Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:২৮:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
  • ২৩৬ জন দেখেছেন

বিনোদন ডেস্ক : 

গত সপ্তাহেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের বিরতির উদ্যোগ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন হলিউডের প্রথম সারির অভিনয়শিল্পীরা। এবার ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। নিজের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রামে এক দীর্ঘ পোস্টে নিজের মত জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

ইসরায়েলে যা হয়েছে, তা অবশ্যই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। কিন্তু এ জন্য আপনি গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বোমাবর্ষণ করতে পারেন না, নিরপরাধ মানুষের জীবন নিতে পারেন না।

তাঁদের কোথায় যাওয়ার নেই, খাবার বা পানি নেই; এমনকি সীমান্ত পার হয়ে শরণার্থী হিসেবে মৌলিক অধিকার দাবি করার উপায়ও নেই,’ এভাবেই ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন জোলি।

বিবৃতিতে জোলি আরও লিখেছেন, আমার মনোযোগ সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের দিকে। গাজায় ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস করেন (যাদের অর্ধেকই শিশু); যাঁরা প্রায় দুই দশক ধরে অবরোধের মধ্যে আছে। তাঁর বাস্তুহীন ও রাষ্ট্রহীন অবস্থায় আছে। গাজায় কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে, যা প্রয়োজনের একটি ভগ্নাংশমাত্র। বোমাবর্ষণের কারণে প্রতিদিনই ব্যাপকভাবে মানবিক সহায়তার প্রয়োজন তৈরি হচ্ছে। মান খাদ্য, জ্বালানি ও পানি বন্ধ করে দিয়ে তাদের সমষ্টিগতভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। মানবতার খাতিরে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি দাবি করছি। ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের জীবন ও বিশ্বব্যাপী সব মানুষের জীবন সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

এই প্রথম নয়, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে মানবিক সংকট তৈরি হলেও কথা বলেছেন জোলি। প্রায় দুই দশক ধরে এই অভিনেত্রী জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার হয়ে কাজ করেছেন।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আরও বলেন, ‘গাজায় শিশুদের হত্যা করা হয়েছে এবং অনেক শিশু এখন বাবা-মা হারা হয়ে গেছে। অবিলম্বে আটককৃত ও জিম্মিদের মুক্তি দেয়া প্রয়োজন। স্বজন হারাদের অকল্পনীয় যন্ত্রণা ও তাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি।’

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় গত ২২ দিনে নিহত হয়েছেন আট হাজার ৩০৬ ফিলিস্তিনি। এদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সর্বাত্মক অবরোধের মুখে থাকা গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা আট হাজার ৩০৬ জনে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শিশু রয়েছে তিন হাজার ৪৫৭টি আর নারীর সংখ্যা দুই হাজার ২৩৬ জন। এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে বা নিখোঁজ রয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর বর্বরোচিত এই হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে রোববার (২৯ অক্টোবর) পর্যন্ত ২১ হাজার ৪৮ ফিলিস্তিনি নাগরিক আহত হয়েছেন।

এদিকে, গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় চিকিৎসকসহ ১২৪ স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ অক্টোবর) এমনটি জানিয়েছেন, গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদ্রসা। তিনি আরও জানিয়েছেন, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর জ্বালানি সঙ্কটে ২৫টি অ্যাম্বুলেন্স অচল হয়ে পড়েছে এবং ৩২টি মেডিকেল সেন্টারও পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

প্রকাশের সময় : ০৪:২৮:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

বিনোদন ডেস্ক : 

গত সপ্তাহেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের বিরতির উদ্যোগ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্দেশে চিঠি লিখেছেন হলিউডের প্রথম সারির অভিনয়শিল্পীরা। এবার ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। নিজের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রামে এক দীর্ঘ পোস্টে নিজের মত জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

ইসরায়েলে যা হয়েছে, তা অবশ্যই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। কিন্তু এ জন্য আপনি গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বোমাবর্ষণ করতে পারেন না, নিরপরাধ মানুষের জীবন নিতে পারেন না।

তাঁদের কোথায় যাওয়ার নেই, খাবার বা পানি নেই; এমনকি সীমান্ত পার হয়ে শরণার্থী হিসেবে মৌলিক অধিকার দাবি করার উপায়ও নেই,’ এভাবেই ইসরায়েল-হামাস সংঘাত নিয়ে ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন জোলি।

বিবৃতিতে জোলি আরও লিখেছেন, আমার মনোযোগ সহিংসতার কারণে বাস্তুচ্যুত মানুষের দিকে। গাজায় ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস করেন (যাদের অর্ধেকই শিশু); যাঁরা প্রায় দুই দশক ধরে অবরোধের মধ্যে আছে। তাঁর বাস্তুহীন ও রাষ্ট্রহীন অবস্থায় আছে। গাজায় কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে, যা প্রয়োজনের একটি ভগ্নাংশমাত্র। বোমাবর্ষণের কারণে প্রতিদিনই ব্যাপকভাবে মানবিক সহায়তার প্রয়োজন তৈরি হচ্ছে। মান খাদ্য, জ্বালানি ও পানি বন্ধ করে দিয়ে তাদের সমষ্টিগতভাবে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। মানবতার খাতিরে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি দাবি করছি। ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের জীবন ও বিশ্বব্যাপী সব মানুষের জীবন সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

এই প্রথম নয়, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে মানবিক সংকট তৈরি হলেও কথা বলেছেন জোলি। প্রায় দুই দশক ধরে এই অভিনেত্রী জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার হয়ে কাজ করেছেন।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আরও বলেন, ‘গাজায় শিশুদের হত্যা করা হয়েছে এবং অনেক শিশু এখন বাবা-মা হারা হয়ে গেছে। অবিলম্বে আটককৃত ও জিম্মিদের মুক্তি দেয়া প্রয়োজন। স্বজন হারাদের অকল্পনীয় যন্ত্রণা ও তাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি।’

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ হামলায় গত ২২ দিনে নিহত হয়েছেন আট হাজার ৩০৬ ফিলিস্তিনি। এদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সর্বাত্মক অবরোধের মুখে থাকা গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা আট হাজার ৩০৬ জনে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শিশু রয়েছে তিন হাজার ৪৫৭টি আর নারীর সংখ্যা দুই হাজার ২৩৬ জন। এখনো বহু মানুষ ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে বা নিখোঁজ রয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর বর্বরোচিত এই হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে রোববার (২৯ অক্টোবর) পর্যন্ত ২১ হাজার ৪৮ ফিলিস্তিনি নাগরিক আহত হয়েছেন।

এদিকে, গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় চিকিৎসকসহ ১২৪ স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন। সোমবার (৩০ অক্টোবর) এমনটি জানিয়েছেন, গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদ্রসা। তিনি আরও জানিয়েছেন, গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর জ্বালানি সঙ্কটে ২৫টি অ্যাম্বুলেন্স অচল হয়ে পড়েছে এবং ৩২টি মেডিকেল সেন্টারও পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে।