Dhaka মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেনের ভাড়ার তালিকা প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটের ট্রেনের ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তালিকা অনুযায়ী ট্রেন চালু হওয়ার পর এই রুটে সর্বনিম্ন ১২৫ টাকায় ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়া যাবে।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী।

তালিকা অনুযায়ী সর্বনিম্ন ভাড়া ধরা হয়েছে ১২৫ টাকা। এছাড়া মেইল ট্রেনে ১৭০ টাকা, শোভন চেয়ারে ৫০০ টাকা, এসি বাথে ১৭২৫ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া সুলভ শ্রেণির ২৫০, শোভন শ্রেণির ৪২০, প্রথম চেয়ার/সিট ভাড়া (ভ্যাটসহ) ৬৭০, প্রথম বার্থের (ভ্যাটসহ) এক হাজার, স্নিগ্ধা শ্রেণির (ভ্যাটসহ) ৯৬১ এবং এসি সিট শ্রেণির ভাড়া এক হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর কমিউটার ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২১০ টাকা।

ডিসেম্বরে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল চালু হচ্ছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের উদ্বোধনী প্রস্তুতি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে রেল সচিব হুমায়ুন কবির জানিয়েছিলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে বলে আমরা আশা করছি। তবে ট্রেনে সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮৮ টাকা ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আর এটি নন-এসি মেইল ট্রেন। এছাড়া সর্বোচ্চ ভাড়া এসি বার্থে ১ হাজার ৭২৫ টাকা। বর্তমানে রেলের যে ভাড়ার হার আছে সেই অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মানের জন্য ২০১০ সালে ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। মেগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে টেন্ডার হলে দোহাজারী-চকরিয়া এবং চকরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনসট্রাকশন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পায়। কার্যাদেশ দেওয়ার পর ২০১৮ সালে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। অনুমোদনের ১৩ বছর পর প্রকল্পটির উদ্বোধন হলো।

এই ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেনের ভাড়ার তালিকা প্রকাশ

প্রকাশের সময় : ০১:২৬:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটের ট্রেনের ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তালিকা অনুযায়ী ট্রেন চালু হওয়ার পর এই রুটে সর্বনিম্ন ১২৫ টাকায় ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়া যাবে।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী।

তালিকা অনুযায়ী সর্বনিম্ন ভাড়া ধরা হয়েছে ১২৫ টাকা। এছাড়া মেইল ট্রেনে ১৭০ টাকা, শোভন চেয়ারে ৫০০ টাকা, এসি বাথে ১৭২৫ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া সুলভ শ্রেণির ২৫০, শোভন শ্রেণির ৪২০, প্রথম চেয়ার/সিট ভাড়া (ভ্যাটসহ) ৬৭০, প্রথম বার্থের (ভ্যাটসহ) এক হাজার, স্নিগ্ধা শ্রেণির (ভ্যাটসহ) ৯৬১ এবং এসি সিট শ্রেণির ভাড়া এক হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর কমিউটার ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২১০ টাকা।

ডিসেম্বরে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে ট্রেন চলাচল চালু হচ্ছে। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের উদ্বোধনী প্রস্তুতি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে রেল সচিব হুমায়ুন কবির জানিয়েছিলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে বলে আমরা আশা করছি। তবে ট্রেনে সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮৮ টাকা ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আর এটি নন-এসি মেইল ট্রেন। এছাড়া সর্বোচ্চ ভাড়া এসি বার্থে ১ হাজার ৭২৫ টাকা। বর্তমানে রেলের যে ভাড়ার হার আছে সেই অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মানের জন্য ২০১০ সালে ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। মেগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে টেন্ডার হলে দোহাজারী-চকরিয়া এবং চকরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনসট্রাকশন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পায়। কার্যাদেশ দেওয়ার পর ২০১৮ সালে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। অনুমোদনের ১৩ বছর পর প্রকল্পটির উদ্বোধন হলো।

এই ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।