Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংবিধান ও আইন অনুযায়ীই বাংলাদেশে নির্বাচন চায় চীন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০১:২৭:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৯৫ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংবিধান ও আইন অনুযায়ীই বাংলাদেশে নির্বাচন চায় চীন। আর ওই নির্বাচন নিয়ে বাইরের কারো হস্তক্ষেপ চায় না দেশটি। চীন নিজেও অন্য দেশে হস্তক্ষেপ করে না।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিক্যাব) এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে চীনের কোনো বক্তব্য নেই এই সমস্যা বাংলাদেশের জনগণই সমাধান করবে। তবে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে স্থিতিশীল ও উন্নত পরিবেশ দেখতে চায় চীন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে বাংলাদেশিরাই সিদ্ধান্ত নেবে। চীনের প্রত্যাশা, সব অংশীদার মিলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে। বাংলাদেশ জানে কী ধরনের নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচনের পরও স্থিতিশীলতা দেখতে চায় চীন।

তিনি বলেন, কেমন গণতন্ত্র, কেমন নির্বাচন হবে তা বাংলাদেশের জনগণ নির্ধারণ করবে। চীন বিশ্বাস করে, সংবিধান অনুযায়ীই ভোট হবে। নির্বাচনের পরেও ঢাকা বেইজিং সম্পর্ক অটুট থাকবে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো বলতে পারবে। চীন বাংলাদেশের সমাজে স্থিতিশীলতা চায়।

বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট নিয়ে চীনের কোনো সহযোগিতা বাংলাদেশ চায়নি উল্লেখ করে ইয়াও ওয়েন বলেন, এ নিয়ে কোনো সহযোগিতা বাংলাদেশ সরকার চায়নি। তবে প্রস্তাব পেলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।

চীন সমস্যার দ্রুত সমাধার চায় মন্তব্য করে রাষ্ট্রদূত জানান, স্থিতিশীলতার স্বার্থে মতভেদ কাটিয়ে সব দল ভোটে অংশ নেবে বলে আশা রাখে বেইজিং। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কীভাবে কমবে, তা তারাই নির্ধারণ করবে। তবে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় চীনা নাগরিকরা অনিরাপদ বোধ করে না বলেও জানান ইয়াও ওয়েন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন, বাংলাদেশ, মিয়ানমার মিলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা করছে। রোহিঙ্গারা এ দেশে অতিথি হিসেবে এসেছে। তাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সমর্থনও প্রয়োজন। চীন দেখতে পাচ্ছে, অনেকেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চায় না।

এর আগে অনুষ্ঠানে চীনা উদ্যোক্তাদের সংগঠন সিইএবির প্রেসিডেন্ট কে চেংলিয়াং বাংলাদেশে চীনা উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন। ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস বক্তব্য দেন।

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

সংবিধান ও আইন অনুযায়ীই বাংলাদেশে নির্বাচন চায় চীন

প্রকাশের সময় : ০১:২৭:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সংবিধান ও আইন অনুযায়ীই বাংলাদেশে নির্বাচন চায় চীন। আর ওই নির্বাচন নিয়ে বাইরের কারো হস্তক্ষেপ চায় না দেশটি। চীন নিজেও অন্য দেশে হস্তক্ষেপ করে না।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিক্যাব) এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে চীনের কোনো বক্তব্য নেই এই সমস্যা বাংলাদেশের জনগণই সমাধান করবে। তবে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশে স্থিতিশীল ও উন্নত পরিবেশ দেখতে চায় চীন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে বাংলাদেশিরাই সিদ্ধান্ত নেবে। চীনের প্রত্যাশা, সব অংশীদার মিলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে। বাংলাদেশ জানে কী ধরনের নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচনের পরও স্থিতিশীলতা দেখতে চায় চীন।

তিনি বলেন, কেমন গণতন্ত্র, কেমন নির্বাচন হবে তা বাংলাদেশের জনগণ নির্ধারণ করবে। চীন বিশ্বাস করে, সংবিধান অনুযায়ীই ভোট হবে। নির্বাচনের পরেও ঢাকা বেইজিং সম্পর্ক অটুট থাকবে বলেও জানান রাষ্ট্রদূত।

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো বলতে পারবে। চীন বাংলাদেশের সমাজে স্থিতিশীলতা চায়।

বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট নিয়ে চীনের কোনো সহযোগিতা বাংলাদেশ চায়নি উল্লেখ করে ইয়াও ওয়েন বলেন, এ নিয়ে কোনো সহযোগিতা বাংলাদেশ সরকার চায়নি। তবে প্রস্তাব পেলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।

চীন সমস্যার দ্রুত সমাধার চায় মন্তব্য করে রাষ্ট্রদূত জানান, স্থিতিশীলতার স্বার্থে মতভেদ কাটিয়ে সব দল ভোটে অংশ নেবে বলে আশা রাখে বেইজিং। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব কীভাবে কমবে, তা তারাই নির্ধারণ করবে। তবে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় চীনা নাগরিকরা অনিরাপদ বোধ করে না বলেও জানান ইয়াও ওয়েন।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন, বাংলাদেশ, মিয়ানমার মিলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা করছে। রোহিঙ্গারা এ দেশে অতিথি হিসেবে এসেছে। তাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সমর্থনও প্রয়োজন। চীন দেখতে পাচ্ছে, অনেকেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চায় না।

এর আগে অনুষ্ঠানে চীনা উদ্যোক্তাদের সংগঠন সিইএবির প্রেসিডেন্ট কে চেংলিয়াং বাংলাদেশে চীনা উদ্যোগগুলো তুলে ধরেন। ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েস বক্তব্য দেন।