Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের স্যাংশন পাওয়া উচিত : কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি : 

আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশে এত দৌড়াদৌড়ি ভালো না বলে মন্তব্য করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, সংলাপ বিষয়ে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র চিঠি রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তিনটা দলকে পৌঁছে দিয়েছেন। বাংলাদেশে আর কোনো দল নেই? তিনিই তিনটা দলকে চিঠি দিয়ে ভাগ করে ফেলেছেন, দেশকে বিভক্ত করেছেন। এটা গর্হিত কাজ। এ জন্য বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে তাঁর স্যাংশন পাওয়া উচিত।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) টাঙ্গাইলে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমাদের ছোট দেশ বিধায়, গরিবের সুন্দরী বউয়ের মতো যে যা খুশি আমাদের সঙ্গে করবেন, এটা হতে পারে না। এটা চলতেই পারে না। অতীতে কোনো বিদেশির এইভাবে দৌড়ঝাঁপ করার কোনো সুযোগ ছিল না।

আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশে এত দৌড়াদৌড়ি ভালো না। এটা তাঁর দেশের নির্বাচন না। নির্বাচন আমাদের দেশের। আমরা আমেরিকায় বাস করি না, বাংলাদেশে বাস করি। আমেরিকা স্যাংশন দেবে এই ভয়ে আমরা বিয়ে করব নাকি বউ তালাক দেব, মেয়ের বিয়ে হবে নাকি ছেলে বিয়ে করাব এই চিন্তাভাবনা করা উচিত নয়। এটা জিএম কাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ ভুল কথা বলেছেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করবেন কি না- এমন প্রশ্নে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমরা যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করি তাহলে নির্বাচন করব কার সঙ্গে? বিএনপি নির্বাচনে নেই, জাতীয় পার্টিও টানাটানি করছে। আমরাও আওয়ামী লীগের সাথে গিয়ে যদি জোট বাঁধি, তাহলে মানুষ ভোট দেবে কাকে? মানুষের ভোট দেওয়ার জায়গা থাকবে না।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমেরিকার সমর্থন নেওয়া বিএনপিকে মুসলমানের ভোট দেওয়া উচিত না। ইসরাইলের যেভাবে গাজার উপর অত্যাচার করছে, মুসলমানদের হত্যা করছে বৃদ্ধ, শিশুকে হত্যা করছে এই অবস্থায় আমেরিকাকে একটু ছাড় দেওয়া উচিত না।

তফসিল ঘোষণা নিয়ে তিনি বলেন, দেশে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হয়েছে। এতে অনেকেই খুশি না, আমিও খুশি না। তারপরও আমি বলব গণতান্ত্রিক দেশে পাঁচ বছর পরপর অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া দরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন- ‘সরকারি প্রভাবমুক্ত নির্বাচন আমি চাই।’ আমি আজকে বলব, এখন তো আর সরকার নেই। এখনকার সরকার নির্বাচন কমিশন। তাদের যেন বোধদয় হয়, ইচ্ছা স্বাধীন যখন যা খুশি তাই করবার চেষ্টা না করেন। গতবারের মতো ভোটারবিহীন ভোট হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের। তারচেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমার বোন শেখ হাসিনার। সেজন্য কোন দল নির্বাচনে এলো, কোন দল এলো না, এটা বিবেচনা না; যাতে সমস্ত ভোটার ঈদ, পূজার উৎসাহ নিয়ে তার ইচ্ছামতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন- এ ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও আমার বোনকে বলব আপনার শয়তানগুলোকে গলায় পাড়া দেন। গরুকে যেমন পাগা (টোপা) দিতে হয়, যাতে খেত না খায়। আপনার কিছু দুষ্ট লোক আছে তাদেরও পাগা দেন। তা না হলে আপনার সমস্ত সম্মান ধ্বংস হয়ে যাবে, নষ্ট হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আসলে নির্বাচন হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। আমরা যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটই করি, তাহলে নির্বাচন করব কার সঙ্গে। বিএনপি নির্বাচনে নাই, জাতীয় পার্টি টানাটানি করছে, আমরা যদি জোট বাঁধি মানুষ ভোট দেবে কাকে। ভোট দেওয়ার জায়গা থাকবে না। আমরা ৩০০ আসনেই নির্বাচন করব। আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী নাও দিতে পারি। আমরা এত বড় দল না; কিন্তু আমরা অসংখ্য আসনে প্রার্থী দেব। আমরা অন্য দলের প্রার্থীদেরও গামছা মার্কা উপহার দেব।

আবহাওয়া

সারাদেশের সব পোশাক কারখানা ৫ আগস্ট বন্ধ

বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের স্যাংশন পাওয়া উচিত : কাদের সিদ্দিকী

