Dhaka সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রূপপুরে পৌঁছেছে ইউরেনিয়ামের সপ্তম চালান

পাবনা জেলা প্রতিনিধি : 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়াম জ্বালানি প্রথম পর্যায়ের সপ্তম অর্থাৎ শেষ চালান কঠোর নিরাপত্তায় সফলভাবে ঢাকা থেকে ঈশ্বরদীর রূপপুরে পৌঁছেছে। ইউরেনিয়ামের এই চালান ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে নাটোরের বনপাড়া ও পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া হয়ে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছে।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাতটা ৩৫ মিনিটের দিকে গাড়ি বহর প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করলে প্রকল্পে কর্মরতরা স্বাগত জানান।

পাকশি হাইওয়ে থানার ওসি আশিস কুমার সান্যাল জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িগুলো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে। গাড়ি বহর ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে নাটোরের বনপাড়া ও পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া হয়ে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছায়।

তিনি আরও জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িগুলো আনার সময় মহাসড়কে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তা বলয় ছিল। নিরাপত্তার জন্য ভোর থেকে ইউরেনিয়াম প্রকল্প এলাকায় পৌঁছানো পর্যন্ত পাবনা-নাটোর-কুষ্টিয়া মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল সীমিত রাখা হয়। জ্বালানির চলান প্রকল্প এলাকায় পৌঁছানোর পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম, ৬ অক্টোবর দ্বিতীয়, ১৩ অক্টোবর তৃতীয়, ২০ অক্টোবর চতুর্থ, ২৭ অক্টোবর পঞ্চম ও ৩ নভেম্বর ষষ্ঠ চালান ঢাকা থেকে সফলভাবে ঈশ্বরদীর রূপপুরে পৌঁছে।

প্রথম পর্যায়ের মোট সাতটি চালানের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সবক’টি চালান নির্বিঘ্নে রূপপুরে আসে। এই সাতটি চালানে আসা জ্বালানি দিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে এক বছর ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

জানা গেছে, রূপপুরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে জ্বালানি ব্যবহার হবে চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়া তিন বছর বিনামূল্যে সরবরাহ করবে। প্রতিদিন জ্বালানির প্রয়োজন হয় না। একবার জ্বালানি লোডের পর প্রথম তিন বছরের জন্য বছরে একবার করে (এক-তৃতীয়াংশ) ও পরবর্তী সময়ে দেড় বছর পর পর জ্বালানি পরিবর্তন করতে হবে। ফলে জ্বালানির কারণে দেশের অন্যান্য কেন্দ্র যেভাবে বন্ধ থাকে, এখানে ওই ধরনের কোনো সংকট হবে না। নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতেই ধারাবাহিকভাবে চালানের জ্বালানি রাশিয়া পাঠিয়ে দিচ্ছে।

দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও বড় প্রকল্প পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থের ১০ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার। ঋণ সহায়তা হিসেবে রাশিয়া ৯০ শতাংশ প্রদান করছে। বাংলাদেশ সরকার ও রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এটি দেশের প্রথম ও একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

আবহাওয়া

সারাদেশের সব পোশাক কারখানা ৫ আগস্ট বন্ধ

রূপপুরে পৌঁছেছে ইউরেনিয়ামের সপ্তম চালান

প্রকাশের সময় : ১২:১৯:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩

পাবনা জেলা প্রতিনিধি : 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়াম জ্বালানি প্রথম পর্যায়ের সপ্তম অর্থাৎ শেষ চালান কঠোর নিরাপত্তায় সফলভাবে ঢাকা থেকে ঈশ্বরদীর রূপপুরে পৌঁছেছে। ইউরেনিয়ামের এই চালান ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে নাটোরের বনপাড়া ও পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া হয়ে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছে।

শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাতটা ৩৫ মিনিটের দিকে গাড়ি বহর প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করলে প্রকল্পে কর্মরতরা স্বাগত জানান।

পাকশি হাইওয়ে থানার ওসি আশিস কুমার সান্যাল জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িগুলো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে। গাড়ি বহর ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে নাটোরের বনপাড়া ও পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া হয়ে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছায়।

তিনি আরও জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িগুলো আনার সময় মহাসড়কে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তা বলয় ছিল। নিরাপত্তার জন্য ভোর থেকে ইউরেনিয়াম প্রকল্প এলাকায় পৌঁছানো পর্যন্ত পাবনা-নাটোর-কুষ্টিয়া মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল সীমিত রাখা হয়। জ্বালানির চলান প্রকল্প এলাকায় পৌঁছানোর পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম, ৬ অক্টোবর দ্বিতীয়, ১৩ অক্টোবর তৃতীয়, ২০ অক্টোবর চতুর্থ, ২৭ অক্টোবর পঞ্চম ও ৩ নভেম্বর ষষ্ঠ চালান ঢাকা থেকে সফলভাবে ঈশ্বরদীর রূপপুরে পৌঁছে।

প্রথম পর্যায়ের মোট সাতটি চালানের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সবক’টি চালান নির্বিঘ্নে রূপপুরে আসে। এই সাতটি চালানে আসা জ্বালানি দিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে এক বছর ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

জানা গেছে, রূপপুরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে জ্বালানি ব্যবহার হবে চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়া তিন বছর বিনামূল্যে সরবরাহ করবে। প্রতিদিন জ্বালানির প্রয়োজন হয় না। একবার জ্বালানি লোডের পর প্রথম তিন বছরের জন্য বছরে একবার করে (এক-তৃতীয়াংশ) ও পরবর্তী সময়ে দেড় বছর পর পর জ্বালানি পরিবর্তন করতে হবে। ফলে জ্বালানির কারণে দেশের অন্যান্য কেন্দ্র যেভাবে বন্ধ থাকে, এখানে ওই ধরনের কোনো সংকট হবে না। নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতেই ধারাবাহিকভাবে চালানের জ্বালানি রাশিয়া পাঠিয়ে দিচ্ছে।

দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও বড় প্রকল্প পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থের ১০ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ সরকার। ঋণ সহায়তা হিসেবে রাশিয়া ৯০ শতাংশ প্রদান করছে। বাংলাদেশ সরকার ও রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে একটি চুক্তির মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এটি দেশের প্রথম ও একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।