Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজার অ্যাম্বুলেন্স বহরে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ১৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

Go back

Your message has been sent

Warning
Warning
Warning
Warning

Warning.

ফিলিস্তিনের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র আল শিফা হাসপাতালের গেটে অ্যাম্বুলেন্সে ওপর বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ১৫ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে শনিবার (৪ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে গাজায় অ্যাম্বুলেন্সে হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছে ইসরায়েল। তাদের দাবি-হামাসের সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করছিল। তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

অন্য একটি ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার দক্ষিণে কোস্টাল রোডে ১৪ শিশু মারা গেছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছে।

ইসরাইলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এ হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, তারা একটি অ্যাম্বুলেন্সকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। কারণ অ্যাম্বুলেন্সটি হামাসযোদ্ধারা ‘সন্ত্রাসী সেল’ হিসেবে ব্যবহার করছিল এবং অ্যাম্বুলেন্সটি তারা অস্ত্র ও যোদ্ধা আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার করছিল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা বলেছেন, গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের কাছে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এ ছাড়া হাসপাতাল গেট থেকে অন্তত এক কিলোমিটার দূরে আনসার স্কোয়ারসহ একাধিক স্থানে অ্যাম্বুলেন্সের বহরের ওপর হামলা করেছে তারা।

এদিকে হামাসের এক কর্মকর্তা ইজ্জত এল রেশিক ওই অ্যাম্বুলেন্সে কোনো হামাসযোদ্ধা ছিল না বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে ইসরাইলও তাদের দাবির (অ্যম্বুলেন্সে হামাসযোদ্ধা ছিল) পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। আইডিএফ বলেছে, এটি একটি যুদ্ধক্ষেত্র। এই এলাকার বাসিন্দারের আমরা বারবার দক্ষিণের দিকে সরে যেতে বলেছি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, শহরের রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সের পাশে রক্তাক্ত মানুষ পড়ে আছে। তাদের উদ্ধার করতে ছুটে আসছে অন্য মানুষ।

অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনটি অ্যাম্বুলেন্স একটি লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। অ্যাম্বুলেন্সগুলোর পাশে অনেক মানুষ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, অ্যাম্বুলেন্সে হামলার খবর শুনে হতবাক হয়ে গেছি। অসুস্থ মানুষ, স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসা সুবিধাকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে।

ইসরাইল বরাবরই আল-শিফা হাসপাতালকে হামাসের কমান্ড সেন্টার ও টানেলের প্রবেশপথ গোপন করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। গত মাসে উত্তর গাজার সব বেসামরিক মানুষদের দক্ষিণের দিকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় আইডিএফ। এর পর গত বৃহস্পতিবার গাজা সিটিকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলার দাবি করে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী।

এদিকে বিদুৎ না থাকায় মৃত্যুপুরী হওয়ার পথে রয়েছে ফিলিস্তিনের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র আল শিফা হাসপাতাল। হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা. ঘাসান আবু-সিত্তাহ মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

ডা. ঘাসান বলেন, হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলে স্বাভাবিকভাবেই তা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হবে। যদি ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের ভেন্টিলেটর না চলে, গুরুতর আহত রোগীদের যদি অপারেশন না করা যায়, যদি ডায়ালিসিস মেশিন চালু না থাকে- তাহলে চিকিৎসাসেবা নিয়ে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে এখানে এসে মরা ছাড়া রোগীদের সামনে আর কোনো বিকল্প থাকবে না। আল শিফা বর্তমানে এমন পরিস্থিতিতে এসে পৌঁছেছে এবং শিগগিরই বিদ্যুৎ সংযোগ না পেলে এই হাসপাতাল মৃত্যুপুরীতে রূপ নেবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব ছাড়লেন বিএনপিপন্থি ৩ শিক্ষক

গাজার অ্যাম্বুলেন্স বহরে ইসরায়েলের হামলায় নিহত ১৫

প্রকাশের সময় : ০১:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

Go back

Your message has been sent

Warning
Warning
Warning
Warning

Warning.

ফিলিস্তিনের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র আল শিফা হাসপাতালের গেটে অ্যাম্বুলেন্সে ওপর বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ১৫ জন নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে শনিবার (৪ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে গাজায় অ্যাম্বুলেন্সে হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছে ইসরায়েল। তাদের দাবি-হামাসের সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করছিল। তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।

অন্য একটি ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার দক্ষিণে কোস্টাল রোডে ১৪ শিশু মারা গেছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছে।

ইসরাইলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) এ হামলার দায় স্বীকার করে বলেছে, তারা একটি অ্যাম্বুলেন্সকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। কারণ অ্যাম্বুলেন্সটি হামাসযোদ্ধারা ‘সন্ত্রাসী সেল’ হিসেবে ব্যবহার করছিল এবং অ্যাম্বুলেন্সটি তারা অস্ত্র ও যোদ্ধা আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার করছিল।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা বলেছেন, গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের কাছে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এ ছাড়া হাসপাতাল গেট থেকে অন্তত এক কিলোমিটার দূরে আনসার স্কোয়ারসহ একাধিক স্থানে অ্যাম্বুলেন্সের বহরের ওপর হামলা করেছে তারা।

এদিকে হামাসের এক কর্মকর্তা ইজ্জত এল রেশিক ওই অ্যাম্বুলেন্সে কোনো হামাসযোদ্ধা ছিল না বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে ইসরাইলও তাদের দাবির (অ্যম্বুলেন্সে হামাসযোদ্ধা ছিল) পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। আইডিএফ বলেছে, এটি একটি যুদ্ধক্ষেত্র। এই এলাকার বাসিন্দারের আমরা বারবার দক্ষিণের দিকে সরে যেতে বলেছি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, শহরের রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সের পাশে রক্তাক্ত মানুষ পড়ে আছে। তাদের উদ্ধার করতে ছুটে আসছে অন্য মানুষ।

অন্য একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনটি অ্যাম্বুলেন্স একটি লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। অ্যাম্বুলেন্সগুলোর পাশে অনেক মানুষ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, অ্যাম্বুলেন্সে হামলার খবর শুনে হতবাক হয়ে গেছি। অসুস্থ মানুষ, স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসা সুবিধাকে অবশ্যই সুরক্ষিত রাখতে হবে।

ইসরাইল বরাবরই আল-শিফা হাসপাতালকে হামাসের কমান্ড সেন্টার ও টানেলের প্রবেশপথ গোপন করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। গত মাসে উত্তর গাজার সব বেসামরিক মানুষদের দক্ষিণের দিকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় আইডিএফ। এর পর গত বৃহস্পতিবার গাজা সিটিকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলার দাবি করে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী।

এদিকে বিদুৎ না থাকায় মৃত্যুপুরী হওয়ার পথে রয়েছে ফিলিস্তিনের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র আল শিফা হাসপাতাল। হাসপাতালটির চিকিৎসক ডা. ঘাসান আবু-সিত্তাহ মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

ডা. ঘাসান বলেন, হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকলে স্বাভাবিকভাবেই তা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হবে। যদি ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের ভেন্টিলেটর না চলে, গুরুতর আহত রোগীদের যদি অপারেশন না করা যায়, যদি ডায়ালিসিস মেশিন চালু না থাকে- তাহলে চিকিৎসাসেবা নিয়ে সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে এখানে এসে মরা ছাড়া রোগীদের সামনে আর কোনো বিকল্প থাকবে না। আল শিফা বর্তমানে এমন পরিস্থিতিতে এসে পৌঁছেছে এবং শিগগিরই বিদ্যুৎ সংযোগ না পেলে এই হাসপাতাল মৃত্যুপুরীতে রূপ নেবে।