Dhaka শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজার হাসপাতালগুলোকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে : বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজার হাসপাতালগুলোকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে। ইসরায়েলের ট্যাংকগুলো যখন গাজার প্রধান হাসপাতালের গেটের দিকে অগ্রসর হচ্ছে তখন ইসরায়েলের কাছ থেকে ‘কম হস্তক্ষেপমূলক’ পদক্ষেপের আশা করছেন তিনি।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসে বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ইসরায়েলিদের সঙ্গে যোগাযোগ করব, আমার আশা এবং প্রত্যাশা হলো হাসপাতালে কম হস্তক্ষেপমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই বিষয় নিয়ে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখব।

তিনি আরও বলেন, ‘বন্দিদের মুক্তির পাশাপাশি সংঘাতে বিরতির প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে এবং সেই সাথে কাতারের সাথে আলোচনা করা হচ্ছে …। সুতরাং (এ বিষয়ে) আমি কিছুটা আশাবাদী, তবে হাসপাতালগুলোকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে।’

গাজায় টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। গাজার সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে।

রয়টার্স বলছে, গাজার আল শিফা হাসপাতালের ভেতরে এখনও কমপক্ষে ৬৫০ রোগী রয়েছেন। হাসপাতালটির পরিসেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের অন্য চিকিৎসা কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়াটা খুবই জরুরি।

ইসরায়েল বলছে, হামাস সামরিক উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ব্যবহার করে এবং ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী সোমবার ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল রান্তিসি হাসপাতালের বেসমেন্টে রাখা অস্ত্রের ভিডিও ও ছবি প্রকাশ করেছে। তবে হামাস ইসরায়েলের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলের অবিরাম হামলার মধ্যে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির সর্ববৃহৎ হাসপাতাল আল-শিফা হাসপাতাল এখন প্রায় ‘কবরস্থানে’ পরিণত হয়েছে বলে হুঁশিয়ার করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এমনকি হাসপাতালে মৃতদের দাফন করতে পারছে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

এর পেছনে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা ও জ্বালানি সংকট হচ্ছে প্রধান কারণ। জ্বালানি সংকটে জেনারেটর বন্ধ থাকায় সেখানকার সবচেয়ে বড় হাসপাতালের ৩৪ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে সাত নবজাতকও রয়েছে।

এছাড়া, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ও যোগাযোগের ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় গাজায় হতাহতের হালনাগাদ তথ্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর সেখানকার ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর ৪০ শতাংশ শিশু।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে ওই দিন থেকে গাজায় লাগাতার হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

গাজার হাসপাতালগুলোকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে : বাইডেন

প্রকাশের সময় : ০৪:১১:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজার হাসপাতালগুলোকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে। ইসরায়েলের ট্যাংকগুলো যখন গাজার প্রধান হাসপাতালের গেটের দিকে অগ্রসর হচ্ছে তখন ইসরায়েলের কাছ থেকে ‘কম হস্তক্ষেপমূলক’ পদক্ষেপের আশা করছেন তিনি।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) হোয়াইট হাউসে বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ইসরায়েলিদের সঙ্গে যোগাযোগ করব, আমার আশা এবং প্রত্যাশা হলো হাসপাতালে কম হস্তক্ষেপমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই বিষয় নিয়ে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখব।

তিনি আরও বলেন, ‘বন্দিদের মুক্তির পাশাপাশি সংঘাতে বিরতির প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে এবং সেই সাথে কাতারের সাথে আলোচনা করা হচ্ছে …। সুতরাং (এ বিষয়ে) আমি কিছুটা আশাবাদী, তবে হাসপাতালগুলোকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে।’

গাজায় টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। গাজার সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে।

রয়টার্স বলছে, গাজার আল শিফা হাসপাতালের ভেতরে এখনও কমপক্ষে ৬৫০ রোগী রয়েছেন। হাসপাতালটির পরিসেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের অন্য চিকিৎসা কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়াটা খুবই জরুরি।

ইসরায়েল বলছে, হামাস সামরিক উদ্দেশ্যে হাসপাতাল ব্যবহার করে এবং ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী সোমবার ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল রান্তিসি হাসপাতালের বেসমেন্টে রাখা অস্ত্রের ভিডিও ও ছবি প্রকাশ করেছে। তবে হামাস ইসরায়েলের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলের অবিরাম হামলার মধ্যে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটির সর্ববৃহৎ হাসপাতাল আল-শিফা হাসপাতাল এখন প্রায় ‘কবরস্থানে’ পরিণত হয়েছে বলে হুঁশিয়ার করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এমনকি হাসপাতালে মৃতদের দাফন করতে পারছে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

এর পেছনে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলা ও জ্বালানি সংকট হচ্ছে প্রধান কারণ। জ্বালানি সংকটে জেনারেটর বন্ধ থাকায় সেখানকার সবচেয়ে বড় হাসপাতালের ৩৪ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে সাত নবজাতকও রয়েছে।

এছাড়া, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ও যোগাযোগের ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় গাজায় হতাহতের হালনাগাদ তথ্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর সেখানকার ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর ৪০ শতাংশ শিশু।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এর জবাবে ওই দিন থেকে গাজায় লাগাতার হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল।