Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রেনে চড়ে রামুর পথে প্রধানমন্ত্রী

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে খুলল দেশের প্রথম এবং এশিয়ার বৃহত্তম দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন। শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় চোখধাঁধানো আইকনিক এ স্টেশন থেকে রামুর উদ্দেশে ট্রেন যাত্রা করেন শেখ হাসিনা।

উদ্বোধনী ট্রেনটিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রেলমন্ত্রী নুরুল হক সুজন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ অনেকে রামু যাচ্ছেন।

ট্রেনে বিটিভিসহ একাধিক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ একমাত্র সরকার। যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। আমি সবসময় চিন্তা করি কীভাবে বাংলাদেশের মানুষের জীবন মান উন্নত হবে।

এর আগে রেলস্টেশন চত্বরে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের রেল চলাচলের উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। এরপর টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে রামুর পথে যাত্রা করেন তিনি।

এশিয়ার বৃহত্তম আইকনিক রেলস্টেশনটিতে রয়েছে তারকা মানের হোটেল, শপিংমল, কনভেনশন সেন্টার, রেস্টুরেন্ট, শিশু যত্নকেন্দ্র, লাগেজ রাখার লকারসহ অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।

আক্ষরিক অর্থে ঝিনুক না হলেও সমুদ্র দেখতে এসে ট্রেন থেকে নেমেই প্রথম দর্শনেই সামুদ্রিক আবহ পাওয়া যাবে গোটা স্টেশনে। কেবল আসা-যাওয়ার জন্যই হয়নি এ স্টেশন, দেয়া হয়েছে এর বহুমাত্রিক রূপও। নান্দনিক ডিজাইন আর নির্মাণশৈলীর পাশাপাশি এর বহুমাত্রিক পরিধি নিয়ে গড়ে উঠা এ স্টেশন পরিণত হয়েছে দর্শনার্থীদের বিনোদনের নতুন গন্তব্য।

চোখধাঁধানো আইকনিক এ স্টেশনের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে চারপাশে ব্যবহার করা হয়েছে কাচ; ছাদের ওপর অত্যাধুনিক স্টিল ক্যানোফি। ফলে দিনের বেলা ব্যবহার করতে হবে না বাড়তি আলো। আর আধুনিক নির্মাণশৈলীর কারণেই একে বলা হচ্ছে গ্রিন স্টেশন। একই সঙ্গে সুবিশাল চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে উঠে দোতলা থেকে নামতে হবে ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে। আর আসার যাত্রীরা বের হবেন নিচ থেকে। যার জন্য প্রস্তুত চারটি চলন্ত সিঁড়ি। স্টেশনের ভেতরেই রয়েছে সাতটি টিকিট কাউন্টার। আর চাইলেই নির্দিষ্ট লকারে ব্যাগ রেখে পর্যটকরা ঘুরে আসতে পারবেন পুরো শহর।

দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন থেকে রামু পর্যন্ত যাবেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে হেলিকপ্টার যোগে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে যাবেন তিনি। শেখ হাসিনার আগমনে সাজ সাজ রব উঠেছে সমুদ্রের কোলঘেঁষা প্রত্যন্ত জনপদ মহেশখালীর মাতারবাড়ি। নির্মাণাধীন ১২শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটসহ, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন করবেন সরকারপ্রধান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

ট্রেনে চড়ে রামুর পথে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:০০:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে খুলল দেশের প্রথম এবং এশিয়ার বৃহত্তম দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন। শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর দেড়টায় চোখধাঁধানো আইকনিক এ স্টেশন থেকে রামুর উদ্দেশে ট্রেন যাত্রা করেন শেখ হাসিনা।

উদ্বোধনী ট্রেনটিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রেলমন্ত্রী নুরুল হক সুজন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ অনেকে রামু যাচ্ছেন।

ট্রেনে বিটিভিসহ একাধিক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ একমাত্র সরকার। যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। আমি সবসময় চিন্তা করি কীভাবে বাংলাদেশের মানুষের জীবন মান উন্নত হবে।

এর আগে রেলস্টেশন চত্বরে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের রেল চলাচলের উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। এরপর টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে রামুর পথে যাত্রা করেন তিনি।

এশিয়ার বৃহত্তম আইকনিক রেলস্টেশনটিতে রয়েছে তারকা মানের হোটেল, শপিংমল, কনভেনশন সেন্টার, রেস্টুরেন্ট, শিশু যত্নকেন্দ্র, লাগেজ রাখার লকারসহ অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।

আক্ষরিক অর্থে ঝিনুক না হলেও সমুদ্র দেখতে এসে ট্রেন থেকে নেমেই প্রথম দর্শনেই সামুদ্রিক আবহ পাওয়া যাবে গোটা স্টেশনে। কেবল আসা-যাওয়ার জন্যই হয়নি এ স্টেশন, দেয়া হয়েছে এর বহুমাত্রিক রূপও। নান্দনিক ডিজাইন আর নির্মাণশৈলীর পাশাপাশি এর বহুমাত্রিক পরিধি নিয়ে গড়ে উঠা এ স্টেশন পরিণত হয়েছে দর্শনার্থীদের বিনোদনের নতুন গন্তব্য।

চোখধাঁধানো আইকনিক এ স্টেশনের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে চারপাশে ব্যবহার করা হয়েছে কাচ; ছাদের ওপর অত্যাধুনিক স্টিল ক্যানোফি। ফলে দিনের বেলা ব্যবহার করতে হবে না বাড়তি আলো। আর আধুনিক নির্মাণশৈলীর কারণেই একে বলা হচ্ছে গ্রিন স্টেশন। একই সঙ্গে সুবিশাল চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে উঠে দোতলা থেকে নামতে হবে ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে। আর আসার যাত্রীরা বের হবেন নিচ থেকে। যার জন্য প্রস্তুত চারটি চলন্ত সিঁড়ি। স্টেশনের ভেতরেই রয়েছে সাতটি টিকিট কাউন্টার। আর চাইলেই নির্দিষ্ট লকারে ব্যাগ রেখে পর্যটকরা ঘুরে আসতে পারবেন পুরো শহর।

দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন থেকে রামু পর্যন্ত যাবেন শেখ হাসিনা। সেখান থেকে হেলিকপ্টার যোগে মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়িতে যাবেন তিনি। শেখ হাসিনার আগমনে সাজ সাজ রব উঠেছে সমুদ্রের কোলঘেঁষা প্রত্যন্ত জনপদ মহেশখালীর মাতারবাড়ি। নির্মাণাধীন ১২শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটসহ, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের চ্যানেল উদ্বোধন করবেন সরকারপ্রধান।