সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

চলমান আন্দোলনের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন কতটুকু সম্ভব- এ প্রশ্নে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন পুরোপুরি সম্ভব। জনগণ দেশের উন্নয়ন চায়। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের উন্নয়নে কাজ করে। সব জায়গায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনে কোনো বাধা নেই। নির্বাচনের আইন আছে, সেগুলো মানতে হবে। এই সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।

শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাগলা সরকারি মডেল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবন সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনে রাজনৈতিক সহিংসতা বাড়াতে উসকানি দেওয়া হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সরকার আগের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেতন বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। এই বেতন যথেষ্ট, কম না বেশি, সেটা বলতে পারব না। শ্রমিকরা খুব পরিশ্রম করেন, মালিকরা এই বিষয়টি বিবেচনা করবেন। তবে শ্রমিকদের এই আন্দোলন যেন রাজনৈতিকভাবে কেউ ব্যবহার না করতে পারে। গার্মেন্টস কর্মীদের ন্যায়সঙ্গত দাবি নিয়ে প্রয়োজনে সরকার মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করবে। রাজনৈতিক দলগুলো শ্রমিকদের আন্দোলনে আগুন দিয়ে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছে।
গামেন্টস শ্রমিকদের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার গামেন্টস শ্রমিকদের নেতা ও মালিকদের সাথে কয়েকদিন আগে বৈঠক করে শ্রমিকদের বর্তমান বেতনের চেয়ে ৫৮% শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করেছে। আমি জানি না এ বেতন যথেষ্ট কি না। আমি এই বিষয়ে কোন মন্তব্য ও করতে চাই না। তবে গামেন্টস শ্রমিকরা পরিশ্রম করেন তারা অব্যশই ন্যায্য মজুরি পাবে এটাই স্বাভাবিক।

তিনি বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যায়সংগত দাবি আছে, তারা যথেষ্ট শক্তিশালী। প্রয়োজনে শ্রমিকরা মালিকদের সঙ্গে, সরকারের সঙ্গে কথা বলবে। কিন্তু মাঝখান দিয়ে কিছু রাজনৈতিক লোক ঢুকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের উসকে দেওয়ার চেষ্টা করে।

তিনি আরো বলেন, গামেন্টস শ্রমিকদের এই আন্দোলনকে কেউ যেন রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার না করে সেদিকে সর্তক থাকতে হবে। কারণ তারা ন্যায় সংঘত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন করছে। তারা মালিকের সঙ্গে কথা বলবে, সরকারের সঙ্গে কথা বলবে কিন্তু মাঝখান থেকে যদি কোন রাজনৈতিক লোক ডুকে এটাকে আগুন দিয়ে বাড়ানোর চেষ্টা করে এটা কিন্তু কাম্য নয়।

জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি যাই হোক নির্বাচন সুষ্ঠ হবে। আর সেই নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারকেই ভোট দিবে। কারণ গ্রামের মানুষ চায় উন্নয়ন আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই উন্নয়ন করে যাচ্ছেন।

একনেক এ নতুন অনেক প্রকল্প পাস হওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কোনো প্রকল্পের সরাসরি কাজ আমরা এখন করতে পারব না। নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হবে। এই সময়ে আমরা কোনো কাজ করতে পারব না। ২-৩ মাস অপেক্ষা করতে হবে। নতুন সরকর আসলে সেই সরকার কাজগুলো করবে।

মন্ত্রী বলেন, নতুন সরকার যদি ভিন্ন সরকার হয়, এসেই প্রথমে আগের সব কাজ দূরে ফেলে দেবে। নতুন সরকার প্রতিহিংসায় অনেক কাজ বন্ধ করে দেয়। এতে দেশের ক্ষতি হয়। দেশের উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত সাহা, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম প্রমুখ।