Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচে জয়ের হাসি হাসল আর্জেন্টিনা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:২৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৮৬ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

মাঠ, গ্যালারি দুই জায়গায়ই ছিল সমান উত্তাপ। তবে সব ছাপিয়ে সুপার ক্লাসিকোয় জয়ের হাসি হাসল আর্জেন্টিনা। ম্যাচের আগে গ্যালারিতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন সমর্থকরা। আর্জেন্টিনার সমর্থকদের পুলিশের লাঠিপেঠা থেকে বাঁচাতে গ্যালারিতে ছুটে যান ফুটবলররা, লিওনেল মেসির ইশারায় তারা ফিরে যান ড্রেসিংরুমেও।

বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে ব্রাজিলকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে আলবেসেলিস্তরা। মারাকানার ম্যাচটিতে জয়সূচক গোলটি করেন নিকোলাস ওয়ামেন্ডি।

মারাকানা স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হওয়ার আগেই দাঙ্গা। দর্শকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ। এমন বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, কল্পনাই করেননি আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা। ম্যাচ শুরু হলো ২৫ মিনিট পর। কিন্তু মাঠেও চললো দাঙ্গা-হাঙ্গামা। ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা শুরু থেকে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের ওপর চড়াও। ৪৫ মিনিট শেষে কোনও দল গোল পায়নি। তবে ফাউল হয়েছে ২২টি, তার মধ্যে ব্রাজিলই করেছে ১৬টি! পুরো ম্যাচে ৪২টি ফাউল হয়েছে, ২৬টিই স্বাগতিকদের।

খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায়। কিন্তু অপ্রীতিকর পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় আধঘণ্টা পর মাঠে নামেন ফুটবলাররা। ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম গ্লোবো সূত্রে জানা গেছে, ঝামেলার সূত্রপাত আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীত বাজার সময় ব্রাজিলের সমর্থকরা দুয়ো দেওয়া থেকে। গ্যালারিতে দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়। গ্যালারির এক অংশে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ওপর পুলিশ মারমুখী হয়ে উঠলে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। পরে তারা টানেলের দিকে চলে যান। অবশ্য ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের মাঠেই অনুশীলন করতে দেখা যায়।

দুই বছর আগে সর্বশেষ ব্রাজিলে খেলতে গিয়ে না খেলেই ফিরে এসেছিল আর্জেন্টিনা। সেবার সাও পাওলোতে ম্যাচ শুরুর কয়েক মিনিট পর ব্রাজিলের জাতীয় স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ এজেন্সির (আনভিসা) কর্মকর্তারা মাঠে ঢুকে খেলা পণ্ড করেন। আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড়ের বিপক্ষে কোয়ারেন্টিন বিধিমালা ভাঙার অভিযোগে ম্যাচটি খেলতে দেননি তাঁরা।

ভিন্ন কারণে আজ ফের ব্রাজিলের মাটিতে পণ্ড হতে বসেছিল আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সুপার ক্লাসিকোর ম্যাচ। ম্যাচ শুরুর কয়েক মিনিট আগে গ্যালারিতে উত্তাপের সূচনা। জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় আর্জেন্টিনা সমর্থকেরা দুয়ো দিলে তাদের ওপর আসন ছুড়ে মারতে শুরু করে ব্রাজিলের সমর্থকেরা। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ। লিওনেল মেসিসহ আর্জেন্টিনা দল এবং মার্কিনিওস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। যদিও তাতে কোনো লাভ হয়নি। একপর্যায়ে সতীর্থদের নিয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান মেসি। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ম্যাচ শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের প্রায় আধা ঘণ্টা পর।

ম্যাচের দুই মিনিটের মাথায় একক প্রচেষ্টায় চমকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রাফিনিয়া। তবে রেফারি অফসাইডের পতাকা তোলায় থামতে হয়। ম্যাচের ৬ মিনিটে ‘রিবাউন্ড’ থেকে বল পান জেসুস। চেষ্টা করেন রদ্রিগো দি পলকে ড্রিবল করে এগিয়ে যেতে, কিন্তু তাঁর হাত গিয়ে লাগে দি পলের মুখে। ফলাফল ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন জেসুস। এ ঘটনায় দুই দলের মধ্যে আবার ছড়িয়ে পড়ে উত্তাপ। এর মধ্যেও অবশ্য ব্রাজিল চেষ্টা করে আক্রমণে গিয়ে সুযোগ তৈরি করতে। তবে ১৩ মিনিটে দি পলকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন রাফিনিয়া। প্রথম ১৮ মিনিটে এদিন ব্রাজিল ফাউল করে ৮টি।

সংঘাতপূর্ণ এ ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটে অন্তত ১০ খেলোয়াড়কে মাঠে গড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। ম্যাচের ২৬ মিনিটে গিয়ে প্রথমবারের মতো বল পায়ে আক্রমণে দেখা যায় মেসিকে। যদিও সেই আক্রমণে গোলের কোনো সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেননি ইন্টার মায়ামি তারকা। এরপর আরও কয়েকবার আক্রমণে গেলেও তাতে কোনো গোল আসেনি। ৩৩ মিনিটে অ্যালিসন বেকারের ট্রেডমার্ক পাস থেকে বল পেয়ে এগিয়ে যান গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। দারুণভাবে নাহুয়েল মলিনা ও দি পলকে ড্রিবল করলেও বক্সের কাছাকাছি গিয়ে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি।

৩৭ মিনিটে বক্সের কাছাকাছি জায়গায় ফ্রি কিক পায় ব্রাজিল। রাফিনিয়ার শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। প্রথমার্ধের শেষ দিকে গিয়ে আর্জেন্টিনা বক্সের কাছাকাছি জায়গায় বেশ হুমকি তৈরি করেন রদ্রিগো-জেসুসরা। ৪৪ মিনিটে মার্তিনেল্লির শট মার্তিনেজকে পেরিয়ে গেলেও গোললাইনের কাছাকাছি জায়গা থেকে ক্লিয়ার করেন এক আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার। প্রথমার্ধে সব মিলিয়ে ২২টি ফাউল করেছে দুই দল। যেখানে ব্রাজিলের ১৬টি ফাউলের বিপরীতে আর্জেন্টিনার ফাউল ছিল ৬টি।

দ্বিতীয়ার্ধেও আর্জেন্টিনার অর্ধে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখে ব্রাজিল। একাধিকবার আক্রমণে গিয়ে সুযোগ তৈরিরও চেষ্টা করেছে তারা। যদিও রক্ষণদেয়াল ভাঙতে পারেনি তারা। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে মার্তিনেল্লির প্রচেষ্টা মার্তিনেজ দারুণভাবে ঠেকিয়ে না দিলে ম্যাচের প্রথম গোলটি পেয়েই গিয়েছিল ব্রাজিল। তবে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।

লো সেলসোর কর্নার থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন নিকোলাস ওতামেন্দি। গোলের পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল আর্জেন্টিনারই দখলে। ৭৮ মিনিটে নিষ্প্রভ মেসিকে তুলে নিয়ে আনহেল দি মারিয়াকে নামায় আর্জেন্টিনা। ৮১ মিনিটে ব্রাজিলের বিপদ আরও বাড়ে জেয়েলিংটন লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে। ১০ জনের ব্রাজিল শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। বাছাই পর্বে টানা তৃতীয় হার নিয়ে মাঠ ছাড়ল ব্রাজিল। এদিন গোলে পিছিয়ে থাকলেও ফাউলে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। আর্জেন্টিনার ১৬ ফাউলের বিপরীতে ব্রাজিল ফাউল করেছে ২৬টি।

৬ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। ৬ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে নেমেছে ব্রাজিল। অন্য ম্যাচে বলিভিয়ার বিপক্ষে দারউইন নুনিয়েজের জোড়া গোলে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে উরুগুয়ে। প্যারাগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়েছে কলম্বিয়া। ইকুয়েডরের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে চিলি। ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উরুগুয়ে। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে কলম্বিয়া। ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে ইকুয়েডর।

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচে জয়ের হাসি হাসল আর্জেন্টিনা

