Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোবেলকে বিয়ের কথা অস্বীকার করলেন আরশি

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৯৩ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

গান গেয়ে যতটা আলোচনায় এসেছেন, তারচেয়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে বেশি আলোচনায় এসেছেন সংগীতশিল্পী মইনুল আহসান নোবেল। কয়েকদিন আগে ফেসবুকে নোবেল তার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দিয়ে আবারও আলোচনায় আসেন। এতে তিনি জানিয়েছেন ফারজান আরশির সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে।

কিন্তু সপ্তাহ পার হতে না হতেই এ প্রসঙ্গে ফারজান আরশি বক্তব্য না দিলেও বুধবার (২২ নভেম্বর) ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। এতে তিনি নোবেলের সঙ্গে তার বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

দীর্ঘ ওই স্ট্যাটাসে আরশি লিখেছেন, আমি ফারজান আরশি। আপনাদের যাকে নিয়ে অনেক কৌতূহল। এখন এমন একটা পরিস্থিতিতে আছি যে আমার সবকিছু স্বাভাবিক নেই। আমি মানসিকভাবে অনেক ভেঙে পড়েছি তারপরও আপনাদের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করছি সবকিছু ক্লিয়ার করার জন্য। আমি খুলনায় বিভিন্ন ব্লগ করে থাকি, সেজন্য একটি ভিডিও কনটেন্ট বানানোর উদ্দেশ্যে নোবেলের বাড়ি গোপালগঞ্জ যাই। আমার সঙ্গে আমার এক বান্ধবীও ছিল। ওখানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যায়। নোবেল তার মায়ের সামনেই আমার গলায় ছুরি ধরে এবং আমার ফোনটি কেড়ে নেয় এবং জোর করে আমাকে ঢাকায় তার বাসায় নিয়ে যায়। আমাকে বিভিন্ন ড্রাগ জোর করে সেবন করায় এবং মারধর করে। আমি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

এরপর তিনি লেখেন, পরে ডেমরা থানায় আমাকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে একটা জিডি করায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে আমার বাবা এবং কাজিন উদ্ধার করতে গেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি নোবেলের কথামতো ভয়ে পুলিশকেও মিথ্যে বলি তখন আমার শরীরে ড্রাগ পুশ করা ছিল। পরে গোপালগঞ্জ থেকে আমার পরিবার আমাকে উদ্ধার করে।

আরশি আরও লিখেছেন, নোবেল জোর করে নেশা করিয়ে আমাকে দিয়ে উক্ত ছবিগুলা তুলেছে। নোবেলের সাথে আমার কোনোপ্রকার বিয়ে হয়নি এবং কোনো সম্পর্কও নেই। আমি পরিবেশ এবং পরিস্থিতির স্বীকার।

সর্বশেষে লিখেছেন, আমি এবং আমার পরিবার খুব ভয়ভীতির মধ্যে আছি। আমি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাচ্ছি। আমি একজন মেয়ে। আমার পরিবার নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চাই।

জিডির বিষয়ে ঢাকা মহানগর ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বেশ ক’দিন আগে ফারজান আরশির বাবা থানায় এসে মৌখিভাবে জানান তার মেয়েকে গায়ক নোবেল জোর করে তুলে এনেছেন। তবে তিনি লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। পরে ফারজানা আরশি এসে জানান, তার বয়স ২২ বছর তাকে নোবেল জোর করে তুলে আনেনি। তিনি স্বেচ্ছায় নোবেলের সঙ্গে এসেছে। কিন্তু উভয় পক্ষের কেউ আমাদের কাছে লিখিত কিছু জানাননি।

পরে ফারজান আরশির আজকের স্ট্যাটাসে নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সূত্র ধরে কোনো ব্যবস্থা পুলিশ নেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অবশ্যই আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।

এর আগে গত সোমবার আরশির সঙ্গে ফেসবুকে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে নোবেল দাবি করেন, তাকে বিয়ে করেছেন তিনি। যদিও কবে বিয়ে করেছেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আরশি এর আগেও একটি বিয়ে করেছেন। তার স্বামী একজন ফুড ব্লগার। গত বছরই বিয়ে হয়েছিল তাদের। নোবেলের সঙ্গে আরশির একাধিক ছবি ফাঁসের পর আরশির প্রথম সংসার নিয়েও আলোচনা চলছে। যদিও সেই সংসারে তার বিচ্ছেদ হয়েছে কি না সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

নোবেলকে বিয়ের কথা অস্বীকার করলেন আরশি

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৮:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : 

