Dhaka মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭ গোলে হারল বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৫:২৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৯১ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

নিয়মিত বিশ্বকাপ খেলা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ ফুটবল দলের শক্তিমত্তার পার্থক্যটা বিস্তর। বর্তমান ফিফা র‌্যাঙ্কিং ২৭ নম্বরে আছে অস্ট্রেলিয়া। রবার্ট লেভানদোভস্কির পোল্যান্ড, আর্লিং হলান্ডের নরওয়ে, মোহামেদ সালাহর মিশরেরও ওপরে অবস্থান করছে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে বাংলাদেশ অবস্থান করছে ১৮৩ নম্বরে। দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভূটানেরও পেছনে অবস্থান লাল সবুজের দেশের।

বিশাল পরাজয় দিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু করেছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৭-০ গোলে হেরেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। এনিয়ে চতুর্থবার প্রতিপক্ষের কাছে সাত গোল হজম করলো বাংলাদেশ। সবশেষ ৩০ বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৭-০ গোলে হেরেছিল তারা। যদিও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পরাজয় ৯-০ গোলে। ১৯৭৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ও ১৯৮২ সালে ইরানের একই ব্যবধানে হেরেছিল লাল-সবুজ পতাকাধারীরা। এছাড়া ১৯৭৫ সালে হংকংয়ে কাছে হারে ৯-১ ব্যবধানে।

মেলবোর্নে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। জেমি ম্যাকলারেন, মিচেল ডিউকদের গোল উৎসবে এদিন নাস্তানাবুদ হয়েছে জামালরা। হ্যাটট্রিক করেছেন ম্যাকলারেন। জোড়া গোল ডিউকের আর একটি করে গোল করেছেন হ্যারি সোউত্তর ও ব্রান্ডন বোরেলো।

ম্যাচ শুরুর ৪ মিনিটেই গোল হজম করে বাংলাদেশ। ডি-বক্সের কাছে অস্ট্রেলিয়ার এক ফুটবলারকে ফাউল করে বসেন মোহাম্মদ রিদয়। রেফারির বাঁশিতে ফ্রি-কিকের সুর। ফ্রি-কিক নেন ফরোয়ার্ড ক্রেইগ গুডউইন। গোলবারের সামনে ক্রস পেয়ে হেডে বল জালে জড়ান হ্যারি সোউত্তার। সাড়ে ৬ ফিট উচ্চতার এ ডিফেন্ডারকে বাধা দেয়ার কোনো সুযোগই পাননি বাংলাদেশের ডিফেন্ডার বা গোলরক্ষক। তার উচ্চতার কাছেই হেরে গেছে কাবরেরার রক্ষণভাগ।

১১ মিনিটে দারুণ দক্ষতায় বল ক্লিয়ার করেন বাংলাদেশি গোলরক্ষক মিতুল মারমা। রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে গেলেও ২০ মিনিটে আরও একটি গোল হজম করতে হয় কাবরেরার শিষ্যদের। ডানপ্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে মিলার পাস দেন মেটকালফেকে। তিনি এগিয়ে গিয়ে ডি-বক্সে ক্রস নেন। রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে আলতো ছোঁয়ায় বল জালে জড়ান বোরেলো। ২৭তম মিনিটে গুডউইনের ক্রস গোলবারের সামনে থেকে হেড নিয়েছিলেন বোরেলো। তবে সতর্ক মিতুল মারমা সেটি গ্লাভসবন্দী করে হতাশ করেন এ ডিফেন্ডারকে।

কিন্তু ৩৮ মিনিটে সে সুযোগটি পাননি মিতুল। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে মেটকালফের আলতো ক্রস ছয় গজ দূরত্ব থেকে হেডে জালে জড়ান ডিউক। বাংলাদেশের চার ডিফেন্ডার তাকে ঘিরে রাখলেও উচ্চতার কারণে তার থেকে বল ক্লিয়ার করতে পারেনি। দুই মিনিট পর চতুর্থ গোলটি হজম করে বসে জামালরা। ডি-বক্স থেকে হেডে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার হাসান মুরাদ। কিন্তু সেটি পেয়ে যান বক্সের বাইরে থাকা বোরেলো। তার শট বারে লেগে ফিরে আসার সময় ছয় গজ দূরত্বে পেয়ে যান ডিউক। আগের শট ফেরাতে একপাশে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন মিতুল। তাতে জাল ফাঁকা পেয়ে আলতো ছোঁয়ায় বল জড়ান ডিউক। ৪-০ ব্যবধানের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় অস্ট্রেলিয়া।

বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ৪৯ মিনিটে বাংলাদেশের জালে পঞ্চম গোলটি করেন জেমি ম্যাকলারেন। এরপর সেই প্রথমার্ধের মতো একে একে সকারুজদের গোল। ম্যাচের ৭০ ও ৮৪ মিনিটে আরো দুইটি গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ম্যাকলারেন। শেষ দিকে অষ্টম গোলেরও সুযোগ পায় অস্ট্রেলিয়া। তবে পেনাল্টি পাওয়া সকারুজদের হতাশ করে দুর্দান্ত এক সেভে বল ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক মিতুল মারমা।

শেষ পর্যন্ত আর গোল না হলে ৭-০ গোলের বড় পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭ গোলে হারল বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০৫:২৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

