Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার আত্মহত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে আফসানা হক সাথী (৩৩) নামের এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বুধবার (১ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সাথী জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্যপাড়ার (বর্ডার বাজার) পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। আফসানা হক সাথী দুই ছেলে সন্তানের জননী ও সদর উপজেলায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করতেন।

সাথীর বাবা ফজলুল হক জানান, সাথী নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১১ সালে বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিষ্ণুপুর গ্রামের আলী হায়দারের ছেলে ইমরান খান সবুজের সঙ্গে তার মেয়ে বিয়ে দেন। বিয়ের পর তাদের ঘরে দুটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের পর থেকে সবুজ যৌতুকের জন্য একাধিকবার সাথীকে মারধর করেছেন। সবুজ অন্য নারীদের প্রতি আসক্ত ছিলেন। সব কিছু জেনেও সাথী দুটি সন্তানের কথা ভেবে স্বামীর সংসার করছিলেন।

তিনি আরও জানান, গত কয়েকদিন আগে আবার পরকীয়ায় লিপ্ত হন সবুজ। পরে এসব নিয়ে সবুজ প্রায়ই সাথীর সঙ্গে ঝগড়া করতেন। তেমনিভাবে মঙ্গলবার সাথীর সঙ্গে সবুজ ঝগড়া করেন। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বুধবার রাতে সবার অজান্তে চালের পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সাথী। পরে সবুজ সাথীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাথীর মৃত্যু হয়। সাথীর মৃত্যুর কথা শুনে সবুজ হাসপাতালে সাথীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যান।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে সাথী নামে ওই সরকারি কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।

এ ব্যাপারে সদর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। আইনি বিষয়টি পুলিশ দেখছে। এর বেশি কিছু এখনো আমরা জানি না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার আত্মহত্যা

প্রকাশের সময় : ০৭:২০:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি : 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে আফসানা হক সাথী (৩৩) নামের এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বুধবার (১ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সাথী জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্যপাড়ার (বর্ডার বাজার) পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। আফসানা হক সাথী দুই ছেলে সন্তানের জননী ও সদর উপজেলায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করতেন।

সাথীর বাবা ফজলুল হক জানান, সাথী নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১১ সালে বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিষ্ণুপুর গ্রামের আলী হায়দারের ছেলে ইমরান খান সবুজের সঙ্গে তার মেয়ে বিয়ে দেন। বিয়ের পর তাদের ঘরে দুটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের পর থেকে সবুজ যৌতুকের জন্য একাধিকবার সাথীকে মারধর করেছেন। সবুজ অন্য নারীদের প্রতি আসক্ত ছিলেন। সব কিছু জেনেও সাথী দুটি সন্তানের কথা ভেবে স্বামীর সংসার করছিলেন।

তিনি আরও জানান, গত কয়েকদিন আগে আবার পরকীয়ায় লিপ্ত হন সবুজ। পরে এসব নিয়ে সবুজ প্রায়ই সাথীর সঙ্গে ঝগড়া করতেন। তেমনিভাবে মঙ্গলবার সাথীর সঙ্গে সবুজ ঝগড়া করেন। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বুধবার রাতে সবার অজান্তে চালের পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন সাথী। পরে সবুজ সাথীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাথীর মৃত্যু হয়। সাথীর মৃত্যুর কথা শুনে সবুজ হাসপাতালে সাথীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যান।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে সাথী নামে ওই সরকারি কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।

এ ব্যাপারে সদর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। আইনি বিষয়টি পুলিশ দেখছে। এর বেশি কিছু এখনো আমরা জানি না।