গান গেয়ে যতটা আলোচনায় এসেছেন, তারচেয়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে বেশি আলোচনায় এসেছেন সংগীতশিল্পী মইনুল আহসান নোবেল। কয়েকদিন আগে ফেসবুকে নোবেল তার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দিয়ে আবারও আলোচনায় আসেন। এতে তিনি জানিয়েছেন ফারজান আরশির সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে।

কিন্তু সপ্তাহ পার হতে না হতেই এ প্রসঙ্গে ফারজান আরশি বক্তব্য না দিলেও বুধবার (২২ নভেম্বর) ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। এতে তিনি নোবেলের সঙ্গে তার বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

দীর্ঘ ওই স্ট্যাটাসে আরশি লিখেছেন, আমি ফারজান আরশি। আপনাদের যাকে নিয়ে অনেক কৌতূহল। এখন এমন একটা পরিস্থিতিতে আছি যে আমার সবকিছু স্বাভাবিক নেই। আমি মানসিকভাবে অনেক ভেঙে পড়েছি তারপরও আপনাদের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করছি সবকিছু ক্লিয়ার করার জন্য। আমি খুলনায় বিভিন্ন ব্লগ করে থাকি, সেজন্য একটি ভিডিও কনটেন্ট বানানোর উদ্দেশ্যে নোবেলের বাড়ি গোপালগঞ্জ যাই। আমার সঙ্গে আমার এক বান্ধবীও ছিল। ওখানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যায়। নোবেল তার মায়ের সামনেই আমার গলায় ছুরি ধরে এবং আমার ফোনটি কেড়ে নেয় এবং জোর করে আমাকে ঢাকায় তার বাসায় নিয়ে যায়। আমাকে বিভিন্ন ড্রাগ জোর করে সেবন করায় এবং মারধর করে। আমি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

এরপর তিনি লেখেন, পরে ডেমরা থানায় আমাকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে একটা জিডি করায়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে আমার বাবা এবং কাজিন উদ্ধার করতে গেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি নোবেলের কথামতো ভয়ে পুলিশকেও মিথ্যে বলি তখন আমার শরীরে ড্রাগ পুশ করা ছিল। পরে গোপালগঞ্জ থেকে আমার পরিবার আমাকে উদ্ধার করে।

আরশি আরও লিখেছেন, নোবেল জোর করে নেশা করিয়ে আমাকে দিয়ে উক্ত ছবিগুলা তুলেছে। নোবেলের সাথে আমার কোনোপ্রকার বিয়ে হয়নি এবং কোনো সম্পর্কও নেই। আমি পরিবেশ এবং পরিস্থিতির স্বীকার।

সর্বশেষে লিখেছেন, আমি এবং আমার পরিবার খুব ভয়ভীতির মধ্যে আছি। আমি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাচ্ছি। আমি একজন মেয়ে। আমার পরিবার নিয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে চাই।

জিডির বিষয়ে ঢাকা মহানগর ডেমরা জোনের সহকারী কমিশনার মধুসূদন দাশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বেশ ক’দিন আগে ফারজান আরশির বাবা থানায় এসে মৌখিভাবে জানান তার মেয়েকে গায়ক নোবেল জোর করে তুলে এনেছেন। তবে তিনি লিখিত কোনো অভিযোগ করেননি। পরে ফারজানা আরশি এসে জানান, তার বয়স ২২ বছর তাকে নোবেল জোর করে তুলে আনেনি। তিনি স্বেচ্ছায় নোবেলের সঙ্গে এসেছে। কিন্তু উভয় পক্ষের কেউ আমাদের কাছে লিখিত কিছু জানাননি।

পরে ফারজান আরশির আজকের স্ট্যাটাসে নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সূত্র ধরে কোনো ব্যবস্থা পুলিশ নেবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অবশ্যই আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।

এর আগে গত সোমবার আরশির সঙ্গে ফেসবুকে কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে নোবেল দাবি করেন, তাকে বিয়ে করেছেন তিনি। যদিও কবে বিয়ে করেছেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আরশি এর আগেও একটি বিয়ে করেছেন। তার স্বামী একজন ফুড ব্লগার। গত বছরই বিয়ে হয়েছিল তাদের। নোবেলের সঙ্গে আরশির একাধিক ছবি ফাঁসের পর আরশির প্রথম সংসার নিয়েও আলোচনা চলছে। যদিও সেই সংসারে তার বিচ্ছেদ হয়েছে কি না সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।