Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসপাতাল থেকে অপহৃত শিশু উদ্ধার, গ্রেফতার ২

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ড থেকে ১ বছরের শিশু লাবিবকে অপহরণ অভিযোগে বেদেসহ দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অপহরণকারীরা হলেন- নেত্রকোনার বারহাট্টা থানার বাউশী দশাদার গ্রামের সুলতানা খাতুন, অপরজন ভোলার মনপুরা থানা হাজীরহাট গ্রামের ফারজানা আক্তার। ফারজানা অপহৃত শিশুটিকে কেনার জন্য অপহরণকারীর বাসায় অপেক্ষা করছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহানগরীর পুবাইল থানা এলাকায় ও সদর থানাধীন ভোড়া (চৌকিদার বাড়ী) এলাকার অভিযান চালিয়ে অপহৃত শিশু লাবিবকে উদ্ধারসহ দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অপহৃত শিশুর মা হামিদা আক্তার বলেন, দেড় মাস আগে আমার বড় ছেলের হাটুতে ব্যাথা পাওয়ায় তাকে নিয়ে সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হই। ভর্তি থাকার একপর্যায়ে গত ১ নভেম্বর বিকালে বোরখা পরা অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী কৌশলে আমার ছোট ছেলে লাবিবকে অপহরণ করে নিয়ে পালিয়ে যায়।

জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, ওই ঘটনার পর শিশুটির মা গাজীপুর সদর থানায় অভিযোগ করেন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের একটি টিম হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও সোর্সের দেওয়া তথ্যমতে প্রথমে পুবাইল থানা এলাকায় এবং সর্বশেষ সদর থানাধীন ভোড়া (চৌকিদার বাড়ী) এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শিশু লাবিবকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। এসময় অপহৃত শিশুকে কেনার জন্য অপেক্ষামান এক বেদে নারীসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অপরহণকারী সুলতানা খাতুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান অপহৃত শিশু লাবিবকে কেনার জন্য তারই বান্ধবী ফারজানা আক্তার ঢাকা থেকে এসে তার বাসায় রাত্রিযাপন করছিল। সকাল হলেই সে শিশুটিকে নিয়ে ঢাকায় চলে যেত।

এ বিষয়ে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর সংশোধনী/২০০৩ এর ৭ ধারায় অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানান জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকান দখল দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: ডিএমপি

হাসপাতাল থেকে অপহৃত শিশু উদ্ধার, গ্রেফতার ২

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৮:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০২৩

গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি : 

গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ড থেকে ১ বছরের শিশু লাবিবকে অপহরণ অভিযোগে বেদেসহ দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) আবু তোরাব মোহাম্মদ শামসুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অপহরণকারীরা হলেন- নেত্রকোনার বারহাট্টা থানার বাউশী দশাদার গ্রামের সুলতানা খাতুন, অপরজন ভোলার মনপুরা থানা হাজীরহাট গ্রামের ফারজানা আক্তার। ফারজানা অপহৃত শিশুটিকে কেনার জন্য অপহরণকারীর বাসায় অপেক্ষা করছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহানগরীর পুবাইল থানা এলাকায় ও সদর থানাধীন ভোড়া (চৌকিদার বাড়ী) এলাকার অভিযান চালিয়ে অপহৃত শিশু লাবিবকে উদ্ধারসহ দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অপহৃত শিশুর মা হামিদা আক্তার বলেন, দেড় মাস আগে আমার বড় ছেলের হাটুতে ব্যাথা পাওয়ায় তাকে নিয়ে সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হই। ভর্তি থাকার একপর্যায়ে গত ১ নভেম্বর বিকালে বোরখা পরা অজ্ঞাতপরিচয় এক নারী কৌশলে আমার ছোট ছেলে লাবিবকে অপহরণ করে নিয়ে পালিয়ে যায়।

জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, ওই ঘটনার পর শিশুটির মা গাজীপুর সদর থানায় অভিযোগ করেন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের একটি টিম হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও সোর্সের দেওয়া তথ্যমতে প্রথমে পুবাইল থানা এলাকায় এবং সর্বশেষ সদর থানাধীন ভোড়া (চৌকিদার বাড়ী) এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শিশু লাবিবকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। এসময় অপহৃত শিশুকে কেনার জন্য অপেক্ষামান এক বেদে নারীসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অপরহণকারী সুলতানা খাতুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান অপহৃত শিশু লাবিবকে কেনার জন্য তারই বান্ধবী ফারজানা আক্তার ঢাকা থেকে এসে তার বাসায় রাত্রিযাপন করছিল। সকাল হলেই সে শিশুটিকে নিয়ে ঢাকায় চলে যেত।

এ বিষয়ে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর সংশোধনী/২০০৩ এর ৭ ধারায় অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানান জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার।