Dhaka মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাদা বলের ক্রিকেট আগে ছেড়ে চালিয়ে যাবেন টেস্ট ক্রিকেট স্টার্ক

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫২:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৯৮ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক :

বর্তমান সময়ে বিশ্ব ক্রিকেটে যেই কয়জন সেরা পেস বোলার আছে তাদের মধ্যে অন্যতম অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক। তার গতি-সুইং-ইয়র্কারে পরাস্ত হয় বিশ্বের বাঘা-বাঘা সব ব্যাটার। ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসেও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি আর পেসারদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে।

হয়তো আর একটি বিশ্বকাপ খেলতে পারেন তিনি। কারণ বর্তমানে তার বয়স ৩৩ বছর চার বছর পর তা হবে ৩৭ বছর। তবে এখনই নিজের শেষ দেখছেন না স্টার্ক। যদিও তিনি জানিয়েছেন সাদা বলের ক্রিকেট আগে ছেড়ে দেবেন। চালিয়ে যাবেন টেস্ট ক্রিকেট।

এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্টার্ক ওয়ানডে ফরম্যাটে ২৩.১৭ গড়ে ২৩০ উইকেট নিয়েছেন। নিশ্চিত যে তিনি ২০২৭ সালে পরবর্তী ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না। তবে তিনি এই ফরম্যাটটি ছাড়বেন না। চলমান বিশ্বকাপের পরও তিনি খেলা চালিয়ে যাবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে এই অজি পেসার বলেন, আমি বিশ্বকাপের পরও খেলা চালিয়ে যেতে চাই, কিন্তু আমি জানি আমি পরের বিশ্বকাপ খেলতে পারব না। এর জন্য আমার কোনো আক্ষেপ নেই। চার বছর অনেক দীর্ঘ। তবে ২০২৫ সালে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেট খেলার ইচ্ছা আছে।

এ সময় তিনি আরো বলেন, আমি টেস্ট ক্রিকেট সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। আমি সব সময় বলে এসেছি যে টেস্ট ক্রিকেট আমার কাছে সবার আগে থাকে এবং আমি টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ার আগে বাকিটা বাদ দেব। আমার কাছে (সেমিফাইনাল) অস্ট্রেলিয়ার জন্য আরেকটি ওয়ানডে ম্যাচ, আমার জন্য ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি এখনো শেষ নয়।
চলতি আসরে তিনি ৬.৫৫ গড়ে ৪৩.৯০ ওভার বল করে ১০ উইকেট স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে স্টার্ককে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্রামের সিদ্ধান্তটি মূলত আমারই ছিল। যেহেতু দল সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে। তাই আমি একটি ম্যাচে বিশ্রাম নিতে চেয়েছিলাম। আর আসরের শেষ ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। তাই এই ম্যাচেই দলের বাইরে ছিলাম।’

ওয়ানডেতে দুই ইনিংসে দুই বল দিয়ে খেলার নিয়ম তৈরি হয়। ‘ছোট মাঠে’র ক্ষেত্রে বিষয়টিতে পরিবর্তন আনা দরকার বলে মনে করে অস্ট্রেলিয়ার এই ফাস্ট বোলার।

স্টার্ক মনে করেন, দুই বল দিয়ে খেলার কারণে ব্যাটাররা সুযোগ পায় বেশি। অপরদিকে বোলাররা ঠিকঠাক সুইং পায় না। তিনি বলেন, আমি এখনও মনে করি এটা একটি বল হওয়া দরকার, দুইটি নয়। লম্বা সময়ের জন্য বল শক্ত থাকে। যেটি আমরা দেখেছি, ছোট মাঠগুলোতে যেখানে ফ্ল্যাট উইকেট থাকে।

অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার আরও জানান দিন দিন মাঠ ছোট হচ্ছে, এক্ষেত্রে বোলারদেরও স্বস্তি পাওয়া উচিতন। তার ভাষ্য, আপনি যদি আগের ম্যাচগুলোর ভিডিও ফুটেজ দেখেন, সেখানে দেখবেন বোলাররা অনেক সুইং পেত। যেটি বোলারদের খেলায় ফেরাতে সাহায্য করতো। আর আমি মনে করিনা যে বর্তমানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুধুমাত্র ব্যাটারদের সুবিধা দেয়, যেখানে বোলারদের কিছুই করার থাকে না, বিষয়টি কারও অজানা।
‘আমি মনে করি এখানে অনেক অবদান রাখার ব্যাপার রয়েছ। শুধুমাত্র গতিই সবকিছুর শেষ না; যেটা ভারতের মাঠগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য’-যোগ করেন স্টার্ক।

বিশ্বকাপে এই পর্যন্ত ৬.৫৫ ইকোনমি রেটে ১০টি উইকেট শিকার করেছেন স্টার্ক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বড় অবদান রাখতে পারেন এই বোলার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাদা বলের ক্রিকেট আগে ছেড়ে চালিয়ে যাবেন টেস্ট ক্রিকেট স্টার্ক

