Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনকে সামনে মাঠে নামছে ৮০২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১০:২১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
  • ২০৪ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ইসির পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়ার কথা জানা গেছে।

নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনার্থে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে ৩০০ নির্বাচনী এলাকায় ২৮ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।

আরও জানা গেছে, আগের মতো বৃহস্পতিবারের চিঠিতেও আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৯ দিনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাঠে থাকতে বলা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন বা পরিস্থিতির অবনতি হলে তারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ইসি জানিয়েছে, ভোটের আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হবে। এছাড়া সেনাবাহিনী নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ার প্রয়োজন হবে। তখন আরও বেশি সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবে। এখন বেশি সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নামানোর মতো অবস্থা নেই।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার পাঠানো ইসির চিঠিতে কমবেশি ৮০২ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। এতে প্রতিটি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। যেসব উপজেলায় ১৫টির বেশি ইউনিয়ন রয়েছে সেখানে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট দিতে বলা হয়েছে। এই হিসাবে উপজেলা পর্যায়ে ৫২৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট ও পৌরসভা পর্যায়ে ২১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে ঢাকা উত্তরে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণে ১৫ জন, চট্টগ্রামে ১০ জন, খুলনায় ৬ জন, গাজীপুরে ৪ জন এবং অন্যান্য সিটি করপোরেশনে তিনজন করে মোট ৬৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে চিঠি দেয় ইসি। ওই চিঠিতে ন্যূনতম প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একজন এবং প্রতিটি পৌরসভার জন্য তিনজন ও বড় পৌরসভার জন্য চারজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে বলা হয়। সিটি করপোরেশনভুক্ত নির্বাচনি আসনগুলোতে প্রতি চার থেকে পাঁচটি ওয়ার্ড এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চ প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে বলা হয়। ওই হিসাবে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হলে প্রায় দুই হাজার ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজন হতো। নতুন চিঠিতে তা কমিয়ে ৮২০ জনে নামাল ইসি।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরীখে বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শক্রমে ডিসিরা উল্লেখিত ম্যাজিস্ট্রেটদের সংখ্যার কম-বেশি করতে পারবেন। তাছাড়া প্রত্যেক জেলায় ডিসির অধীনে ১ বা ২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত হিসাবে নিয়োজিত রাখতে হবে; যাতে জরুরি প্রয়োজনে যেকোনো স্থানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

গত ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নির্বাচনকে সামনে মাঠে নামছে ৮০২ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

প্রকাশের সময় : ১০:২১:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ইসির পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়ার কথা জানা গেছে।

নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনার্থে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে ৩০০ নির্বাচনী এলাকায় ২৮ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।

আরও জানা গেছে, আগের মতো বৃহস্পতিবারের চিঠিতেও আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৯ দিনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাঠে থাকতে বলা হয়েছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন বা পরিস্থিতির অবনতি হলে তারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। ইসি জানিয়েছে, ভোটের আগেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হবে। এছাড়া সেনাবাহিনী নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ার প্রয়োজন হবে। তখন আরও বেশি সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবে। এখন বেশি সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে নামানোর মতো অবস্থা নেই।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বৃহস্পতিবার পাঠানো ইসির চিঠিতে কমবেশি ৮০২ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। এতে প্রতিটি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। যেসব উপজেলায় ১৫টির বেশি ইউনিয়ন রয়েছে সেখানে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট দিতে বলা হয়েছে। এই হিসাবে উপজেলা পর্যায়ে ৫২৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট ও পৌরসভা পর্যায়ে ২১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে ঢাকা উত্তরে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণে ১৫ জন, চট্টগ্রামে ১০ জন, খুলনায় ৬ জন, গাজীপুরে ৪ জন এবং অন্যান্য সিটি করপোরেশনে তিনজন করে মোট ৬৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে চিঠি দেয় ইসি। ওই চিঠিতে ন্যূনতম প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একজন এবং প্রতিটি পৌরসভার জন্য তিনজন ও বড় পৌরসভার জন্য চারজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে বলা হয়। সিটি করপোরেশনভুক্ত নির্বাচনি আসনগুলোতে প্রতি চার থেকে পাঁচটি ওয়ার্ড এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চ প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে বলা হয়। ওই হিসাবে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হলে প্রায় দুই হাজার ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের প্রয়োজন হতো। নতুন চিঠিতে তা কমিয়ে ৮২০ জনে নামাল ইসি।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরীখে বিভাগীয় কমিশনারের পরামর্শক্রমে ডিসিরা উল্লেখিত ম্যাজিস্ট্রেটদের সংখ্যার কম-বেশি করতে পারবেন। তাছাড়া প্রত্যেক জেলায় ডিসির অধীনে ১ বা ২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত হিসাবে নিয়োজিত রাখতে হবে; যাতে জরুরি প্রয়োজনে যেকোনো স্থানে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

গত ১৫ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।