Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অষ্টম ব্যালন ডি’অর জিতলেন মেসি

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:১৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৯৯ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দিয়েছেন। পিএসজি থেকে ‘অপমানিত’ হয়ে প্যারিস ছাড়লেও জিতেছেন লিগ ওয়ান ট্রফি। নতুন ক্লাব ইন্টার মায়ামিকে আমূলে বদলেরও ফেলেছেন। আনুষ্ঠানিক আয়োজনের আগে থেকেই গুঞ্জন ওঠে, এবারের ব্যালন ডি’অর লিওনেল মেসির হাতেই উঠতে যাচ্ছে। গুঞ্জনই সত্যি হলো।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) প্যারিসে জমকালো আয়োজনে ব্যালন ডি’অর জিতলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। এই পুরস্কার জয়ের রেকর্ড আরও বাড়িয়ে নিলেন মেসি। এটি তার অষ্টম ব্যালন ডি’অর। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচটি ব্যালন ডি’অরের মালিক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে আরও পেছনে ফেললেন ৩৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

ব্যালন ডি’অর ২০২৩ জেতার দৌড়ে মেসি এবার পেছনে ফেলেছেন ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজীয় তারকা আর্লিং হলান্ড এবং পিএসজির ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে।

সাদা শার্টের ওপর কালো কোট এবং কালো বো টাই পরে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন মেসি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিন ছেলে ও স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো। লিও লিও ধ্বনির মধ্যে প্রথমে স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে এবং পরে একক ছবিও তোলেন মেসি।

এদিন আইভরি কোস্টের কিংবদন্তি ফুটবলার দিদিয়ের দ্রগবার সঙ্গে পুরস্কার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ফরাসি সাংবাদিক ও উপস্থাপক স্যান্ডি হেরিবার্ট। ফুটবলের নক্ষত্রদের ভিড়ে আলাদাভাবে দৃষ্টি কেড়েছে টেনিস মহাতারকা নোভাক জোকোভিচের উপস্থিতিও।

অনুষ্ঠানে সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের কোপা ট্রফি জিতেছেন রিয়াল মাদ্রিদের ইংলিশ তারকা জুড বেলিংহাম। বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন স্প্যানিশ বিশ্বকাপজয়ী নারী ফুটবলার আইতানা বোনামাতি। আর অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারের পুরস্কার উঠেছে মেসির হাতে। মেসির ৮ম ব্যালন ডি’অর জেতার ঘোষণা দেন ইংলিশ কিংবদন্তি ডেভিড বেকহাম।

মেসির নাম ঘোষণার পর উপস্থিত সকলেই দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান জানান। পুরস্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মেসি বলেছেন, মুহূর্তটা উপভোগের জন্য এখানে আরেকবার উপস্থিত হতে পেরে আমি আনন্দিত। এ সময় বিশ্বকাপ জেতা নিয়েও নিজের অনুভূতিটা আরেকবার জানান মেসি, ‘বিশ্বকাপ জেতাটা ছিল আমার স্বপ্ন। এটা খুবই বিশেষ ব্যাপার ছিল যে, অন্য দেশের মানুষরাও চেয়েছে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতুক।

নিজের অর্জন নিয়ে মেসি আরও বলেছেন, আমার এমন ক্যারিয়ার আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি যা অর্জন করেছি তা করার জন্য আমার ভাগ্য দারুণ সুপ্রসন্ন ছিল। আমি বিশ্বের সেরা দলে খেলেছি, ইতিহাসের সেরা দলে খেলেছি। এটা আমার জন্য ট্রফি জেতা এবং ব্যক্তিগত পুরস্কার জেতার কাজটাকে সহজ করেছে।

গত মৌসুমটা স্বপ্নের মতোই কেটেছে মেসির। মৌসুমটিতে ক্যারিয়ারে একমাত্র অপূর্ণতাটুকুও ঘুচিয়েছেন ইন্টার মায়ামি তারকা। ৩৬ বছর পর মেসির হাত ধরেই বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে টুর্নামেন্টেরে সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। বিশ্বকাপ জিতে নিজের সব চাওয়া পাওয়া পূর্ণ হওয়ার কথাও বলেছিলেন মেসি।

