Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমরা নির্বাচনের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছি, মূল্যায়নের ভার আপনাদের : ড. আব্দুর রাজ্জাক

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমরা নির্বাচনের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছি, মূল্যায়নের ভার আপনাদের। নির্বাচনী ইশতেহার যেন জাতির আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়, তার ভিত্তিতেই ইশতেহার দেবে আওয়ামী লীগ।

রোববার (৫ নভেম্বর) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে দলীয় নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সঙ্গে পেশাজীবীসহ বিভিন্ন কমিউনিটির প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। আওয়ামী লীগ সবসময় গঠনতন্ত্র, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও আদর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ কখনো চোরাগলির পথে বা অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতায় আসেনি। গণতান্ত্রিক চর্চা করেছে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চেতনাকে ধারণ করে আওয়ামী লীগ পরিচালিত হয়েছে। যেসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করেছে সেসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের যত সাফল্য সেগুলো তুলে ধরছে। তার আলোকে আগামী দিনে আওয়ামী লীগ কী করবে, কী তার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, জাতির আশা আকাঙ্ক্ষার প্রত্যাশা পূরণ করবে, কর্মসূচি বাস্তবায়নের কৌশল কী হবে সেগুলো নির্বাচনী ইশতেহার সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

নির্বাচনী ইশতেহারে চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও দুধ, ডিমসহ পুষ্টিকর খাবারে পিছিয়ে আছি। সেটা আগামীতে দূর করতে হবে। এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

করোনাভাইরাস ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারেনি বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থনীতির কাঠমোটাকে পুনর্গঠন করতে হবে। এটাকে এমন জায়গায় স্থাপন করতে হবে যাতে আগের গতিশীলতা ও জায়গা পুনরুদ্ধার করতে পারি। এ লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা আগাবো।

মাথাপিছু আয়, দারিদ্র্য কতটা কমানো হবে সেই পরিকল্পনা ইশতেহারে থাকবে উল্লেখ করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখন দারিদ্র্যতা ১৮ দশমিক ৪ নামিয়ে আনছি। এটি কমিয়ে আমরা ১২তে নামিয়ে আসব। অতিদরিদ্র ৯ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনব।

কর্মসংস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, কর্মসংস্থান করতে হলে আমাদের উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানা বাড়াতে হবে। এটা বর্তমানে ৩০ শতাংশ থাকলেও আগামীতে ৪০ শতাংশে উন্নতি করতে চায় আওয়ামী লীগ।

সবার আলোচনায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সুশাসনের কথা উঠেছে বলে উল্লেখ করে আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা করবো, সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবো। উন্নয়ন সবার জন্য করবো। কেউ পিছিয়ে থাকবে না।

সাংস্কৃতিক বিকাশ না থাকলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ থাকবে না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধরে রাখতে হলে পুরো জনগোষ্ঠীকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে। সংস্কৃতিক বিকাশ ঘটাতে হবে এবং সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে হবে। ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িকতা থেকে মানুষকে বের করার জন্য মানুষকে আরও বেশি সংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করতে হবে। আগামীর সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সংস্কৃতির বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ ও কর্মসংস্থান হবে আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য। সেটি হলে আমরা সত্যিকারের অর্থে একটা সমৃদ্ধশালী ও উন্নত জাতি হব সারা পৃথিবীতে। আমরা অহংকার ও গর্ব করে চলতে চাই। নির্বাচনী ইশতেহারের মাধ্যমে আমরা জনগণকে প্রতিশ্রুতি দেব যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলাম সেটাকে পুনরুদ্ধার করে দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবো।

সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে- এ বিষয়ে মূল্যবান মতামত উপস্থাপন করার জন্য প্রতিনিধিদের অনুরোধ করেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক।

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

আমরা নির্বাচনের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছি, মূল্যায়নের ভার আপনাদের : ড. আব্দুর রাজ্জাক

প্রকাশের সময় : ১০:০১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমরা নির্বাচনের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছি, মূল্যায়নের ভার আপনাদের। নির্বাচনী ইশতেহার যেন জাতির আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়, তার ভিত্তিতেই ইশতেহার দেবে আওয়ামী লীগ।

রোববার (৫ নভেম্বর) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে দলীয় নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সঙ্গে পেশাজীবীসহ বিভিন্ন কমিউনিটির প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। আওয়ামী লীগ সবসময় গঠনতন্ত্র, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও আদর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ কখনো চোরাগলির পথে বা অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতায় আসেনি। গণতান্ত্রিক চর্চা করেছে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চেতনাকে ধারণ করে আওয়ামী লীগ পরিচালিত হয়েছে। যেসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করেছে সেসব নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের যত সাফল্য সেগুলো তুলে ধরছে। তার আলোকে আগামী দিনে আওয়ামী লীগ কী করবে, কী তার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, জাতির আশা আকাঙ্ক্ষার প্রত্যাশা পূরণ করবে, কর্মসূচি বাস্তবায়নের কৌশল কী হবে সেগুলো নির্বাচনী ইশতেহার সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

নির্বাচনী ইশতেহারে চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও দুধ, ডিমসহ পুষ্টিকর খাবারে পিছিয়ে আছি। সেটা আগামীতে দূর করতে হবে। এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

করোনাভাইরাস ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারেনি বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থনীতির কাঠমোটাকে পুনর্গঠন করতে হবে। এটাকে এমন জায়গায় স্থাপন করতে হবে যাতে আগের গতিশীলতা ও জায়গা পুনরুদ্ধার করতে পারি। এ লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা আগাবো।

মাথাপিছু আয়, দারিদ্র্য কতটা কমানো হবে সেই পরিকল্পনা ইশতেহারে থাকবে উল্লেখ করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখন দারিদ্র্যতা ১৮ দশমিক ৪ নামিয়ে আনছি। এটি কমিয়ে আমরা ১২তে নামিয়ে আসব। অতিদরিদ্র ৯ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনব।

কর্মসংস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, কর্মসংস্থান করতে হলে আমাদের উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানা বাড়াতে হবে। এটা বর্তমানে ৩০ শতাংশ থাকলেও আগামীতে ৪০ শতাংশে উন্নতি করতে চায় আওয়ামী লীগ।

সবার আলোচনায় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সুশাসনের কথা উঠেছে বলে উল্লেখ করে আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা করবো, সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবো। উন্নয়ন সবার জন্য করবো। কেউ পিছিয়ে থাকবে না।

সাংস্কৃতিক বিকাশ না থাকলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ থাকবে না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ধরে রাখতে হলে পুরো জনগোষ্ঠীকে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে। সংস্কৃতিক বিকাশ ঘটাতে হবে এবং সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে হবে। ধর্মান্ধ ও সাম্প্রদায়িকতা থেকে মানুষকে বের করার জন্য মানুষকে আরও বেশি সংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করতে হবে। আগামীর সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সংস্কৃতির বিষয়টি গুরুত্ব পাবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ ও কর্মসংস্থান হবে আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য। সেটি হলে আমরা সত্যিকারের অর্থে একটা সমৃদ্ধশালী ও উন্নত জাতি হব সারা পৃথিবীতে। আমরা অহংকার ও গর্ব করে চলতে চাই। নির্বাচনী ইশতেহারের মাধ্যমে আমরা জনগণকে প্রতিশ্রুতি দেব যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলাম সেটাকে পুনরুদ্ধার করে দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবো।

সভায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে- এ বিষয়ে মূল্যবান মতামত উপস্থাপন করার জন্য প্রতিনিধিদের অনুরোধ করেন ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক।