Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ভোর থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে। ইতোমধ্যে লোকে লোকারণ্য হয়েছে নয়াপল্টন এলাকা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে রাজধানীতে জড়ো হয়েছেন বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা। সূর্যোদয়ের পর থেকেই মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন তারা।

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল আসছেন তারা। তাদের হাতে হাতে আছে ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত এসব ফেস্টুন হাতে নেতাকর্মীরা মহাসমাবেশে আসছেন।

সকাল আটটার মধ্যেই লোকারণ্য হয়ে গেছে নয়াপল্টন এলাকা। সেখানে খালেদার মুক্তিসহ সরকারবিরোধী নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন তারা।

নেতা-কর্মীদের মিছিল-শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো নয়াপল্টন এলাকা। তাদের হাতে দলীয় ও জাতীয় পতাকা দেখা গেছে।

এদিকে নেতা-কর্মীদের অবস্থানের কারণে নয়াপল্টনে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত এক পাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্য পাশেও খুবই সীমিত আকারে চলছে রিকশা ও মোটরসাইকেলের মতো যানবাহন।

বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা সৃষ্টি না হয় সেজন্য নয়াপল্টনে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। শতাধিক পুলিশ সদস্যকে নয়াপল্টনের বিভিন্ন মোড়ে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। পাশাপাশি পুলিশের সাঁজোয়া যানও দেখা গেছে।

যশোরের মনিরামপুর থেকে এসেছেন গাজী মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, মহাসমাবেশ বহু দেখেছি। কিন্তু কোনো সমাবেশে এতো মানুষ দেখিনি।

সিরাজগঞ্জ থেকে সমাবেশে আসা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, আমার মনে হয় ১৫ লাখ মানুষ হয়েছে। যেদিকে যাচ্ছি সবখানেই মানুষ।

কুষ্টিয়ার জীবন আহমেদ বলেন, সব মানুষ ভয়কে জয় করে সমাবেশে এসেছে। পুরো ঢাকা শহরে মানুষ আর মানুষ।

মহাসমাবেশে নাটোর থেকে আসা বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন বলেন, ভোরে আমরা শতাধিক নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছেছি। সরাসরি সমাবেশে এসেছি। পথে পথে তল্লাশি করা হয়েছে। ভয়কে জয় করে আমরা সমাবেশে এসেছি।

চাঁদপুরের ৬০ বছর বয়সী বিএনপিকর্মী নাজমুল করিম বলেন, লঞ্চে আমরা কয়েকশ নেতাকর্মী চাঁদপুর থেকে এসে সদরঘাটে নেমেছি। তারপর সোজা মিছিল সহকারে সমাবেশে এসেছি। আমরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই।

জানা গেছে, দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসমাবেশ শুরু হবে। এজন্য দলীয় কার্যালয়ের সামনে ৮টি পিকআপভ্যান দিয়ে তৈরি হয়েছে মঞ্চ। লাগানো হয়েছে নানা ব্যানার।

মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় নেতারা। সভাপতিত্বে করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

জাকসু নির্বাচনের দায়িত্ব ছাড়লেন বিএনপিপন্থি ৩ শিক্ষক

নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের ঢল

প্রকাশের সময় : ১২:০৪:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ভোর থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে। ইতোমধ্যে লোকে লোকারণ্য হয়েছে নয়াপল্টন এলাকা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে রাজধানীতে জড়ো হয়েছেন বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা। সূর্যোদয়ের পর থেকেই মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন তারা।

দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল আসছেন তারা। তাদের হাতে হাতে আছে ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড। দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত এসব ফেস্টুন হাতে নেতাকর্মীরা মহাসমাবেশে আসছেন।

সকাল আটটার মধ্যেই লোকারণ্য হয়ে গেছে নয়াপল্টন এলাকা। সেখানে খালেদার মুক্তিসহ সরকারবিরোধী নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন তারা।

নেতা-কর্মীদের মিছিল-শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো নয়াপল্টন এলাকা। তাদের হাতে দলীয় ও জাতীয় পতাকা দেখা গেছে।

এদিকে নেতা-কর্মীদের অবস্থানের কারণে নয়াপল্টনে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত এক পাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্য পাশেও খুবই সীমিত আকারে চলছে রিকশা ও মোটরসাইকেলের মতো যানবাহন।

বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর অবস্থা সৃষ্টি না হয় সেজন্য নয়াপল্টনে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। শতাধিক পুলিশ সদস্যকে নয়াপল্টনের বিভিন্ন মোড়ে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। পাশাপাশি পুলিশের সাঁজোয়া যানও দেখা গেছে।

যশোরের মনিরামপুর থেকে এসেছেন গাজী মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, মহাসমাবেশ বহু দেখেছি। কিন্তু কোনো সমাবেশে এতো মানুষ দেখিনি।

সিরাজগঞ্জ থেকে সমাবেশে আসা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, আমার মনে হয় ১৫ লাখ মানুষ হয়েছে। যেদিকে যাচ্ছি সবখানেই মানুষ।

কুষ্টিয়ার জীবন আহমেদ বলেন, সব মানুষ ভয়কে জয় করে সমাবেশে এসেছে। পুরো ঢাকা শহরে মানুষ আর মানুষ।

মহাসমাবেশে নাটোর থেকে আসা বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন বলেন, ভোরে আমরা শতাধিক নেতাকর্মী ঢাকায় পৌঁছেছি। সরাসরি সমাবেশে এসেছি। পথে পথে তল্লাশি করা হয়েছে। ভয়কে জয় করে আমরা সমাবেশে এসেছি।

চাঁদপুরের ৬০ বছর বয়সী বিএনপিকর্মী নাজমুল করিম বলেন, লঞ্চে আমরা কয়েকশ নেতাকর্মী চাঁদপুর থেকে এসে সদরঘাটে নেমেছি। তারপর সোজা মিছিল সহকারে সমাবেশে এসেছি। আমরা শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই।

জানা গেছে, দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসমাবেশ শুরু হবে। এজন্য দলীয় কার্যালয়ের সামনে ৮টি পিকআপভ্যান দিয়ে তৈরি হয়েছে মঞ্চ। লাগানো হয়েছে নানা ব্যানার।

মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় নেতারা। সভাপতিত্বে করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদ।