Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সময় আছে নির্বাচনে আসুন, আমরা কারও জন্য বাধা হবো না : কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০১:০৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৮৬ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলোকে নির্বাচনে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনো সময় আছে। সরকারি দল হিসেবে আমরা অনুরোধ করছি, আসুন নির্বাচনে। আমরা কারো জন্য বাধা হবো না। দিনরাত আমাদের যারা গালিগালাজ করেন, তাদের জন্যও নির্বাচনের দরজা বন্ধ হয়নি। আমরা সবাইকে স্বাগত জানাই। কাউকে নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে উৎসাহিত করি না।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একা ক্ষমতায় যেতে চাই না। সবাইকে নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে যেতে চাই। আমরা চাই, সবাই ভোটে আসুক। তবে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সেই নিয়ম মাফিক নির্বাচনের তারিখ দেওয়া হয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যতীত ও জনগণের রায় ছাড়া কখনো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়নি। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের পথে রাষ্ট্র ক্ষমতা বদলের চিন্তা করে না। নির্বাচনে আমরা সব সময় গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছি। জনগণের ভোট ও জনগণের অধিকারের জন্য আমরাই সংগ্রাম করেছি।

তিনি বলেন, এতদিন শুনেছি, নির্বাচনী তফসিল হলে দেশে নাকি মহাপ্লাবন হয়ে যাবে। কই, কোথাওতো সেই প্লাবন দেখলাম না। কিন্তু সারারাত নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে উৎসব দেখেছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন তার অর্পিতের দায়িত্ব ক্ষমতাবলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছে। আমরা গতকালকে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছি, ধন্যবাদ জানিয়েছি। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে একটা মিনিংফুল নির্বাচন করতে সক্ষম হবে।

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সংবিধানের রীতি-নীতি বিধি-বিধান পালনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সহযোগিতা করার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রের নামে স্বৈরশাসন শুরু করেছিল। আমাদের গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল। ২১ বছর আমরা গণতন্ত্রের দেখা পাইনি। আমাদের বারবার ষড়যন্ত্রের স্বীকার হতে হয়েছে। এরপরও আমরা লড়াই করে করে টিকে আছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ছয় বছর পর শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন। এই দেশের গণতন্ত্রের জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি সংগ্রাম করেছেন। শেখ হাসিনা আপসহীনভাবে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছেন।

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ শহরে (ঢাকা) অনেকগুলো সমাবেশ হয়েছে। আমাদের শান্তি সমাবেশের কারণে তারা বাধাগ্রস্ত হয়নি। উল্টো বিএনপি-জামায়াত আগুন সন্ত্রাস করেছে। একজন পুলিশ সদস্যকে পেটাতে পেটাতে তারা মেরে ফেলেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর করেছে। তারা কখনোই এভাবে সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। জনগণের ক্ষতি করে কখনো ক্ষমতায় আসা যায় না।

২৮ অক্টোবরই বিএনপির আন্দোলন শেষ, তাদের বারোটা বেজে গেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের খুঁটিনাটি, রণকৌশল জানতে হয়। কিভাবে আন্দোলন করতে হয়, সভা-সমাবেশ করতে হয় বিএনপি জানে না। ২৮ অক্টোবরই বিএনপির আন্দোলনের বারোটা বেজে গেছে। সেদিনই তাদের আন্দোলন শেষ।

বিএনপির চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৮ অক্টোবরে পুলিশের মৃত্যু ও প্রধান বিচারপতি বাড়িতে হামলা হয়েছে। তখন আমরা বুঝেছিলাম তাদের আন্দোলন শেষ। আন্দোলনের খুঁটিনাটি, কৌশল জানতে হয় কিন্তু বিএনপি নেতারা সেটা জানে না। নির্বাচন নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে। আর কী দিয়ে আন্দোলন? তাঁদের নেতা নেই, আছে শুধু আবাসিক প্রতিনিধি, গুহা থেকে হঠাৎ হঠাৎ বক্তব্য দেয়। নেত্রী একদিন এক কর্মকর্তাকে বলেছিলেন দরকার নেই তাঁকে ধরার। থাকুক না একজন, বিরোধী দলের দরকার আছে।

সংলাপের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সংলাপের পক্ষে। সংলাপতো আমরা করেছিলাম। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে গণভবনে শেখ হাসিনা সংলাপ করেছিলেন। সে সময় ৭৩টি দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল আর বিএনপির সঙ্গে দুইবার সংলাপ করেছিলেন শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগেও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। শেখ হাসিনা নীলকণ্ঠী তিনি হজম করেছিলেন। তাহলে আমাদের দোষ কোথায়? শেখ হাসিনার অপরাধ কোথায়? এ দেশে গণতন্ত্রের নামে পদে পদে কলঙ্ক ও নিষ্ঠুরতার ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না।

তিনি বলেন, তার ছেলে মারা গেছে, তখনও গেছেন, কিন্তু তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এবারও রাষ্ট্রপতি তাদের (বিএনপি) ডেকেছেন, নির্বাচন কমিশন ডেকেছে। কিন্তু তারা সাড়া দেয়নি। এখন নির্বাচনের তফসিল হয়ে গেছে। এখন আর সংলাপ করার মতো সময় নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের প্রস্তাব দিয়ে আওয়ামী লীগকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই চিঠির জবাব দু-একদিনের মধ্যেই দেওয়া হবে।

ওবায়দুল কাদের জানান, শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় তেজগাঁও কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠক হবে। এতে অংশ নেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। মনোনয়ন ফরম বিক্রয় উদ্বোধন করবেন তিনি। উদ্বোধনের পর থেকেই একই দিন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সবাই কিনতে পারবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