প্রকাশের সময় : ০৬:৫০:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি : 

আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশে এত দৌড়াদৌড়ি ভালো না বলে মন্তব্য করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, সংলাপ বিষয়ে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র চিঠি রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তিনটা দলকে পৌঁছে দিয়েছেন। বাংলাদেশে আর কোনো দল নেই? তিনিই তিনটা দলকে চিঠি দিয়ে ভাগ করে ফেলেছেন, দেশকে বিভক্ত করেছেন। এটা গর্হিত কাজ। এ জন্য বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে তাঁর স্যাংশন পাওয়া উচিত।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) টাঙ্গাইলে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমাদের ছোট দেশ বিধায়, গরিবের সুন্দরী বউয়ের মতো যে যা খুশি আমাদের সঙ্গে করবেন, এটা হতে পারে না। এটা চলতেই পারে না। অতীতে কোনো বিদেশির এইভাবে দৌড়ঝাঁপ করার কোনো সুযোগ ছিল না।

আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশে এত দৌড়াদৌড়ি ভালো না। এটা তাঁর দেশের নির্বাচন না। নির্বাচন আমাদের দেশের। আমরা আমেরিকায় বাস করি না, বাংলাদেশে বাস করি। আমেরিকা স্যাংশন দেবে এই ভয়ে আমরা বিয়ে করব নাকি বউ তালাক দেব, মেয়ের বিয়ে হবে নাকি ছেলে বিয়ে করাব এই চিন্তাভাবনা করা উচিত নয়। এটা জিএম কাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ ভুল কথা বলেছেন।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করবেন কি না- এমন প্রশ্নে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, ‘আমরা যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করি তাহলে নির্বাচন করব কার সঙ্গে? বিএনপি নির্বাচনে নেই, জাতীয় পার্টিও টানাটানি করছে। আমরাও আওয়ামী লীগের সাথে গিয়ে যদি জোট বাঁধি, তাহলে মানুষ ভোট দেবে কাকে? মানুষের ভোট দেওয়ার জায়গা থাকবে না।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমেরিকার সমর্থন নেওয়া বিএনপিকে মুসলমানের ভোট দেওয়া উচিত না। ইসরাইলের যেভাবে গাজার উপর অত্যাচার করছে, মুসলমানদের হত্যা করছে বৃদ্ধ, শিশুকে হত্যা করছে এই অবস্থায় আমেরিকাকে একটু ছাড় দেওয়া উচিত না।

তফসিল ঘোষণা নিয়ে তিনি বলেন, দেশে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা হয়েছে। এতে অনেকেই খুশি না, আমিও খুশি না। তারপরও আমি বলব গণতান্ত্রিক দেশে পাঁচ বছর পরপর অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া দরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন- ‘সরকারি প্রভাবমুক্ত নির্বাচন আমি চাই।’ আমি আজকে বলব, এখন তো আর সরকার নেই। এখনকার সরকার নির্বাচন কমিশন। তাদের যেন বোধদয় হয়, ইচ্ছা স্বাধীন যখন যা খুশি তাই করবার চেষ্টা না করেন। গতবারের মতো ভোটারবিহীন ভোট হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশের। তারচেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমার বোন শেখ হাসিনার। সেজন্য কোন দল নির্বাচনে এলো, কোন দল এলো না, এটা বিবেচনা না; যাতে সমস্ত ভোটার ঈদ, পূজার উৎসাহ নিয়ে তার ইচ্ছামতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন- এ ব্যবস্থা করতে হবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও আমার বোনকে বলব আপনার শয়তানগুলোকে গলায় পাড়া দেন। গরুকে যেমন পাগা (টোপা) দিতে হয়, যাতে খেত না খায়। আপনার কিছু দুষ্ট লোক আছে তাদেরও পাগা দেন। তা না হলে আপনার সমস্ত সম্মান ধ্বংস হয়ে যাবে, নষ্ট হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, আসলে নির্বাচন হয় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। আমরা যদি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটই করি, তাহলে নির্বাচন করব কার সঙ্গে। বিএনপি নির্বাচনে নাই, জাতীয় পার্টি টানাটানি করছে, আমরা যদি জোট বাঁধি মানুষ ভোট দেবে কাকে। ভোট দেওয়ার জায়গা থাকবে না। আমরা ৩০০ আসনেই নির্বাচন করব। আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী নাও দিতে পারি। আমরা এত বড় দল না; কিন্তু আমরা অসংখ্য আসনে প্রার্থী দেব। আমরা অন্য দলের প্রার্থীদেরও গামছা মার্কা উপহার দেব।