যশোর জেলা প্রতিনিধি :
যশোরের কেশবপুরে ১২ দিন বয়সী যমজ শিশুকে বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাদের মায়ের বিরুদ্ধে। স্বামী আবু বকরের সঙ্গে কলহের জেরে সুলতানা খাতুন (৩৫) নামে ওই নারী এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ঘটনায় শিশুদের মা সুলতানা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে পৌর সদরের সাহাপাড়া নতুন মসজিদের পাশ্ববর্তী একটি ডোবা থেকে শিশু দু’টির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্তান হত্যার কথা স্বীকার করেছে ওই নারী। স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক কলহের জেরে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মা নিজে হাতে যমজ সন্তানদের বাড়ির পেছনের ডোবায় ফেলে হত্যা করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
প্রতিবেশীরা জানান, পৌর সদরের সাহাপাড়া নতুন মসজিদ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফ হাওলাদারের মেয়ে সুলতানা খাতুন (৩৫) ও জামাতা আবু বক্কর তার বাড়িতে বসবাস করেন। গত ১০ নভেম্বর সুলতানা জমজ সন্তান প্রসব করেন। এরমধ্যে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে ছিল। তবে পারিবারিকভাবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। মঙ্গলবার রাতে ওই বাড়ির পেছনের একটি ডোবায় ফেলে শিশু দুটিকে হত্যা করা হয়। মৃতদেহ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা জানতে পেরে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসাইন, থানার ওসি জহিরুল আলম ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসাইন সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশুদের মা সুলতানা খাতুন হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছেন। ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।