সময় আছে নির্বাচনে আসুন, আমরা কারও জন্য বাধা হবো না : কাদের

প্রকাশের সময় : ০১:০৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলোকে নির্বাচনে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এখনো সময় আছে। সরকারি দল হিসেবে আমরা অনুরোধ করছি, আসুন নির্বাচনে। আমরা কারো জন্য বাধা হবো না। দিনরাত আমাদের যারা গালিগালাজ করেন, তাদের জন্যও নির্বাচনের দরজা বন্ধ হয়নি। আমরা সবাইকে স্বাগত জানাই। কাউকে নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে উৎসাহিত করি না।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একা ক্ষমতায় যেতে চাই না। সবাইকে নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে যেতে চাই। আমরা চাই, সবাই ভোটে আসুক। তবে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সেই নিয়ম মাফিক নির্বাচনের তারিখ দেওয়া হয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যতীত ও জনগণের রায় ছাড়া কখনো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়নি। আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের পথে রাষ্ট্র ক্ষমতা বদলের চিন্তা করে না। নির্বাচনে আমরা সব সময় গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছি। জনগণের ভোট ও জনগণের অধিকারের জন্য আমরাই সংগ্রাম করেছি।

তিনি বলেন, এতদিন শুনেছি, নির্বাচনী তফসিল হলে দেশে নাকি মহাপ্লাবন হয়ে যাবে। কই, কোথাওতো সেই প্লাবন দেখলাম না। কিন্তু সারারাত নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে উৎসব দেখেছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন তার অর্পিতের দায়িত্ব ক্ষমতাবলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছে। আমরা গতকালকে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছি, ধন্যবাদ জানিয়েছি। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে একটা মিনিংফুল নির্বাচন করতে সক্ষম হবে।

তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সংবিধানের রীতি-নীতি বিধি-বিধান পালনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় সহযোগিতা করার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রের নামে স্বৈরশাসন শুরু করেছিল। আমাদের গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল। ২১ বছর আমরা গণতন্ত্রের দেখা পাইনি। আমাদের বারবার ষড়যন্ত্রের স্বীকার হতে হয়েছে। এরপরও আমরা লড়াই করে করে টিকে আছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ছয় বছর পর শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন। এই দেশের গণতন্ত্রের জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি সংগ্রাম করেছেন। শেখ হাসিনা আপসহীনভাবে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছেন।

বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ শহরে (ঢাকা) অনেকগুলো সমাবেশ হয়েছে। আমাদের শান্তি সমাবেশের কারণে তারা বাধাগ্রস্ত হয়নি। উল্টো বিএনপি-জামায়াত আগুন সন্ত্রাস করেছে। একজন পুলিশ সদস্যকে পেটাতে পেটাতে তারা মেরে ফেলেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর করেছে। তারা কখনোই এভাবে সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। জনগণের ক্ষতি করে কখনো ক্ষমতায় আসা যায় না।

২৮ অক্টোবরই বিএনপির আন্দোলন শেষ, তাদের বারোটা বেজে গেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের খুঁটিনাটি, রণকৌশল জানতে হয়। কিভাবে আন্দোলন করতে হয়, সভা-সমাবেশ করতে হয় বিএনপি জানে না। ২৮ অক্টোবরই বিএনপির আন্দোলনের বারোটা বেজে গেছে। সেদিনই তাদের আন্দোলন শেষ।

বিএনপির চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৮ অক্টোবরে পুলিশের মৃত্যু ও প্রধান বিচারপতি বাড়িতে হামলা হয়েছে। তখন আমরা বুঝেছিলাম তাদের আন্দোলন শেষ। আন্দোলনের খুঁটিনাটি, কৌশল জানতে হয় কিন্তু বিএনপি নেতারা সেটা জানে না। নির্বাচন নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে। আর কী দিয়ে আন্দোলন? তাঁদের নেতা নেই, আছে শুধু আবাসিক প্রতিনিধি, গুহা থেকে হঠাৎ হঠাৎ বক্তব্য দেয়। নেত্রী একদিন এক কর্মকর্তাকে বলেছিলেন দরকার নেই তাঁকে ধরার। থাকুক না একজন, বিরোধী দলের দরকার আছে।

সংলাপের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সংলাপের পক্ষে। সংলাপতো আমরা করেছিলাম। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে গণভবনে শেখ হাসিনা সংলাপ করেছিলেন। সে সময় ৭৩টি দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল আর বিএনপির সঙ্গে দুইবার সংলাপ করেছিলেন শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগেও প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়া অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। শেখ হাসিনা নীলকণ্ঠী তিনি হজম করেছিলেন। তাহলে আমাদের দোষ কোথায়? শেখ হাসিনার অপরাধ কোথায়? এ দেশে গণতন্ত্রের নামে পদে পদে কলঙ্ক ও নিষ্ঠুরতার ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না।

তিনি বলেন, তার ছেলে মারা গেছে, তখনও গেছেন, কিন্তু তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এবারও রাষ্ট্রপতি তাদের (বিএনপি) ডেকেছেন, নির্বাচন কমিশন ডেকেছে। কিন্তু তারা সাড়া দেয়নি। এখন নির্বাচনের তফসিল হয়ে গেছে। এখন আর সংলাপ করার মতো সময় নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের প্রস্তাব দিয়ে আওয়ামী লীগকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই চিঠির জবাব দু-একদিনের মধ্যেই দেওয়া হবে।

ওবায়দুল কাদের জানান, শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় তেজগাঁও কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বৈঠক হবে। এতে অংশ নেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। মনোনয়ন ফরম বিক্রয় উদ্বোধন করবেন তিনি। উদ্বোধনের পর থেকেই একই দিন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সবাই কিনতে পারবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।