Dhaka শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিএনপি মূলত যানবাহন পোড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, হরতাল-অবরোধের নামে বিএনপি মূলত যানবাহন পোড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আগামী নির্বাচনের পরে যদি আমরা সরকার গঠন করতে পারি, তাহলে আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে।

সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় ১৮ যানবাহনে আগুন দিয়েছে বিএনপি। অবরোধ-হরতাল কেউ মানছেন না। অবরোধ-হরতালের নামে বিএনপি মূলত গাড়িঘোড়া পোড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

তিনি বলেন, একটি স্কুলে আগুন দেওয়া হয়েছে। এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি না, এগুলো জঘন্য সন্ত্রাসী ও দেশবিরোধী অপতৎপরতা। তারা দেশ ও সমাজের শত্রুতে রূপান্তর হয়েছে। এরইমধ্যে যাদের ধরা হয়েছে, তারা বলেছে গাড়িতে আগুন দিলে দলের মধ্যে পদোন্নতি হয়। আগুন দেওয়ার ভিডিও ধারণ করে নেতাদের কাছে পাঠানো হয়। যোগাযোগ থাকলে তা লন্ডনেও পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, যে দলে গাড়িঘোড়ায় আগুন দিলে, মানুষ পুড়িয়ে মারলে পদোন্নতি হয়, যে দলের নেতারা গাড়িঘোড়া পোড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেন, তারা সবাই দুষ্কৃতকারী। আমরা এই আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। এ দেশে ইনশাআল্লাহ আগামী নির্বাচনের পরে যদি আমরা সরকার গঠন করতে পারি, আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে। এটিই হবে আমাদের প্রধান কাজ। নির্বাচনের আগেও তাদের নির্মূল করাই আমাদের প্রধান কাজ। কারণ, তারা দেশ-জাতি ও সমাজের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। নেতারাও সবাই দুষ্কৃতকারীতে রূপান্তরিত হয়েছে।

বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসুক, সেটা আমরা চাই। একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় থাকা। নির্বাচন বর্জন যে কেউ করতে পারেন, প্রতিহত করার এখতিয়ার কারও নেই। তবে আমরা সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে চাই। কেউ নির্বাচন করতে না চাইলে তাকে নিয়ে আসা সরকারের দায়িত্ব না।

টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা পদত্যাগ করেছেন। এরকম টেকনোক্র্যাটের বাইরে কোনো মন্ত্রীর পদত্যাগের সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত নির্বাচনকালীন সরকার বলে সংবিধানে কিছু নেই। যেহেতু তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, গতবারও যারা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ছিলেন, তারা পদত্যাগ করেছিলেন, এবারও যারা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আর বাকি যারা সরকারের সংসদ সদস্য, তাদের মন্ত্রী হিসেবে থাকতে কোনো বাধা নেই।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগৈলঝাড়ায় ছাতার কারিগরদের ব্যাপক কদর

বিএনপি মূলত যানবাহন পোড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৮:১৯:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, হরতাল-অবরোধের নামে বিএনপি মূলত যানবাহন পোড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আগামী নির্বাচনের পরে যদি আমরা সরকার গঠন করতে পারি, তাহলে আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে।

সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় ১৮ যানবাহনে আগুন দিয়েছে বিএনপি। অবরোধ-হরতাল কেউ মানছেন না। অবরোধ-হরতালের নামে বিএনপি মূলত গাড়িঘোড়া পোড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

তিনি বলেন, একটি স্কুলে আগুন দেওয়া হয়েছে। এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি না, এগুলো জঘন্য সন্ত্রাসী ও দেশবিরোধী অপতৎপরতা। তারা দেশ ও সমাজের শত্রুতে রূপান্তর হয়েছে। এরইমধ্যে যাদের ধরা হয়েছে, তারা বলেছে গাড়িতে আগুন দিলে দলের মধ্যে পদোন্নতি হয়। আগুন দেওয়ার ভিডিও ধারণ করে নেতাদের কাছে পাঠানো হয়। যোগাযোগ থাকলে তা লন্ডনেও পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, যে দলে গাড়িঘোড়ায় আগুন দিলে, মানুষ পুড়িয়ে মারলে পদোন্নতি হয়, যে দলের নেতারা গাড়িঘোড়া পোড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেন, তারা সবাই দুষ্কৃতকারী। আমরা এই আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। এ দেশে ইনশাআল্লাহ আগামী নির্বাচনের পরে যদি আমরা সরকার গঠন করতে পারি, আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে। এটিই হবে আমাদের প্রধান কাজ। নির্বাচনের আগেও তাদের নির্মূল করাই আমাদের প্রধান কাজ। কারণ, তারা দেশ-জাতি ও সমাজের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। নেতারাও সবাই দুষ্কৃতকারীতে রূপান্তরিত হয়েছে।

বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসুক, সেটা আমরা চাই। একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় থাকা। নির্বাচন বর্জন যে কেউ করতে পারেন, প্রতিহত করার এখতিয়ার কারও নেই। তবে আমরা সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে চাই। কেউ নির্বাচন করতে না চাইলে তাকে নিয়ে আসা সরকারের দায়িত্ব না।

টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা পদত্যাগ করেছেন। এরকম টেকনোক্র্যাটের বাইরে কোনো মন্ত্রীর পদত্যাগের সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত নির্বাচনকালীন সরকার বলে সংবিধানে কিছু নেই। যেহেতু তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, গতবারও যারা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ছিলেন, তারা পদত্যাগ করেছিলেন, এবারও যারা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আর বাকি যারা সরকারের সংসদ সদস্য, তাদের মন্ত্রী হিসেবে থাকতে কোনো বাধা নেই।