Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কাকে লজ্জায় ডুবিয়ে সেমিফাইনালে ভারত

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৯:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩
  • ২১২ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য ভারতের সামনে কেউই দাঁড়াতে পারছে না। আজ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে রীতিমত ইতিহাস রচনা করে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে রোহিত শর্মার দল। ভারতের দেওয়া পাহাড়সমান ৩৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন রানের লজ্জার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ১৯৯৬ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ভারতীয় পেসারদের বোলিং তোপে ২০তম ওভারে মাত্র ৫৫ রানেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। ফলে ৩০২ রানের বিশাল ব্যবধানে লজ্জার হারের রেকর্ড গড়ল কুশল মেন্ডিসের দল। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারের রেকর্ড। টানা সাত জয়ে প্রথম দল হিসেবে শেষ চার নিশ্চিত করেছে টিম ইন্ডিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারতের দেয়া ৩৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় লঙ্কানরা ক্রিজে দাঁড়াতেই পারেনি। তাদের ৫ ব্যাটারই আউট হন রানের খাতা খোলার আগে। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেন মাত্র ৩ ব্যাটার। বিপরীতে উইকেট শিকারে প্রতিযোগিতা করেছেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি ও মোহাম্মদ সিরাজরা। তবে সেই দৌড়ে সেরা শামি। ভারতের হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট পাওয়ার দিনে ডানহাতি পেসার মাত্র ১৮ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। এছাড়া ১৬ রানে সিরাজ ৩ উইকেট এবং একটি করে শিকার করেন জসপ্রিত বুমরাহ ও রবীন্দ্র জাদেজা।

সর্বশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালের ভারতের কাছে শোচনীয় হারের ‘ট্রমা’ থেকে হয়তো এখনও বের হতে পারেননি কুশল মেন্ডিসরা। প্রায় একই কায়দায় আজও তারা উইকেটে এসে যেন অন্ধকার দেখেছেন! শুরুটা হয় বুমরাহ’র করা একেবারে প্রথম বল থেকে। তার করা কিছুটা আউট সুইং হওয়া বলটিতে ক্রস ব্যাট চালান লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। খালি চোখেই স্পষ্ট আউট দেখতে পাওয়া সত্ত্বেও অতি আত্মবিশ্বাসে রিভিউ নেন তিনি। কিন্তু তাতে আর তার ভাগ্য বদল হয়নি। ফিরতে হয় গোল্ডেন ডাক খেয়েই।

এরপর দ্বিতীয় ওভারেও সিরাজের প্রথম বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে আরেক ওপেনার দিমুথ করুণারত্নে। তিনিও খেয়েছেন গোল্ডেন ডাক। সিরাজের ওভারে মাত্র চার বলের ব্যবধানে ফিরেন সাদিরা সামারাবিক্রমাও। ৪ বলে রানের খাতা খোলার আগেই সিরাজের বলে স্লিপে থাকা আইয়ারকে ক্যাচ দেন। দলের এমন বিপর্যয়ে রান পেতে বেশ সংগ্রাম করছিলেন লঙ্কান দলপতি কুশল মেন্ডিস। ১০ বলে এই ডানহাতি ব্যাটার ১ রান করেন। এরপর সিরাজের সুইং হওয়া বলটি তার স্টাম্প উড়িয়ে দেয়।

লঙ্কান ইনিংসের বাকি গল্পটা শামির লেখা। বোলিং তোপে শেষ ৬ উইকেটের পাঁচটিই গেছে শামির দখলে। বিশ্বকাপের প্রথম চার ম্যাচে ডাগআউটে কাটানো এই পেসার যেন সুদে-আসলে সব পরিশোধ করতে নেমেছেন। তিন ম্যাচের মধ্যেই তিনি দুবার ফাইফার (৫ উইকেট) পেয়েছেন। আরেক ম্যাচে তার শিকার ৪টি। সবমিলিয়ে তিন ম্যাচে ১৪ উইকেট শামির পকেটে। গতি ও সুইংয়ের মিশেলে তিনি ব্যাটারদের তটস্থ করে রাখার কৌশল আয়ত্ত করেছেন।

এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে ভালো শুরুর আভাস দেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই রোহিতকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান লঙ্কান পেসার দিলশান মাদুশাঙ্কা। এই বাঁহাতি পেসারের ইন সুইং বলের লাইনই বুঝতে পারেননি ৪ রান করা রোহিত।

এরপর ক্রিজে আসেন ইনফর্ম ব্যাটার ভিরাট কোহলি। ২য় উইকেট জুটিতে তরুণ ওপেনার শুভমান গিলকে সঙ্গী করে দলের হাল ধরেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। লঙ্কান বোলারদের বাজে বল পেলেই বাউন্ডারিতে পরিণত করেন ভিরাট। অন্যপ্রান্তে, শুরুতে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকলেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন গিল। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে এই দুই ব্যাটার মিলে ৬০ রান তুলে।

দু’জনেই পেয়া যান ফিফটির দেখা। ৫০ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৭০তম অর্ধশতকের দেখা পান কোহলি। অন্যদিকে ৫৫ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম ফিফটির দেখা পান গিল। দুজনেই ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে কিন্তু একজনও পাননি তিন অঙ্কের দেখা। তবে তা হতে দেননি লঙ্কান পেসার দিলশান মাদুশাঙ্কা। এই বাঁহাতি পেসারের করা স্লোয়ার বাউন্সার বলে টপ এজ হয়ে উইকেটের পেছনে কুশাল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৯২ রান করা গিল। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি কোহলি। তিনিও মাদুশঙ্কার কাটারে ড্রাইভ করতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ দেন পাথুম নিশাঙ্কার হাতে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৯তম সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও ফিরতে হয় ৮৮ রান করা কোহলিকে।

চতুর্থ উইকেটে লোকেশ রাহুলকে নিয়ে ভারতের ইনিংস মেরামত শুরু করেন শ্রেয়াস আইয়ার। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রাহুল। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার ফিরে যান ২১ রান করে। ব্যর্থ হয়েছেন সুরিয়া কুমার যাদবও। তিনি আউট হন ১২ রান করে। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলা আইয়ার আউট হয়েছেন ৫৬ বলে ৮২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে।

এরপর মোহাম্মদ শামি আউট হলে ভারতের গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে। অবশ্য জাদেজার ২৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংসে বড় পুঁজি নিশ্চিত করে ভারত। ইনিংসের শেষ বলে তিনি রান আউট হলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১ রান করা বুমরাহ। বল হাতে ৮০ রান খরচা করলেও ৫ উইকেট পেয়েছেন মাদুশঙ্কা। একটি উইকেট নেন দুশমান্থ চামিরা।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দেশের বিচার ও আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন : শিল্প উপদেষ্টা

শ্রীলঙ্কাকে লজ্জায় ডুবিয়ে সেমিফাইনালে ভারত

প্রকাশের সময় : ১০:৩৯:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য ভারতের সামনে কেউই দাঁড়াতে পারছে না। আজ মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে রীতিমত ইতিহাস রচনা করে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে রোহিত শর্মার দল। ভারতের দেওয়া পাহাড়সমান ৩৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন রানের লজ্জার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ১৯৯৬ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ভারতীয় পেসারদের বোলিং তোপে ২০তম ওভারে মাত্র ৫৫ রানেই গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। ফলে ৩০২ রানের বিশাল ব্যবধানে লজ্জার হারের রেকর্ড গড়ল কুশল মেন্ডিসের দল। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে হারের রেকর্ড। টানা সাত জয়ে প্রথম দল হিসেবে শেষ চার নিশ্চিত করেছে টিম ইন্ডিয়া।

বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারতের দেয়া ৩৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় লঙ্কানরা ক্রিজে দাঁড়াতেই পারেনি। তাদের ৫ ব্যাটারই আউট হন রানের খাতা খোলার আগে। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেন মাত্র ৩ ব্যাটার। বিপরীতে উইকেট শিকারে প্রতিযোগিতা করেছেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি ও মোহাম্মদ সিরাজরা। তবে সেই দৌড়ে সেরা শামি। ভারতের হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট পাওয়ার দিনে ডানহাতি পেসার মাত্র ১৮ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। এছাড়া ১৬ রানে সিরাজ ৩ উইকেট এবং একটি করে শিকার করেন জসপ্রিত বুমরাহ ও রবীন্দ্র জাদেজা।

সর্বশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালের ভারতের কাছে শোচনীয় হারের ‘ট্রমা’ থেকে হয়তো এখনও বের হতে পারেননি কুশল মেন্ডিসরা। প্রায় একই কায়দায় আজও তারা উইকেটে এসে যেন অন্ধকার দেখেছেন! শুরুটা হয় বুমরাহ’র করা একেবারে প্রথম বল থেকে। তার করা কিছুটা আউট সুইং হওয়া বলটিতে ক্রস ব্যাট চালান লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। খালি চোখেই স্পষ্ট আউট দেখতে পাওয়া সত্ত্বেও অতি আত্মবিশ্বাসে রিভিউ নেন তিনি। কিন্তু তাতে আর তার ভাগ্য বদল হয়নি। ফিরতে হয় গোল্ডেন ডাক খেয়েই।

এরপর দ্বিতীয় ওভারেও সিরাজের প্রথম বলেই লেগ বিফোরের ফাঁদে আরেক ওপেনার দিমুথ করুণারত্নে। তিনিও খেয়েছেন গোল্ডেন ডাক। সিরাজের ওভারে মাত্র চার বলের ব্যবধানে ফিরেন সাদিরা সামারাবিক্রমাও। ৪ বলে রানের খাতা খোলার আগেই সিরাজের বলে স্লিপে থাকা আইয়ারকে ক্যাচ দেন। দলের এমন বিপর্যয়ে রান পেতে বেশ সংগ্রাম করছিলেন লঙ্কান দলপতি কুশল মেন্ডিস। ১০ বলে এই ডানহাতি ব্যাটার ১ রান করেন। এরপর সিরাজের সুইং হওয়া বলটি তার স্টাম্প উড়িয়ে দেয়।

লঙ্কান ইনিংসের বাকি গল্পটা শামির লেখা। বোলিং তোপে শেষ ৬ উইকেটের পাঁচটিই গেছে শামির দখলে। বিশ্বকাপের প্রথম চার ম্যাচে ডাগআউটে কাটানো এই পেসার যেন সুদে-আসলে সব পরিশোধ করতে নেমেছেন। তিন ম্যাচের মধ্যেই তিনি দুবার ফাইফার (৫ উইকেট) পেয়েছেন। আরেক ম্যাচে তার শিকার ৪টি। সবমিলিয়ে তিন ম্যাচে ১৪ উইকেট শামির পকেটে। গতি ও সুইংয়ের মিশেলে তিনি ব্যাটারদের তটস্থ করে রাখার কৌশল আয়ত্ত করেছেন।

এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে ভালো শুরুর আভাস দেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে ইনিংসের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই রোহিতকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান লঙ্কান পেসার দিলশান মাদুশাঙ্কা। এই বাঁহাতি পেসারের ইন সুইং বলের লাইনই বুঝতে পারেননি ৪ রান করা রোহিত।

এরপর ক্রিজে আসেন ইনফর্ম ব্যাটার ভিরাট কোহলি। ২য় উইকেট জুটিতে তরুণ ওপেনার শুভমান গিলকে সঙ্গী করে দলের হাল ধরেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। লঙ্কান বোলারদের বাজে বল পেলেই বাউন্ডারিতে পরিণত করেন ভিরাট। অন্যপ্রান্তে, শুরুতে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকলেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন গিল। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে এই দুই ব্যাটার মিলে ৬০ রান তুলে।

দু’জনেই পেয়া যান ফিফটির দেখা। ৫০ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৭০তম অর্ধশতকের দেখা পান কোহলি। অন্যদিকে ৫৫ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম ফিফটির দেখা পান গিল। দুজনেই ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিকে কিন্তু একজনও পাননি তিন অঙ্কের দেখা। তবে তা হতে দেননি লঙ্কান পেসার দিলশান মাদুশাঙ্কা। এই বাঁহাতি পেসারের করা স্লোয়ার বাউন্সার বলে টপ এজ হয়ে উইকেটের পেছনে কুশাল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৯২ রান করা গিল। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি কোহলি। তিনিও মাদুশঙ্কার কাটারে ড্রাইভ করতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ দেন পাথুম নিশাঙ্কার হাতে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৯তম সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও ফিরতে হয় ৮৮ রান করা কোহলিকে।

চতুর্থ উইকেটে লোকেশ রাহুলকে নিয়ে ভারতের ইনিংস মেরামত শুরু করেন শ্রেয়াস আইয়ার। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রাহুল। এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার ফিরে যান ২১ রান করে। ব্যর্থ হয়েছেন সুরিয়া কুমার যাদবও। তিনি আউট হন ১২ রান করে। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলা আইয়ার আউট হয়েছেন ৫৬ বলে ৮২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে।

এরপর মোহাম্মদ শামি আউট হলে ভারতের গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে। অবশ্য জাদেজার ২৪ বলে ৩৫ রানের ইনিংসে বড় পুঁজি নিশ্চিত করে ভারত। ইনিংসের শেষ বলে তিনি রান আউট হলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১ রান করা বুমরাহ। বল হাতে ৮০ রান খরচা করলেও ৫ উইকেট পেয়েছেন মাদুশঙ্কা। একটি উইকেট নেন দুশমান্থ চামিরা।