী আন্দোলন : চরমোনাই পীর

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হলে নির্বাচনের নামে পাতানো ফাঁদে পা দেবে না বলে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করিম রহ. কখনো অন্যায়ের সামনে মাথা নত করেননি। যত বড় বাধার পাহাড় নেমে আসুক না কেন, সত্যের পথ থেকে তিনি কখনো বিচ্যুত হননি। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হলে নির্বাচনের নামে পাতানো ফাঁদে ইসলামী আন্দোলন পা দেবে না। আমরাও অন্যায়ের সাথে কখনোই আপস করব না ইনশাআল্লাহ।

চরমোনাই পীর বলেন, বস্তুবাদী রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রদানে আদর্শিক জনশক্তি উৎপাদনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। আমাদের স্লোগান হচ্ছে- সাহাবাদের অনুসরণ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন। তাই সাহাবাদের চরিত্রে মানব জীবন গঠন করার লক্ষ্য উদ্দেশ্য থেকে কখনোই দূরে সরা যাবে না।

সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বস্তুবাদী রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রদানে আদর্শিক জনশক্তি উৎপাদনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন।

তিনি বলেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে আমরা দেখেছি দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। তাই এই নির্বাচনও দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু হবে না। আমরা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। একইসাথে চরমোনাই পীর দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর অসত্য বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফিলিস্তিনের পক্ষের ভূমিকাসমূহ জানেন না। অথচ আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে সব সময়ই সোচ্চার ছিলাম। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’ উঠিয়ে দেয়ার প্রতিবাদ করে বলেন, এই সরকার ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছে তারাই অন্যদের ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলা নিয়ে সমালোচনা করছে। যা খুবই হাস্যকর।

অন্যদের মধ্যে ছাত্র গণজমায়েতের বিশেষ অতিথি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেন, অন্যান্য সংগঠনে নেতৃত্ব প্রদানের পূর্বের যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয়- কে কত সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত, কে কেন্দ্র দখল করতে পারবে, চাঁদাবাজি ও মাদকের সাম্রাজ্য গঠন করতে পারবে। কিন্তু ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের দায়িত্ব প্রদানের পূর্বে যাচাই করা হয় জ্ঞান এবং সৎকর্ম। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সবসময় আদর্শিক, নৈতিক শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়নে সচেতন ভূমিকা ও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে সমাজসেবা ও দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করছে তারা।

এছাড়া সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, সংসদ নির্বাচনে নায়ক, গায়ক ও খেলোয়াড়দের নমিনেশন দিয়ে জাতীয় সংসদকে তামাশার মঞ্চে পরিণত করেছে আওয়ামী সরকার। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করার যে পাঁয়তারা, তা ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই সহ্য করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

শরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সংগ্রামী আমিরের নেতৃত্বে জুলুমের বিরুদ্ধে, মাজলুমের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার সাকি, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রমুখ।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৮টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের কার্যক্রম শেষ হবে বলে জানিয়েছেন মাহফিল মিডিয়া কমিটির সদস্য এইচ এম সানাউল্লাহ।

আবহাওয়া

নির্বাচনের নামে পাতানো ফাঁদে পা দেবে না ইসলামী আন্দোলন : চরমোনাই পীর

প্রকাশের সময় : ০৮:৩৪:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হলে নির্বাচনের নামে পাতানো ফাঁদে পা দেবে না বলে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করিম রহ. কখনো অন্যায়ের সামনে মাথা নত করেননি। যত বড় বাধার পাহাড় নেমে আসুক না কেন, সত্যের পথ থেকে তিনি কখনো বিচ্যুত হননি। সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হলে নির্বাচনের নামে পাতানো ফাঁদে ইসলামী আন্দোলন পা দেবে না। আমরাও অন্যায়ের সাথে কখনোই আপস করব না ইনশাআল্লাহ।

চরমোনাই পীর বলেন, বস্তুবাদী রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রদানে আদর্শিক জনশক্তি উৎপাদনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। আমাদের স্লোগান হচ্ছে- সাহাবাদের অনুসরণ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন। তাই সাহাবাদের চরিত্রে মানব জীবন গঠন করার লক্ষ্য উদ্দেশ্য থেকে কখনোই দূরে সরা যাবে না।

সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বস্তুবাদী রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রদানে আদর্শিক জনশক্তি উৎপাদনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন।

তিনি বলেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে আমরা দেখেছি দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। তাই এই নির্বাচনও দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু হবে না। আমরা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। একইসাথে চরমোনাই পীর দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নিয়ে তথ্যমন্ত্রীর অসত্য বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফিলিস্তিনের পক্ষের ভূমিকাসমূহ জানেন না। অথচ আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে সব সময়ই সোচ্চার ছিলাম। তিনি আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাংলাদেশের পাসপোর্ট থেকে ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’ উঠিয়ে দেয়ার প্রতিবাদ করে বলেন, এই সরকার ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছে তারাই অন্যদের ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলা নিয়ে সমালোচনা করছে। যা খুবই হাস্যকর।

অন্যদের মধ্যে ছাত্র গণজমায়েতের বিশেষ অতিথি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ বলেন, অন্যান্য সংগঠনে নেতৃত্ব প্রদানের পূর্বের যোগ্যতা হিসেবে দেখা হয়- কে কত সন্ত্রাসী কার্যক্রমে যুক্ত, কে কেন্দ্র দখল করতে পারবে, চাঁদাবাজি ও মাদকের সাম্রাজ্য গঠন করতে পারবে। কিন্তু ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের দায়িত্ব প্রদানের পূর্বে যাচাই করা হয় জ্ঞান এবং সৎকর্ম। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সবসময় আদর্শিক, নৈতিক শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়নে সচেতন ভূমিকা ও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে সমাজসেবা ও দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করছে তারা।

এছাড়া সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, সংসদ নির্বাচনে নায়ক, গায়ক ও খেলোয়াড়দের নমিনেশন দিয়ে জাতীয় সংসদকে তামাশার মঞ্চে পরিণত করেছে আওয়ামী সরকার। আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করার যে পাঁয়তারা, তা ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই সহ্য করবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

শরিফুল ইসলাম রিয়াদ বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সংগ্রামী আমিরের নেতৃত্বে জুলুমের বিরুদ্ধে, মাজলুমের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার সাকি, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম প্রমুখ।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৮টায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের কার্যক্রম শেষ হবে বলে জানিয়েছেন মাহফিল মিডিয়া কমিটির সদস্য এইচ এম সানাউল্লাহ।