Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১০০ আসন ও ১০ মন্ত্রীর শর্তে নির্বাচনে যাবে জাতীয় পার্টি: মেয়র মোস্তফা

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : 

১০০ আসন ও ১০ মন্ত্রীর শর্তে নির্বাচনে যাবে জাতীয় পার্টি বলে জানিয়েছেন করেছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা, রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে কিংবা পাতানো নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নিবে না। মানুষ জাতীয় পার্টিকে ‘দালাল পার্টি’ বলে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় পার্টিকে দালালি করতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নেওয়ার সিড়ি বানানো যাবে না। যদি দালালি করতেই হয় তাহলে জাতীয় পার্টিকে ১০০ আসন, ১০ জন মন্ত্রী এবং রংপুরের ২২টি আসন দিতে হবে। না হলে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিবে না। এবার জাতীয় পার্টির কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিলে মাঠ পর্যায়ে আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না।

মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, আন্দোলন সংগ্রাম করলে জেল খাটতে হবে, রক্ত ঝরাতে হবে। এটি রাজনীতির অংশ। আমরা বিএনপির মত গলিতে আন্দোলন করবো না। আমরা পুরো রংপুরকে অচল করে দেব। আমি বঙ্গবন্ধুর মত বলে যাচ্ছি, যদি হুকুম দিতে নাও পারি কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মী, জেলা, উপজেলা, মহানগরের ওয়ার্ডের রাজপথে নেমে পড়বেন। আন্দোলনে অফিস আদালত সবকিছু বন্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, ঢাকায় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় মিটিংয়ে ৬৮ জন বক্তব্য দিয়েছেন, সবাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বলেছেন। কেউ আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোটের ভোট রয়েছে। সেইসঙ্গে জামাতের কিছু ভোট রয়েছে। এর মধ্যেই চারটি ভোট ব্যাংকের পার্টি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। আওয়ামী লীগ ভোটকে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য করতে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে নিতে চায়। এ জন্য এ মুহুর্তে জাতীয় পার্টির গুরুত্ব অনেক। তাই ভেবে চিন্তে আমাদের দলের চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নিবেন।
রসিক মেয়র বলেন, নির্বাচন কমিশনার থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্যান্য সবাই এ সরকারের হুকুমেই চলে। নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে অবশ্যই নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দরকার। যা বর্তমানে নেই। তাই নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না।

এবার নির্বাচন বন্ধে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত হলে রংপুর মহানগরের ৩৩টি ওয়ার্ডে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, বিএনপির মতো গ্রান্ড হোটেল মোড়স্থ খুপরি ঘরে বসে আন্দোলন করলে চলবে না। দেশের অন্য জেলায় কি হবে জানি না, আমাদের রংপুরে সবকিছু বন্ধ করে দিতে হবে। দূর্বার আন্দোলন গড়তে হবে।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জেলা যুব সংহতির সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মাসুদ নবী মুন্না, পীরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নূরে আলম যাদুসহ জেলা, উপজেলা, মহানগর, ওয়ার্ড কমিটি এবং অঙ্গসংগঠনসহ প্রায় ৪০ জন নেতা।

আবহাওয়া

সারাদেশের সব পোশাক কারখানা ৫ আগস্ট বন্ধ

১০০ আসন ও ১০ মন্ত্রীর শর্তে নির্বাচনে যাবে জাতীয় পার্টি: মেয়র মোস্তফা

প্রকাশের সময় : ০৭:৫১:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৩

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : 

১০০ আসন ও ১০ মন্ত্রীর শর্তে নির্বাচনে যাবে জাতীয় পার্টি বলে জানিয়েছেন করেছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা, রংপুর জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করে কিংবা পাতানো নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নিবে না। মানুষ জাতীয় পার্টিকে ‘দালাল পার্টি’ বলে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় পার্টিকে দালালি করতে দেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নেওয়ার সিড়ি বানানো যাবে না। যদি দালালি করতেই হয় তাহলে জাতীয় পার্টিকে ১০০ আসন, ১০ জন মন্ত্রী এবং রংপুরের ২২টি আসন দিতে হবে। না হলে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নিবে না। এবার জাতীয় পার্টির কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিলে মাঠ পর্যায়ে আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না।

মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, আন্দোলন সংগ্রাম করলে জেল খাটতে হবে, রক্ত ঝরাতে হবে। এটি রাজনীতির অংশ। আমরা বিএনপির মত গলিতে আন্দোলন করবো না। আমরা পুরো রংপুরকে অচল করে দেব। আমি বঙ্গবন্ধুর মত বলে যাচ্ছি, যদি হুকুম দিতে নাও পারি কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মী, জেলা, উপজেলা, মহানগরের ওয়ার্ডের রাজপথে নেমে পড়বেন। আন্দোলনে অফিস আদালত সবকিছু বন্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, ঢাকায় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় মিটিংয়ে ৬৮ জন বক্তব্য দিয়েছেন, সবাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বলেছেন। কেউ আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ঐক্যজোটের ভোট রয়েছে। সেইসঙ্গে জামাতের কিছু ভোট রয়েছে। এর মধ্যেই চারটি ভোট ব্যাংকের পার্টি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। আওয়ামী লীগ ভোটকে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য করতে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে নিতে চায়। এ জন্য এ মুহুর্তে জাতীয় পার্টির গুরুত্ব অনেক। তাই ভেবে চিন্তে আমাদের দলের চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত নিবেন।
রসিক মেয়র বলেন, নির্বাচন কমিশনার থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্যান্য সবাই এ সরকারের হুকুমেই চলে। নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে অবশ্যই নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দরকার। যা বর্তমানে নেই। তাই নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না।

এবার নির্বাচন বন্ধে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত হলে রংপুর মহানগরের ৩৩টি ওয়ার্ডে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, বিএনপির মতো গ্রান্ড হোটেল মোড়স্থ খুপরি ঘরে বসে আন্দোলন করলে চলবে না। দেশের অন্য জেলায় কি হবে জানি না, আমাদের রংপুরে সবকিছু বন্ধ করে দিতে হবে। দূর্বার আন্দোলন গড়তে হবে।

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি, সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জেলা যুব সংহতির সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মাসুদ নবী মুন্না, পীরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নূরে আলম যাদুসহ জেলা, উপজেলা, মহানগর, ওয়ার্ড কমিটি এবং অঙ্গসংগঠনসহ প্রায় ৪০ জন নেতা।