Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয়ে শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪০:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৯৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

টানা দুই জয়ে বিশ্বকাপ শুরু। এরপর টানা তিন হারের মুখ দেখে পাকিস্তান। এমনকি শক্তির বিচারে পিছিয়ে থাকা আফগানিস্তানের কাছে হেরে সমর্থকদের সমালোচনার মুখে পড়ে পাক ক্রিকেটাররা। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় ছন্দে থাকা দক্ষিণ বিপক্ষে মাঠে নামে পাকিস্তান।

নেদারল্যান্ডস ২৪৫ রান করেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিয়েছিল। পাকিস্তানও দুর্দান্ত লড়াইয়ে সেই পথেই যেন হাঁটছিল। ২৭১ রানের লক্ষ্য দিয়ে বোলারদের নৈপুণ্যে প্রোটিয়াদের চেপে ধরেছিল বাবর আজমের দল। ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ শব্দটি বারবার ফিরে আসছিল। কিন্তু হলো না। চাপে ভেঙে পড়ার ইতিহাস থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকা ঠিক ঘুরে দাঁড়ায়। ১ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন আরও বর্ণিল করলো তারা।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) চেন্নাইয়ের এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। বাবর আজম ও সৌদ শাকিলের ফিফটিতে ২৭০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। বাবর ৬৫ বলে ৫০ ও শাকিল ৫২ বলে ৫২ রান করেন।

পাকিস্তানের দেওয়া ২৭১ রানের লক্ষ্যে প্রোটিয়াদের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন কুইন্টন ডি কক ও টেম্বা বাভুমা। এ দুই ওপেনারের ভালো শরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন কুইন্টন ডি কক। সে সুবাধে প্রথম দুই ওভারেই স্কোরবোর্ডে তুলেন ৩০ রান। তবে অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন এ ওপেনার। দলীয় ৩৪ রানে শাহিন আফ্রিদির বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

আউট হবার আগে ১৪ বলে খেলেন ২৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ডি ককের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে আসেন রাসি ফন ডার ডুসেন। তাকে সঙ্গে নিয়ে ভালোভাবে এগিয়ে নিচ্ছিলেন বাভুমা। তবে দলীয় ৬৭ রানে বাভুমা ২৮ করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে ভাঙে ৩৩ রানের জুটি।

এরপর তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নামেন এইডেন মার্করাম। এ জুটিতে থিতু হয়ে রানের চাকা সচল রেখে পাকিস্তান বলার ওপর চড়া হতে থাকেন। কিন্তু দলীয় ১২১ রানে সেখানে বাধা দেন উসামা মির। এই লেগস্পিনারের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ২১ রানে সাজঘরে ফেরেন ডুসেন।

চতুর্থ উইকেটে ব্যাট করতে নামা হেনরিখ ক্লাসেন অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। দলীয় ১৩৬ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ১২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। চার উইকেট হারালেও রান রেট ঠিক রেখে মার্করামের ব্যাটে জয়ের ভিত পেয়ে যায় আফ্রিকা। তবে দলীয় ২৫০ রানে শতকের কাছ থেকে সাজঘরে ফেরেন তিনি। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ৯৩ বলে ৯১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে হাতে রেখেই ১ উইকেটের জয় পায় বাভুমার দল। পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাটে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেননি দুই পাক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম-উল হক। শফিক দুই অঙ্কে পৌঁছানোর আগেই এনগিদির হাতে ক্যাচ দিয়ে ধরা পড়েন। তার উইকেটটি শিকার করেন বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মার্কো জ্যানসেন। তার বিদায়ে ২০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। তিনি ফেরেন মাত্র ৯ রান করে। এরপর তিনে নামা অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে ইমামের ১৮ রানের জুটির পর আবারও জ্যানসেনের আঘাত। এবার তার বলে ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমাম। ফেরার আগে তিনি ১৮ বলে দুই চারের মারে ১২ রান করেন। ৬ দশমিক ৩ ওভারে মাত্র ৩৮ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

এরপর দুই ব্যাটিং স্তম্ভ বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান আশা দেখাচ্ছিল পাকিস্তানকে। এই জুটি স্বাচ্ছন্দ্যে এগুচ্ছিলেনও। ৪৮ রানের জুটিটি ভাঙ্গেন পেসার কোয়েতজে। তার বলে উইকেটরক্ষক ডি কককে ক্যাচ দিয়ে রিজওয়ান ফিরলে ভাঙ্গে এই জুটি। ফেরার আগে ২৭ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার। তার ইনিংসে ছিল চারটি চার ও একটি ছয়ের মার।