কিন্তু ভক্ত-সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল বিশ্বকাপ জয়ের বছরে ব্যালন ডি’অরের পুরস্কারটাও মেসির হাতেই উঠুক। প্যারিসে সেই সমর্থকরাই যেন আজ জিতেছেন। নয়তো মেসি তো ব্যালন ডি’অর নিয়ে নিজের আর কোনো আকাঙ্ক্ষা না থাকার কথা জানিয়েই দিয়েছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, সত্যি হচ্ছে, এটা নিয়ে আমি অতটা ভাবছি না। যদি পুরস্কারটা পাই, ভালো। আর যদি না পাই, কিছুই আসে যায় না।

ব্যালন ডি’অর নিয়ে এমন নির্লিপ্ততা কেন, সেই কারণও জানিয়েছেন মেসি, আমি আমার ক্যারিয়ারে এটা অনেকবার বলেছি যে ব্যালন ডি’অর গুরুত্বপূর্ণ একটা পুরস্কার। ব্যক্তিগত পর্যায়ে এটা সবচেয়ে সুন্দর পুরস্কার। কিন্তু আমি কখনোই এটাকে অতটা গুরুত্ব দিইনি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল দলীয় অর্জন।

তবে মেসির এই নির্লিপ্ততাও ব্যালন ডি’অরকে তাঁর দিকে আসা থেকে রুখতে পারেনি। একই সঙ্গে এই পুরস্কার তাঁকে ফের প্যারিসেও ফিরিয়ে এনেছে। পিএসজিতে দুই বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে গত মৌসুম শেষে প্যারিস ছেড়েছিলেন মেসি। তবে এবার চওড়া হাসি নিয়ে প্যারিস ছাড়তে পারবেন ‘এলএম টেন’।

তবে অষ্টম ব্যালন ডি’অর জিতে ঠিক ম্যারাডোনাকে স্মরণ করলেন মেসি। এদিন প্রয়াত আর্জেন্টাইন ফুটবল গ্রেটের জন্মদিন ছিল, আজ আমি ডিয়েগোর নাম বলতে চাই। এখানে অনেক ফুটবলপ্রেমী আছেন, তিনিও এমন মানুষদের সঙ্গে থাকতে চাইতেন। আর তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর মতো এর চেয়ে ভালো জায়গা আর হতে পারে না। আপনি যেখানেই থাকুন না ডিয়েগো, শুভ জন্মদিন। এটা (ব্যালন ডি’অর) আপনার জন্যও।

পুরস্কারের দৌড়ে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করা হাল্যান্ডকে নিয়ে মেসি বললেন, যেমনটা বলেছিলাম, সেও ভালোভাবে ব্যালন ডি’অরের দাবি রাখে। আর্লিং প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে, সবগুলোতে সে শীর্ষ গোলদাতা ছিল। এই পুরস্কার আজ তোমারও হতে পারতো। আমি নিশ্চিত তুমি আগামীতে এটি জিতবে।

মেসির অষ্টম ব্যালন ডি’অর জয়ে ফিকে হয়ে গেলো নরওয়ের স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ডের স্বপ্নের মতো কাটানো মৌসুমটি। ট্রেবল জয়ের পাশাপাশি ইউরোপের গোল্ডেন বুটও ছিল তার ঝুলিতে। ২৩ বছর বয়সী এই গোল মেশিন গত মৌসুমে সব ধরণের প্রতিযোগিতায় ৫৩ গোল করেছেন। কিন্তু এক বিশ্বকাপের কাছে যে সবকিছুই অর্থহীন।

ব্যালন ডি’অর যে সময়ের বিবেচনায় দেয়া হয় সেই সময়টায় মেসি জিতেছেন বিশ্বকাপ ট্রফি, জিতেছেন বিশ্বকাপ গোল্ডেন বল। এছাড়া ফিফার বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারও হয়েছেন তিনি। তাছাড়া ফ্রেঞ্চ লিগ, ট্রফি দিস চ্যাম্পিয়নস, লরিস স্পোর্টসম্যান অফ দ্য ইয়ারও হয়েছেন মেসি। ভেঙেছেন অসংখ্য রেকর্ডও। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাও মেসি।

তাই যোগ্যতার ভিত্তিতেই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ খরা কাটিয়ে ব্যালন ডি’অর জয় কেবল মেসিরই প্রাপ্য। এর আগে মেসি ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯, ২০২১ সালে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন মেসি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অষ্টম ব্যালন ডি’অর জিতলেন মেসি