নিয়মিত বিশ্বকাপ খেলা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ ফুটবল দলের শক্তিমত্তার পার্থক্যটা বিস্তর। বর্তমান ফিফা র‌্যাঙ্কিং ২৭ নম্বরে আছে অস্ট্রেলিয়া। রবার্ট লেভানদোভস্কির পোল্যান্ড, আর্লিং হলান্ডের নরওয়ে, মোহামেদ সালাহর মিশরেরও ওপরে অবস্থান করছে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে বাংলাদেশ অবস্থান করছে ১৮৩ নম্বরে। দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভূটানেরও পেছনে অবস্থান লাল সবুজের দেশের।

বিশাল পরাজয় দিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু করেছে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৭-০ গোলে হেরেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। এনিয়ে চতুর্থবার প্রতিপক্ষের কাছে সাত গোল হজম করলো বাংলাদেশ। সবশেষ ৩০ বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৭-০ গোলে হেরেছিল তারা। যদিও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পরাজয় ৯-০ গোলে। ১৯৭৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ও ১৯৮২ সালে ইরানের একই ব্যবধানে হেরেছিল লাল-সবুজ পতাকাধারীরা। এছাড়া ১৯৭৫ সালে হংকংয়ে কাছে হারে ৯-১ ব্যবধানে।

মেলবোর্নে বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। জেমি ম্যাকলারেন, মিচেল ডিউকদের গোল উৎসবে এদিন নাস্তানাবুদ হয়েছে জামালরা। হ্যাটট্রিক করেছেন ম্যাকলারেন। জোড়া গোল ডিউকের আর একটি করে গোল করেছেন হ্যারি সোউত্তর ও ব্রান্ডন বোরেলো।

ম্যাচ শুরুর ৪ মিনিটেই গোল হজম করে বাংলাদেশ। ডি-বক্সের কাছে অস্ট্রেলিয়ার এক ফুটবলারকে ফাউল করে বসেন মোহাম্মদ রিদয়। রেফারির বাঁশিতে ফ্রি-কিকের সুর। ফ্রি-কিক নেন ফরোয়ার্ড ক্রেইগ গুডউইন। গোলবারের সামনে ক্রস পেয়ে হেডে বল জালে জড়ান হ্যারি সোউত্তার। সাড়ে ৬ ফিট উচ্চতার এ ডিফেন্ডারকে বাধা দেয়ার কোনো সুযোগই পাননি বাংলাদেশের ডিফেন্ডার বা গোলরক্ষক। তার উচ্চতার কাছেই হেরে গেছে কাবরেরার রক্ষণভাগ।

১১ মিনিটে দারুণ দক্ষতায় বল ক্লিয়ার করেন বাংলাদেশি গোলরক্ষক মিতুল মারমা। রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে গেলেও ২০ মিনিটে আরও একটি গোল হজম করতে হয় কাবরেরার শিষ্যদের। ডানপ্রান্ত ধরে আক্রমণে উঠে মিলার পাস দেন মেটকালফেকে। তিনি এগিয়ে গিয়ে ডি-বক্সে ক্রস নেন। রক্ষণকে ফাঁকি দিয়ে আলতো ছোঁয়ায় বল জালে জড়ান বোরেলো। ২৭তম মিনিটে গুডউইনের ক্রস গোলবারের সামনে থেকে হেড নিয়েছিলেন বোরেলো। তবে সতর্ক মিতুল মারমা সেটি গ্লাভসবন্দী করে হতাশ করেন এ ডিফেন্ডারকে।

কিন্তু ৩৮ মিনিটে সে সুযোগটি পাননি মিতুল। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে মেটকালফের আলতো ক্রস ছয় গজ দূরত্ব থেকে হেডে জালে জড়ান ডিউক। বাংলাদেশের চার ডিফেন্ডার তাকে ঘিরে রাখলেও উচ্চতার কারণে তার থেকে বল ক্লিয়ার করতে পারেনি। দুই মিনিট পর চতুর্থ গোলটি হজম করে বসে জামালরা। ডি-বক্স থেকে হেডে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডার হাসান মুরাদ। কিন্তু সেটি পেয়ে যান বক্সের বাইরে থাকা বোরেলো। তার শট বারে লেগে ফিরে আসার সময় ছয় গজ দূরত্বে পেয়ে যান ডিউক। আগের শট ফেরাতে একপাশে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন মিতুল। তাতে জাল ফাঁকা পেয়ে আলতো ছোঁয়ায় বল জড়ান ডিউক। ৪-০ ব্যবধানের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় অস্ট্রেলিয়া।

বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ৪৯ মিনিটে বাংলাদেশের জালে পঞ্চম গোলটি করেন জেমি ম্যাকলারেন। এরপর সেই প্রথমার্ধের মতো একে একে সকারুজদের গোল। ম্যাচের ৭০ ও ৮৪ মিনিটে আরো দুইটি গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ম্যাকলারেন। শেষ দিকে অষ্টম গোলেরও সুযোগ পায় অস্ট্রেলিয়া। তবে পেনাল্টি পাওয়া সকারুজদের হতাশ করে দুর্দান্ত এক সেভে বল ফিরিয়ে দেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক মিতুল মারমা।

শেষ পর্যন্ত আর গোল না হলে ৭-০ গোলের বড় পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।