এদিন ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দেয়া হয় ইফতেখারকে। তবে উপরে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে সেটি লুফে নিতে পারেননি তিনি। পারেননি তার ওপর করা ভরসার প্রতিদান দিতে। তাবরিজ শামসির বলে ক্লাসেনের তালুবন্দি হয়ে ফেরার আগে ৩১ বলে মাত্র ২১ রানের মন্থর ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার। তার ইনিংসে ছিল একটি ছয় ও একটি চারের মার। ইফতেখারের উইকেট শিকারের মাধ্যমে শুরু হয় শামসির উইকেট উদযাপন। এরপর তিনি ফেরান অধিনায়ক বাবর আজমকে। সময় যেন ভালো যাচ্ছে না বাবরের। মাঠে বড় ইনিংস খেলতে পারছেন না, দলও হারতে হারতে খাদের কিনারে। এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সে সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন তিনি। আগের ম্যাচেও অর্ধশতক পেয়েছিলেন বাবর। এই ম্যাচেও ৫০ রান পূর্ণ করেই শামসির দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন এই ক্লাসিক ব্যাটার।

৬৫ বলের ইনিংসটি সাজান তিনি চার চারে এবং এক ছয়ে। পাক অধিনায়কের উইকেট প্রাপ্তিতে ভাগ্যও বেশ সহায় ছিল প্রোটিয়াদের। শামসির বলে ডি ককের হাতে ক্যাচ দিলেও আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। অনেক ভেবেচিন্তে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। পরে রিভিউয়ে দেখা যায় বল উইকেটরক্ষকের হাতে যাওয়ার আগে ব্যাট ছুঁয়ে গেছে। ফলে তার বিদায়ে ১৪১ রানেই ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। তখনই শঙ্কা জেগেছিল আরেকটি বড় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়তে যাচ্ছে পাকিস্তান। তবে এরপরই দলের হাল ধরেন সৌদ শাকিল ও শাদাব খান।

এই জুটি সংগ্রহ করেন ৮৪ রান। ব্যক্তিগত ৪৩ রানে কোয়তজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন শাদাব খান। ৩৬ বলের এই ইনিংসে তিনি তিনটি চার ও দুইটি ছক্কা হাঁকান। অপরপ্রান্তে থাকা সৌদ শাকিল তুলে নেন অর্ধশতক। তবে তিনি অর্ধশতকের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৫২ রানে তাকে ফেরান শামসি। শামসির তোপে ২৪০ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ধুকছিল পাকিস্তান। তবে শেষদিকে নাওয়াজের ২৪ রানের ওপর ভর করে ২৭০ রান তুলতে পারে পাকিস্তান। শামসি-জ্যানসেনদের তোপে ২০ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন শামসি। ৯ ওভারে ৪৩ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন ইয়ানসেন। জোড়া উইকেট পান কোয়েটজে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাকিস্তানের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয়ে শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশের সময় : ১১:৪০:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

টানা দুই জয়ে বিশ্বকাপ শুরু। এরপর টানা তিন হারের মুখ দেখে পাকিস্তান। এমনকি শক্তির বিচারে পিছিয়ে থাকা আফগানিস্তানের কাছে হেরে সমর্থকদের সমালোচনার মুখে পড়ে পাক ক্রিকেটাররা। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় ছন্দে থাকা দক্ষিণ বিপক্ষে মাঠে নামে পাকিস্তান।

নেদারল্যান্ডস ২৪৫ রান করেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিয়েছিল। পাকিস্তানও দুর্দান্ত লড়াইয়ে সেই পথেই যেন হাঁটছিল। ২৭১ রানের লক্ষ্য দিয়ে বোলারদের নৈপুণ্যে প্রোটিয়াদের চেপে ধরেছিল বাবর আজমের দল। ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ শব্দটি বারবার ফিরে আসছিল। কিন্তু হলো না। চাপে ভেঙে পড়ার ইতিহাস থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকা ঠিক ঘুরে দাঁড়ায়। ১ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন আরও বর্ণিল করলো তারা।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) চেন্নাইয়ের এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। বাবর আজম ও সৌদ শাকিলের ফিফটিতে ২৭০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। বাবর ৬৫ বলে ৫০ ও শাকিল ৫২ বলে ৫২ রান করেন।

পাকিস্তানের দেওয়া ২৭১ রানের লক্ষ্যে প্রোটিয়াদের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন কুইন্টন ডি কক ও টেম্বা বাভুমা। এ দুই ওপেনারের ভালো শরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন কুইন্টন ডি কক। সে সুবাধে প্রথম দুই ওভারেই স্কোরবোর্ডে তুলেন ৩০ রান। তবে অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন এ ওপেনার। দলীয় ৩৪ রানে শাহিন আফ্রিদির বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

আউট হবার আগে ১৪ বলে খেলেন ২৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ডি ককের বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেটে আসেন রাসি ফন ডার ডুসেন। তাকে সঙ্গে নিয়ে ভালোভাবে এগিয়ে নিচ্ছিলেন বাভুমা। তবে দলীয় ৬৭ রানে বাভুমা ২৮ করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে ভাঙে ৩৩ রানের জুটি।

এরপর তৃতীয় উইকেটে ব্যাট করতে নামেন এইডেন মার্করাম। এ জুটিতে থিতু হয়ে রানের চাকা সচল রেখে পাকিস্তান বলার ওপর চড়া হতে থাকেন। কিন্তু দলীয় ১২১ রানে সেখানে বাধা দেন উসামা মির। এই লেগস্পিনারের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ২১ রানে সাজঘরে ফেরেন ডুসেন।