প্রকাশের সময় : ০১:৫২:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক :

বর্তমান সময়ে বিশ্ব ক্রিকেটে যেই কয়জন সেরা পেস বোলার আছে তাদের মধ্যে অন্যতম অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক। তার গতি-সুইং-ইয়র্কারে পরাস্ত হয় বিশ্বের বাঘা-বাঘা সব ব্যাটার। ওয়ানডে বিশ্বকাপ ইতিহাসেও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি আর পেসারদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে।

হয়তো আর একটি বিশ্বকাপ খেলতে পারেন তিনি। কারণ বর্তমানে তার বয়স ৩৩ বছর চার বছর পর তা হবে ৩৭ বছর। তবে এখনই নিজের শেষ দেখছেন না স্টার্ক। যদিও তিনি জানিয়েছেন সাদা বলের ক্রিকেট আগে ছেড়ে দেবেন। চালিয়ে যাবেন টেস্ট ক্রিকেট।

এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্টার্ক ওয়ানডে ফরম্যাটে ২৩.১৭ গড়ে ২৩০ উইকেট নিয়েছেন। নিশ্চিত যে তিনি ২০২৭ সালে পরবর্তী ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না। তবে তিনি এই ফরম্যাটটি ছাড়বেন না। চলমান বিশ্বকাপের পরও তিনি খেলা চালিয়ে যাবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে এই অজি পেসার বলেন, আমি বিশ্বকাপের পরও খেলা চালিয়ে যেতে চাই, কিন্তু আমি জানি আমি পরের বিশ্বকাপ খেলতে পারব না। এর জন্য আমার কোনো আক্ষেপ নেই। চার বছর অনেক দীর্ঘ। তবে ২০২৫ সালে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেট খেলার ইচ্ছা আছে।

এ সময় তিনি আরো বলেন, আমি টেস্ট ক্রিকেট সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। আমি সব সময় বলে এসেছি যে টেস্ট ক্রিকেট আমার কাছে সবার আগে থাকে এবং আমি টেস্ট ক্রিকেট ছাড়ার আগে বাকিটা বাদ দেব। আমার কাছে (সেমিফাইনাল) অস্ট্রেলিয়ার জন্য আরেকটি ওয়ানডে ম্যাচ, আমার জন্য ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি এখনো শেষ নয়।
চলতি আসরে তিনি ৬.৫৫ গড়ে ৪৩.৯০ ওভার বল করে ১০ উইকেট স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে স্টার্ককে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিশ্রামের সিদ্ধান্তটি মূলত আমারই ছিল। যেহেতু দল সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে। তাই আমি একটি ম্যাচে বিশ্রাম নিতে চেয়েছিলাম। আর আসরের শেষ ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। তাই এই ম্যাচেই দলের বাইরে ছিলাম।’

ওয়ানডেতে দুই ইনিংসে দুই বল দিয়ে খেলার নিয়ম তৈরি হয়। ‘ছোট মাঠে’র ক্ষেত্রে বিষয়টিতে পরিবর্তন আনা দরকার বলে মনে করে অস্ট্রেলিয়ার এই ফাস্ট বোলার।

স্টার্ক মনে করেন, দুই বল দিয়ে খেলার কারণে ব্যাটাররা সুযোগ পায় বেশি। অপরদিকে বোলাররা ঠিকঠাক সুইং পায় না। তিনি বলেন, আমি এখনও মনে করি এটা একটি বল হওয়া দরকার, দুইটি নয়। লম্বা সময়ের জন্য বল শক্ত থাকে। যেটি আমরা দেখেছি, ছোট মাঠগুলোতে যেখানে ফ্ল্যাট উইকেট থাকে।

অস্ট্রেলিয়ার এই পেসার আরও জানান দিন দিন মাঠ ছোট হচ্ছে, এক্ষেত্রে বোলারদেরও স্বস্তি পাওয়া উচিতন। তার ভাষ্য, আপনি যদি আগের ম্যাচগুলোর ভিডিও ফুটেজ দেখেন, সেখানে দেখবেন বোলাররা অনেক সুইং পেত। যেটি বোলারদের খেলায় ফেরাতে সাহায্য করতো। আর আমি মনে করিনা যে বর্তমানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট শুধুমাত্র ব্যাটারদের সুবিধা দেয়, যেখানে বোলারদের কিছুই করার থাকে না, বিষয়টি কারও অজানা।
‘আমি মনে করি এখানে অনেক অবদান রাখার ব্যাপার রয়েছ। শুধুমাত্র গতিই সবকিছুর শেষ না; যেটা ভারতের মাঠগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য’-যোগ করেন স্টার্ক।

বিশ্বকাপে এই পর্যন্ত ৬.৫৫ ইকোনমি রেটে ১০টি উইকেট শিকার করেছেন স্টার্ক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বড় অবদান রাখতে পারেন এই বোলার।