নিজস্ব প্রতিবেদক :
২৮ অক্টোবর অরাজক পরিস্থিতির জন্য বিএনপির শীর্ষ নেতারা দায় এড়াতে পারেন না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, বিএনপির শীর্ষ নেতারা বসে সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন এবং সেই সিদ্ধান্তের ওপর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, বিচারপতিদের বাসভবনে হামলা, নারীদের ওপর হামলা, পুলিশ সদস্যকে হত্যাসহ এ সমস্ত ঘটনা ঘটেছে। কাজেই তারা দায় এড়াতে পারেন না।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, তারা হরতাল-অবরোধ দিয়েছে, তারা সমাবেশ করেছে। আমরা দেখেছি আগের সমাবেশগুলোতে তারা যা ওয়াদা করেছিল, তাই রেখেছে। কিন্তু ২৮ অক্টোবর সমাবেশের শুরু থেকেই তারা সহিংসতা করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের নারী কর্মীরা শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে প্রধান বিচারপতি বাসভবনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়। পুলিশ রক্ষা করতে গেলে তারা পুলিশের ওপরও চড়াও হয়। এরপর তারা একের পর এক নৃশংসতা করে চলছিল, পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়, সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়। পুলিশ হাসপাতালে হামলা করে অ্যাম্বুলেন্সে আগুনসহ অন্যান্য গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। সেদিনের হামলায় একজন পুলিশ সদস্য মারা গেছেন, আমাদের আরেকজন সদস্য মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, সবগুলো বিষয় পর্যালোচনা করলে সেদিন যে ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চলছিল, যারা সেদিন অবস্থান করছিলেন কেউ এর দায়দায়িত্ব এড়াতে পারবেন না। সেদিন নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত তারা অবস্থান করার কথা থাকলেও হামলার উদ্দেশ্যেই তারা আগে থেকেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। এসব অরাজক পরিস্থিতির ভিডিও যাদের পাচ্ছি তাদেরকে শনাক্ত করা হচ্ছে। আমরা সড়কে অনেক উন্নতমানের ক্যামেরা স্থাপন করেছিলাম, তারা সেদিন ক্যামেরাগুলোও নষ্ট করেছে। তারপরেও আমাদের কাছে যথেষ্ট আলামত রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেদিন যে সহিংস ঘটনা ঘটে, দলটির নেতারা সামনে বসে দেখছিলেন। নেতারা সিদ্ধান্ত দিচ্ছিলেন, আর কর্মীরা সেটার বাস্তবায়ন করছিলেন। তাই এ সহিংসতার দায় নেতারা এড়াতে পারবেন না।
গ্রেফতারকৃত বিএনপির শীর্ষ নেতাদের প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশের তদন্তে তারা যদি নির্দোষ হয়, তারা খালাস পাবেন। আর না হলে তাদের নামে চার্জশিট হবে।
এ সময় জেল হত্যা দিবস নিয়ে মন্ত্রী বলেন, কারাগারের মতো সবচেয়ে নিরপরাধ জায়গায় জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল, দেশের অগ্রযাত্রা রোধ করার জন্য। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সতর্ক থাকতে হবে। খুনিদের দেশে নিশ্চয়ই আনতে পারবো।