চতুর্থ উইকেটে ব্যাট করতে নামা হেনরিখ ক্লাসেন অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। দলীয় ১৩৬ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ১২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। চার উইকেট হারালেও রান রেট ঠিক রেখে মার্করামের ব্যাটে জয়ের ভিত পেয়ে যায় আফ্রিকা। তবে দলীয় ২৫০ রানে শতকের কাছ থেকে সাজঘরে ফেরেন তিনি। প্যাভিলিয়নে যাবার আগে ৯৩ বলে ৯১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে হাতে রেখেই ১ উইকেটের জয় পায় বাভুমার দল। পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাটে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেননি দুই পাক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম-উল হক। শফিক দুই অঙ্কে পৌঁছানোর আগেই এনগিদির হাতে ক্যাচ দিয়ে ধরা পড়েন। তার উইকেটটি শিকার করেন বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মার্কো জ্যানসেন। তার বিদায়ে ২০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। তিনি ফেরেন মাত্র ৯ রান করে। এরপর তিনে নামা অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে ইমামের ১৮ রানের জুটির পর আবারও জ্যানসেনের আঘাত। এবার তার বলে ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমাম। ফেরার আগে তিনি ১৮ বলে দুই চারের মারে ১২ রান করেন। ৬ দশমিক ৩ ওভারে মাত্র ৩৮ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

এরপর দুই ব্যাটিং স্তম্ভ বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান আশা দেখাচ্ছিল পাকিস্তানকে। এই জুটি স্বাচ্ছন্দ্যে এগুচ্ছিলেনও। ৪৮ রানের জুটিটি ভাঙ্গেন পেসার কোয়েতজে। তার বলে উইকেটরক্ষক ডি কককে ক্যাচ দিয়ে রিজওয়ান ফিরলে ভাঙ্গে এই জুটি। ফেরার আগে ২৭ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলেন উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার। তার ইনিংসে ছিল চারটি চার ও একটি ছয়ের মার।

এদিন ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দেয়া হয় ইফতেখারকে। তবে উপরে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে সেটি লুফে নিতে পারেননি তিনি। পারেননি তার ওপর করা ভরসার প্রতিদান দিতে। তাবরিজ শামসির বলে ক্লাসেনের তালুবন্দি হয়ে ফেরার আগে ৩১ বলে মাত্র ২১ রানের মন্থর ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার। তার ইনিংসে ছিল একটি ছয় ও একটি চারের মার। ইফতেখারের উইকেট শিকারের মাধ্যমে শুরু হয় শামসির উইকেট উদযাপন। এরপর তিনি ফেরান অধিনায়ক বাবর আজমকে। সময় যেন ভালো যাচ্ছে না বাবরের। মাঠে বড় ইনিংস খেলতে পারছেন না, দলও হারতে হারতে খাদের কিনারে। এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সে সমালোচনায় বিদ্ধ হচ্ছেন তিনি। আগের ম্যাচেও অর্ধশতক পেয়েছিলেন বাবর। এই ম্যাচেও ৫০ রান পূর্ণ করেই শামসির দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন এই ক্লাসিক ব্যাটার।

৬৫ বলের ইনিংসটি সাজান তিনি চার চারে এবং এক ছয়ে। পাক অধিনায়কের উইকেট প্রাপ্তিতে ভাগ্যও বেশ সহায় ছিল প্রোটিয়াদের। শামসির বলে ডি ককের হাতে ক্যাচ দিলেও আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। অনেক ভেবেচিন্তে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। পরে রিভিউয়ে দেখা যায় বল উইকেটরক্ষকের হাতে যাওয়ার আগে ব্যাট ছুঁয়ে গেছে। ফলে তার বিদায়ে ১৪১ রানেই ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। তখনই শঙ্কা জেগেছিল আরেকটি বড় ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়তে যাচ্ছে পাকিস্তান। তবে এরপরই দলের হাল ধরেন সৌদ শাকিল ও শাদাব খান।

এই জুটি সংগ্রহ করেন ৮৪ রান। ব্যক্তিগত ৪৩ রানে কোয়তজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন শাদাব খান। ৩৬ বলের এই ইনিংসে তিনি তিনটি চার ও দুইটি ছক্কা হাঁকান। অপরপ্রান্তে থাকা সৌদ শাকিল তুলে নেন অর্ধশতক। তবে তিনি অর্ধশতকের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৫২ রানে তাকে ফেরান শামসি। শামসির তোপে ২৪০ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ধুকছিল পাকিস্তান। তবে শেষদিকে নাওয়াজের ২৪ রানের ওপর ভর করে ২৭০ রান তুলতে পারে পাকিস্তান। শামসি-জ্যানসেনদের তোপে ২০ বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন শামসি। ৯ ওভারে ৪৩ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন ইয়ানসেন। জোড়া উইকেট পান কোয়েটজে।