প্রকাশের সময় : ১২:২৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

মাঠ, গ্যালারি দুই জায়গায়ই ছিল সমান উত্তাপ। তবে সব ছাপিয়ে সুপার ক্লাসিকোয় জয়ের হাসি হাসল আর্জেন্টিনা। ম্যাচের আগে গ্যালারিতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন সমর্থকরা। আর্জেন্টিনার সমর্থকদের পুলিশের লাঠিপেঠা থেকে বাঁচাতে গ্যালারিতে ছুটে যান ফুটবলররা, লিওনেল মেসির ইশারায় তারা ফিরে যান ড্রেসিংরুমেও।

বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে ব্রাজিলকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে আলবেসেলিস্তরা। মারাকানার ম্যাচটিতে জয়সূচক গোলটি করেন নিকোলাস ওয়ামেন্ডি।

মারাকানা স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হওয়ার আগেই দাঙ্গা। দর্শকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ। এমন বাজে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে, কল্পনাই করেননি আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা। ম্যাচ শুরু হলো ২৫ মিনিট পর। কিন্তু মাঠেও চললো দাঙ্গা-হাঙ্গামা। ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা শুরু থেকে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের ওপর চড়াও। ৪৫ মিনিট শেষে কোনও দল গোল পায়নি। তবে ফাউল হয়েছে ২২টি, তার মধ্যে ব্রাজিলই করেছে ১৬টি! পুরো ম্যাচে ৪২টি ফাউল হয়েছে, ২৬টিই স্বাগতিকদের।

খেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায়। কিন্তু অপ্রীতিকর পরিস্থিতির কারণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে প্রায় আধঘণ্টা পর মাঠে নামেন ফুটবলাররা। ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম গ্লোবো সূত্রে জানা গেছে, ঝামেলার সূত্রপাত আর্জেন্টিনার জাতীয় সংগীত বাজার সময় ব্রাজিলের সমর্থকরা দুয়ো দেওয়া থেকে। গ্যালারিতে দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়। গ্যালারির এক অংশে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ওপর পুলিশ মারমুখী হয়ে উঠলে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। পরে তারা টানেলের দিকে চলে যান। অবশ্য ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের মাঠেই অনুশীলন করতে দেখা যায়।

দুই বছর আগে সর্বশেষ ব্রাজিলে খেলতে গিয়ে না খেলেই ফিরে এসেছিল আর্জেন্টিনা। সেবার সাও পাওলোতে ম্যাচ শুরুর কয়েক মিনিট পর ব্রাজিলের জাতীয় স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ এজেন্সির (আনভিসা) কর্মকর্তারা মাঠে ঢুকে খেলা পণ্ড করেন। আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড়ের বিপক্ষে কোয়ারেন্টিন বিধিমালা ভাঙার অভিযোগে ম্যাচটি খেলতে দেননি তাঁরা।

ভিন্ন কারণে আজ ফের ব্রাজিলের মাটিতে পণ্ড হতে বসেছিল আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সুপার ক্লাসিকোর ম্যাচ। ম্যাচ শুরুর কয়েক মিনিট আগে গ্যালারিতে উত্তাপের সূচনা। জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় আর্জেন্টিনা সমর্থকেরা দুয়ো দিলে তাদের ওপর আসন ছুড়ে মারতে শুরু করে ব্রাজিলের সমর্থকেরা। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ। লিওনেল মেসিসহ আর্জেন্টিনা দল এবং মার্কিনিওস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। যদিও তাতে কোনো লাভ হয়নি। একপর্যায়ে সতীর্থদের নিয়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান মেসি। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ম্যাচ শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের প্রায় আধা ঘণ্টা পর।

ম্যাচের দুই মিনিটের মাথায় একক প্রচেষ্টায় চমকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন রাফিনিয়া। তবে রেফারি অফসাইডের পতাকা তোলায় থামতে হয়। ম্যাচের ৬ মিনিটে ‘রিবাউন্ড’ থেকে বল পান জেসুস। চেষ্টা করেন রদ্রিগো দি পলকে ড্রিবল করে এগিয়ে যেতে, কিন্তু তাঁর হাত গিয়ে লাগে দি পলের মুখে। ফলাফল ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন জেসুস। এ ঘটনায় দুই দলের মধ্যে আবার ছড়িয়ে পড়ে উত্তাপ। এর মধ্যেও অবশ্য ব্রাজিল চেষ্টা করে আক্রমণে গিয়ে সুযোগ তৈরি করতে। তবে ১৩ মিনিটে দি পলকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন রাফিনিয়া। প্রথম ১৮ মিনিটে এদিন ব্রাজিল ফাউল করে ৮টি।

সংঘাতপূর্ণ এ ম্যাচের প্রথম ২৫ মিনিটে অন্তত ১০ খেলোয়াড়কে মাঠে গড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে। ম্যাচের ২৬ মিনিটে গিয়ে প্রথমবারের মতো বল পায়ে আক্রমণে দেখা যায় মেসিকে। যদিও সেই আক্রমণে গোলের কোনো সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেননি ইন্টার মায়ামি তারকা। এরপর আরও কয়েকবার আক্রমণে গেলেও তাতে কোনো গোল আসেনি। ৩৩ মিনিটে অ্যালিসন বেকারের ট্রেডমার্ক পাস থেকে বল পেয়ে এগিয়ে যান গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। দারুণভাবে নাহুয়েল মলিনা ও দি পলকে ড্রিবল করলেও বক্সের কাছাকাছি গিয়ে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি।

৩৭ মিনিটে বক্সের কাছাকাছি জায়গায় ফ্রি কিক পায় ব্রাজিল। রাফিনিয়ার শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। প্রথমার্ধের শেষ দিকে গিয়ে আর্জেন্টিনা বক্সের কাছাকাছি জায়গায় বেশ হুমকি তৈরি করেন রদ্রিগো-জেসুসরা। ৪৪ মিনিটে মার্তিনেল্লির শট মার্তিনেজকে পেরিয়ে গেলেও গোললাইনের কাছাকাছি জায়গা থেকে ক্লিয়ার করেন এক আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার। প্রথমার্ধে সব মিলিয়ে ২২টি ফাউল করেছে দুই দল। যেখানে ব্রাজিলের ১৬টি ফাউলের বিপরীতে আর্জেন্টিনার ফাউল ছিল ৬টি।

দ্বিতীয়ার্ধেও আর্জেন্টিনার অর্ধে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখে ব্রাজিল। একাধিকবার আক্রমণে গিয়ে সুযোগ তৈরিরও চেষ্টা করেছে তারা। যদিও রক্ষণদেয়াল ভাঙতে পারেনি তারা। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে মার্তিনেল্লির প্রচেষ্টা মার্তিনেজ দারুণভাবে ঠেকিয়ে না দিলে ম্যাচের প্রথম গোলটি পেয়েই গিয়েছিল ব্রাজিল। তবে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।

লো সেলসোর কর্নার থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন নিকোলাস ওতামেন্দি। গোলের পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল আর্জেন্টিনারই দখলে। ৭৮ মিনিটে নিষ্প্রভ মেসিকে তুলে নিয়ে আনহেল দি মারিয়াকে নামায় আর্জেন্টিনা। ৮১ মিনিটে ব্রাজিলের বিপদ আরও বাড়ে জেয়েলিংটন লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে। ১০ জনের ব্রাজিল শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। বাছাই পর্বে টানা তৃতীয় হার নিয়ে মাঠ ছাড়ল ব্রাজিল। এদিন গোলে পিছিয়ে থাকলেও ফাউলে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। আর্জেন্টিনার ১৬ ফাউলের বিপরীতে ব্রাজিল ফাউল করেছে ২৬টি।

৬ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে আর্জেন্টিনা। ৬ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে নেমেছে ব্রাজিল। অন্য ম্যাচে বলিভিয়ার বিপক্ষে দারউইন নুনিয়েজের জোড়া গোলে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে উরুগুয়ে। প্যারাগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়েছে কলম্বিয়া। ইকুয়েডরের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে চিলি। ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উরুগুয়ে। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে কলম্বিয়া। ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে ইকুয়েডর।