Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন না মাইক পেন্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। ২০২৪ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

এ লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু করলেও স্থানীয় সময় শনিবার (২৮ অক্টোবর) হঠাৎ করেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। রোববার (২৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। শনিবার বিকেলে লাস ভেগাসে তিনি এ ঘোষণা দেন। এসময় পেন্স বলেন, ‘এটা আমার সময় নয়।

এক বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, আমরা সবসময় জানতাম এই লড়াইয়ে চড়াই-উতরাই থাকবে, কিন্তু আমার কোনও অনুশোচনা নেই।

বিবিসি বলছে, মাইক পেন্স হচ্ছেন প্রধান সারির প্রথম কোনও রিপাবলিকান প্রার্থী যিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। অবশ্য অগণিত আইনি সমস্যা নিয়েই সাম্প্রতিক জনমত জরিপগুলোতে রিপাবলিকান পার্টির অন্যান্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আর তারই সাবেক ডেপুটি পেন্স দলের ভেতরে সাম্প্রতিক ভোটগুলোতে অনেকটা নিঃস্ব হয়ে পড়েছিলেন। এমনকি রিপাবলিকান ভোটারদের সমর্থন পেতে কার্যত লড়াই করছিলেন তিনি। আর এরই একপর্যায়ে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন পেন্স।

মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেশ ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন ৬৪ বছর বয়সী মাইক পেন্স। তবে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার পর তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। ওই হামলার আগপর্যন্ত ট্রাম্পের খুবই অনুগত ছিলেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য গত জুন মাসে আসরে নামেন মাইক পেন্স। এমনকি নিজের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ট্রাম্পের ওপর চাপ বেড়ে গিয়েছিল বলেও মনে করা হচ্ছিল।

গত ৫ জুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য পেন্স মনোনয়নপত্র জমা দেন। ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর পেন্স ট্রাম্পের একজন বিশ্বস্ত সহযোগী ছিলেন। বাইডেনের কাছে পরাজয়ের পর ২০২১ সালে ট্রাম্প সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলে হামলা চালালে ট্রাম্পের সঙ্গে পেন্সের দূরত্ব তৈরি হয়।

এছাড়া জো বাইডেনের জয়কে বেআইনি আখ্যা দেওয়ার জন্য পেন্সের ওপর ট্রাম্প চাপ তৈরি করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। আর এরপর থেকেই ট্রাম্পের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রেখেই চলছিলেন সাবেক এই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে শনিবার সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া বিবৃতিতে মাইক আরও পেন্স বলেন, আমি নির্বাচনের প্রচারণা থেকে সরে যাচ্ছি। কিন্তু আমি কখনোই রক্ষণশীলদের মূল্যবোধের এই লড়াই ত্যাগ করবো না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন না মাইক পেন্স

প্রকাশের সময় : ০২:৪০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। ২০২৪ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার অংশ নেওয়ার কথা ছিল।

এ লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু করলেও স্থানীয় সময় শনিবার (২৮ অক্টোবর) হঠাৎ করেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। রোববার (২৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। শনিবার বিকেলে লাস ভেগাসে তিনি এ ঘোষণা দেন। এসময় পেন্স বলেন, ‘এটা আমার সময় নয়।

এক বিবৃতিতে তিনি লিখেছেন, আমরা সবসময় জানতাম এই লড়াইয়ে চড়াই-উতরাই থাকবে, কিন্তু আমার কোনও অনুশোচনা নেই।

বিবিসি বলছে, মাইক পেন্স হচ্ছেন প্রধান সারির প্রথম কোনও রিপাবলিকান প্রার্থী যিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। অবশ্য অগণিত আইনি সমস্যা নিয়েই সাম্প্রতিক জনমত জরিপগুলোতে রিপাবলিকান পার্টির অন্যান্য প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের তুলনায় এগিয়ে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আর তারই সাবেক ডেপুটি পেন্স দলের ভেতরে সাম্প্রতিক ভোটগুলোতে অনেকটা নিঃস্ব হয়ে পড়েছিলেন। এমনকি রিপাবলিকান ভোটারদের সমর্থন পেতে কার্যত লড়াই করছিলেন তিনি। আর এরই একপর্যায়ে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন পেন্স।

মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালনের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেশ ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন ৬৪ বছর বয়সী মাইক পেন্স। তবে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের প্রতীক ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার পর তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। ওই হামলার আগপর্যন্ত ট্রাম্পের খুবই অনুগত ছিলেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য গত জুন মাসে আসরে নামেন মাইক পেন্স। এমনকি নিজের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ট্রাম্পের ওপর চাপ বেড়ে গিয়েছিল বলেও মনে করা হচ্ছিল।

গত ৫ জুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য পেন্স মনোনয়নপত্র জমা দেন। ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর পেন্স ট্রাম্পের একজন বিশ্বস্ত সহযোগী ছিলেন। বাইডেনের কাছে পরাজয়ের পর ২০২১ সালে ট্রাম্প সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলে হামলা চালালে ট্রাম্পের সঙ্গে পেন্সের দূরত্ব তৈরি হয়।

এছাড়া জো বাইডেনের জয়কে বেআইনি আখ্যা দেওয়ার জন্য পেন্সের ওপর ট্রাম্প চাপ তৈরি করেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। আর এরপর থেকেই ট্রাম্পের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রেখেই চলছিলেন সাবেক এই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে শনিবার সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া বিবৃতিতে মাইক আরও পেন্স বলেন, আমি নির্বাচনের প্রচারণা থেকে সরে যাচ্ছি। কিন্তু আমি কখনোই রক্ষণশীলদের মূল্যবোধের এই লড়াই ত্যাগ করবো না।