প্রকাশের সময় : ১২:১৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দিয়েছেন। পিএসজি থেকে ‘অপমানিত’ হয়ে প্যারিস ছাড়লেও জিতেছেন লিগ ওয়ান ট্রফি। নতুন ক্লাব ইন্টার মায়ামিকে আমূলে বদলেরও ফেলেছেন। আনুষ্ঠানিক আয়োজনের আগে থেকেই গুঞ্জন ওঠে, এবারের ব্যালন ডি’অর লিওনেল মেসির হাতেই উঠতে যাচ্ছে। গুঞ্জনই সত্যি হলো।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) প্যারিসে জমকালো আয়োজনে ব্যালন ডি’অর জিতলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। এই পুরস্কার জয়ের রেকর্ড আরও বাড়িয়ে নিলেন মেসি। এটি তার অষ্টম ব্যালন ডি’অর। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচটি ব্যালন ডি’অরের মালিক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে আরও পেছনে ফেললেন ৩৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

ব্যালন ডি’অর ২০২৩ জেতার দৌড়ে মেসি এবার পেছনে ফেলেছেন ম্যানচেস্টার সিটির নরওয়েজীয় তারকা আর্লিং হলান্ড এবং পিএসজির ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে।

সাদা শার্টের ওপর কালো কোট এবং কালো বো টাই পরে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন মেসি। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তিন ছেলে ও স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো। লিও লিও ধ্বনির মধ্যে প্রথমে স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে এবং পরে একক ছবিও তোলেন মেসি।

এদিন আইভরি কোস্টের কিংবদন্তি ফুটবলার দিদিয়ের দ্রগবার সঙ্গে পুরস্কার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ফরাসি সাংবাদিক ও উপস্থাপক স্যান্ডি হেরিবার্ট। ফুটবলের নক্ষত্রদের ভিড়ে আলাদাভাবে দৃষ্টি কেড়েছে টেনিস মহাতারকা নোভাক জোকোভিচের উপস্থিতিও।

অনুষ্ঠানে সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের কোপা ট্রফি জিতেছেন রিয়াল মাদ্রিদের ইংলিশ তারকা জুড বেলিংহাম। বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন স্প্যানিশ বিশ্বকাপজয়ী নারী ফুটবলার আইতানা বোনামাতি। আর অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারের পুরস্কার উঠেছে মেসির হাতে। মেসির ৮ম ব্যালন ডি’অর জেতার ঘোষণা দেন ইংলিশ কিংবদন্তি ডেভিড বেকহাম।

মেসির নাম ঘোষণার পর উপস্থিত সকলেই দাঁড়িয়ে তাঁকে সম্মান জানান। পুরস্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় মেসি বলেছেন, মুহূর্তটা উপভোগের জন্য এখানে আরেকবার উপস্থিত হতে পেরে আমি আনন্দিত। এ সময় বিশ্বকাপ জেতা নিয়েও নিজের অনুভূতিটা আরেকবার জানান মেসি, ‘বিশ্বকাপ জেতাটা ছিল আমার স্বপ্ন। এটা খুবই বিশেষ ব্যাপার ছিল যে, অন্য দেশের মানুষরাও চেয়েছে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতুক।

নিজের অর্জন নিয়ে মেসি আরও বলেছেন, আমার এমন ক্যারিয়ার আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি যা অর্জন করেছি তা করার জন্য আমার ভাগ্য দারুণ সুপ্রসন্ন ছিল। আমি বিশ্বের সেরা দলে খেলেছি, ইতিহাসের সেরা দলে খেলেছি। এটা আমার জন্য ট্রফি জেতা এবং ব্যক্তিগত পুরস্কার জেতার কাজটাকে সহজ করেছে।

গত মৌসুমটা স্বপ্নের মতোই কেটেছে মেসির। মৌসুমটিতে ক্যারিয়ারে একমাত্র অপূর্ণতাটুকুও ঘুচিয়েছেন ইন্টার মায়ামি তারকা। ৩৬ বছর পর মেসির হাত ধরেই বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে টুর্নামেন্টেরে সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। বিশ্বকাপ জিতে নিজের সব চাওয়া পাওয়া পূর্ণ হওয়ার কথাও বলেছিলেন মেসি।

