Dhaka বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মিরপুরে আবারো পোশাকশ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকার ঘোষিত সাড়ে ১২ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান করে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে ফের মিরপুরে সড়ক অবরোধ করেন পোশাকশ্রমিকরা। তবে এরই মধ্যে পোশাকশ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে গেলেও ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন তারা।

রোরবার (১২ (নভেম্বর) সকাল সোয়া ৮টায় মিরপুর ১৩ নম্বরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে কয়েকশ শ্রমিক। এতে মিরপুর ১৩, ১৪ ও ১০ নম্বরে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। মূল সড়কসহ আশপাশের সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সকাল সোয়া ১০টার দিকে আন্দোলনরত শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে যান।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া গার্মেন্টস শ্রমিকরা বেশিরভাগ মিরপুর ১৩ নম্বরের ভিশন, এমবিএম, লোডস্টার, সারোজ গার্মেন্টসসহ আশপাশের ১০টি গার্মেন্টসের শ্রমিক বলে জানা গেছে।

বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা জানান, তাদের বেতন ন্যূনতম ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে তারা রাস্তায় নেমেছেন। নতুন যে ন্যূনতম বেতন ১২ হজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা তারা মানেন না বলে জানান।

কাফরুল থানার ওসি ফারুকুল আলম বলেন, সকালে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমেছেন। সকাল ৯টার পর তারা মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে গেছেন। পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, আজ সোয়া ৮টার দিকে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার কয়েকশ শ্রমিক রাস্তা অবরোধ করেন। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে তারা রাস্তা অবরোধ করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।

গত কিছুদিন ধরে ন্যূনতম বেতন ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে পোশাক শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। ৭ নভেম্বর পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা ঘোষণা করে মজুরি বোর্ড। এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শ্রমিকরা।

এদিকে মজুরি বোর্ড ঘোষিত ন্যূনতম মুজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা প্রত্যাখ্যান করে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় অন্তত শতাধিক পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

শনিবার (১১ নভেম্বর) টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর ও জিরাবো-বিশমাইল সড়কের কাঠগড়া আমতলা, বড় রাঙ্গামাটিয়ার বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ পোশাক কারখানার গেটে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে কারখানা বন্ধের নোটিশ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সরকারের একটি অংশ নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে : তারেক রহমান

মিরপুরে আবারো পোশাকশ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

প্রকাশের সময় : ১১:২৫:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকার ঘোষিত সাড়ে ১২ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান করে মজুরি বাড়ানোর দাবিতে ফের মিরপুরে সড়ক অবরোধ করেন পোশাকশ্রমিকরা। তবে এরই মধ্যে পোশাকশ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে গেলেও ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন তারা।

রোরবার (১২ (নভেম্বর) সকাল সোয়া ৮টায় মিরপুর ১৩ নম্বরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে কয়েকশ শ্রমিক। এতে মিরপুর ১৩, ১৪ ও ১০ নম্বরে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। মূল সড়কসহ আশপাশের সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সকাল সোয়া ১০টার দিকে আন্দোলনরত শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে যান।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া গার্মেন্টস শ্রমিকরা বেশিরভাগ মিরপুর ১৩ নম্বরের ভিশন, এমবিএম, লোডস্টার, সারোজ গার্মেন্টসসহ আশপাশের ১০টি গার্মেন্টসের শ্রমিক বলে জানা গেছে।

বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা জানান, তাদের বেতন ন্যূনতম ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে তারা রাস্তায় নেমেছেন। নতুন যে ন্যূনতম বেতন ১২ হজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা তারা মানেন না বলে জানান।

কাফরুল থানার ওসি ফারুকুল আলম বলেন, সকালে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমেছেন। সকাল ৯টার পর তারা মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে গেছেন। পরিস্থিতি মোটামুটি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, আজ সোয়া ৮টার দিকে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার কয়েকশ শ্রমিক রাস্তা অবরোধ করেন। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে তারা রাস্তা অবরোধ করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।

গত কিছুদিন ধরে ন্যূনতম বেতন ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে পোশাক শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। ৭ নভেম্বর পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা ঘোষণা করে মজুরি বোর্ড। এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শ্রমিকরা।

এদিকে মজুরি বোর্ড ঘোষিত ন্যূনতম মুজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা প্রত্যাখ্যান করে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় অন্তত শতাধিক পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

শনিবার (১১ নভেম্বর) টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর ও জিরাবো-বিশমাইল সড়কের কাঠগড়া আমতলা, বড় রাঙ্গামাটিয়ার বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ পোশাক কারখানার গেটে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে কারখানা বন্ধের নোটিশ।