নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় পার্টির সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বৈঠক করেছেন। এ সময় পিটার হাস দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র একটি চিঠি পৌঁছে দেন।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকালে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বেলা ৩টার দিকে পিটার হাস জাতীয় পার্টির বনানীর কার্যালয়ে যান। সেখানে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত মূলত তাদের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লু লিখিত একটা চিঠি নিয়ে এসেছেন। তিনি চিঠিটা আমাদের পার্টির চেয়ারম্যানকে হস্তান্তর করেছেন। এই চিঠি শুধু আমাদের না, সেইম চিঠি আরও তিনটি দলকে দেওয়া হয়েছে।
চিঠির বিষয়ে জাপা মহাসচিব বলেন, চিঠিটা খুবই সংক্ষিপ্ত, এতে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। একই চিঠি আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি এই তিনটি দলকে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি জাতীয় পার্টি। পরিবেশ পর্যবেক্ষণ হচ্ছে। তবে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি আছে।
জাপা মহাসচিব বলেন, সেই চিঠির বিষয় সংক্ষেপে বলা যায়- বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। রাষ্ট্রদূত আমাদের প্রায় সঙ্গে ৪০ মিনিট বৈঠক করেছেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে আমাদের চেয়ারম্যান, কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ ও আমি ছিলাম। তার সঙ্গে প্রায় ৩০-৪০ মিনিট কথা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন। তবে, উনার আসার মূল কারণ হলো-ি চিঠিটা হ্যান্ডওভার করা।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানাতে চাইলে তিনি বলেন, ওনার সাথে অনেক কথা হয়েছে। সেসব আনঅফিশিয়াল কথাবার্তা। মতবিনিময় হয়েছে। উনি চিঠিটা পড়লেন, আমরা শুনলাম। চিঠির মূল বক্তব্য হচ্ছে- তাদের সরকার বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়।
নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দলগতভাবে কোনো বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া হয়নি। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুরের উপনির্বাচনে কি সিল মারার দরকার ছিল? আমাদের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা তাই সুখকর নয়। সে কারণে মনে করি, এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি।
তিনি বলেন, শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন চাইতে পারে। তবে নির্বাচন কেমন হবে, সেটা আমাদের নিজস্ব বিষয়।