কিন্তু ভক্ত-সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল বিশ্বকাপ জয়ের বছরে ব্যালন ডি’অরের পুরস্কারটাও মেসির হাতেই উঠুক। প্যারিসে সেই সমর্থকরাই যেন আজ জিতেছেন। নয়তো মেসি তো ব্যালন ডি’অর নিয়ে নিজের আর কোনো আকাঙ্ক্ষা না থাকার কথা জানিয়েই দিয়েছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, সত্যি হচ্ছে, এটা নিয়ে আমি অতটা ভাবছি না। যদি পুরস্কারটা পাই, ভালো। আর যদি না পাই, কিছুই আসে যায় না।

ব্যালন ডি’অর নিয়ে এমন নির্লিপ্ততা কেন, সেই কারণও জানিয়েছেন মেসি, আমি আমার ক্যারিয়ারে এটা অনেকবার বলেছি যে ব্যালন ডি’অর গুরুত্বপূর্ণ একটা পুরস্কার। ব্যক্তিগত পর্যায়ে এটা সবচেয়ে সুন্দর পুরস্কার। কিন্তু আমি কখনোই এটাকে অতটা গুরুত্ব দিইনি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল দলীয় অর্জন।

তবে মেসির এই নির্লিপ্ততাও ব্যালন ডি’অরকে তাঁর দিকে আসা থেকে রুখতে পারেনি। একই সঙ্গে এই পুরস্কার তাঁকে ফের প্যারিসেও ফিরিয়ে এনেছে। পিএসজিতে দুই বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে গত মৌসুম শেষে প্যারিস ছেড়েছিলেন মেসি। তবে এবার চওড়া হাসি নিয়ে প্যারিস ছাড়তে পারবেন ‘এলএম টেন’।

তবে অষ্টম ব্যালন ডি’অর জিতে ঠিক ম্যারাডোনাকে স্মরণ করলেন মেসি। এদিন প্রয়াত আর্জেন্টাইন ফুটবল গ্রেটের জন্মদিন ছিল, আজ আমি ডিয়েগোর নাম বলতে চাই। এখানে অনেক ফুটবলপ্রেমী আছেন, তিনিও এমন মানুষদের সঙ্গে থাকতে চাইতেন। আর তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর মতো এর চেয়ে ভালো জায়গা আর হতে পারে না। আপনি যেখানেই থাকুন না ডিয়েগো, শুভ জন্মদিন। এটা (ব্যালন ডি’অর) আপনার জন্যও।

পুরস্কারের দৌড়ে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করা হাল্যান্ডকে নিয়ে মেসি বললেন, যেমনটা বলেছিলাম, সেও ভালোভাবে ব্যালন ডি’অরের দাবি রাখে। আর্লিং প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে, সবগুলোতে সে শীর্ষ গোলদাতা ছিল। এই পুরস্কার আজ তোমারও হতে পারতো। আমি নিশ্চিত তুমি আগামীতে এটি জিতবে।

মেসির অষ্টম ব্যালন ডি’অর জয়ে ফিকে হয়ে গেলো নরওয়ের স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ডের স্বপ্নের মতো কাটানো মৌসুমটি। ট্রেবল জয়ের পাশাপাশি ইউরোপের গোল্ডেন বুটও ছিল তার ঝুলিতে। ২৩ বছর বয়সী এই গোল মেশিন গত মৌসুমে সব ধরণের প্রতিযোগিতায় ৫৩ গোল করেছেন। কিন্তু এক বিশ্বকাপের কাছে যে সবকিছুই অর্থহীন।

ব্যালন ডি’অর যে সময়ের বিবেচনায় দেয়া হয় সেই সময়টায় মেসি জিতেছেন বিশ্বকাপ ট্রফি, জিতেছেন বিশ্বকাপ গোল্ডেন বল। এছাড়া ফিফার বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারও হয়েছেন তিনি। তাছাড়া ফ্রেঞ্চ লিগ, ট্রফি দিস চ্যাম্পিয়নস, লরিস স্পোর্টসম্যান অফ দ্য ইয়ারও হয়েছেন মেসি। ভেঙেছেন অসংখ্য রেকর্ডও। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাও মেসি।

তাই যোগ্যতার ভিত্তিতেই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ খরা কাটিয়ে ব্যালন ডি’অর জয় কেবল মেসিরই প্রাপ্য। এর আগে মেসি ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯, ২০২১ সালে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন মেসি।