Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাকিবের দেশে আসা নিয়ে যা বললেন তাসকিন

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:০০:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৯৫ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপের মাঝপথে দল ফেলে হঠাৎ ঢাকায় চলে এসেছিলেন সাকিব আল হাসান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে মুম্বাই থেকে দলের সঙ্গে পরের ম্যাচের ভেন্যু কলকাতায় না যাওয়ায় বাংলাদেশ অধিনায়ককে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। এমনকী কি কারণে এমন আচমকা ঢাকা সফর তা নিয়েও ছিল জল্পনা।

পরে জানা যায়, ব্যাটিং নিয়ে কোচ ও বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে একান্তে কাজ করতেই ঢাকা এসেছেন সাকিব। অবশ্য মিরপুর ইনডোরে দুই দিনে দুই সেশন করে বৃহস্পতিবার (২৬অক্টোবর) রাতেই দলের সঙ্গে যোগ দেন সাকিব। শনিবার (২৮ অক্টোবর) কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ।

ম্যাচের আগে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব ইস্যুতে কথা বলেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।

বিশ্বকাপ চলমান রেখে দল রেখে সাকিবের দেশে ফেরার ব্যাপারটা কতটা নিয়মের মধ্যে থেকে? কতটা প্রয়োজনীয় ছিল? অধিনায়ক বলেই কি সাকিব বাড়তি সুবিধাটা পেলেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তাসকিন বলেছেন, টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলে তাদের অনুমতি নিয়েই সাকিব ভাই ঢাকায় গেছেন। তিনি টিম ম্যানেজমেন্টকে বলেছিলেন, নিজের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করতে চান। সেই দিন আমাদের বিশ্রামও ছিল। তাই ম্যানেজমেন্ট তাকে অনুমতি দিয়েছে। কলকাতা থেকে ঢাকাও কাছে। ক্রিকেট সংশিষ্ট কারণেই গেছিলেন তিনি। অন্য কিছু না। ঢাকায় চার ঘণ্টা ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন সাকিব।

তিনি আরও বলেন, আমরা টিমমেটরা তার এই যাওয়ায় প্রশংসাই করেছি। তার ব্যাটিং আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাকিব ভাইও এটা নিয়ে খুবই মরিয়া যে তিনি কীভাবে ভালো করবেন। তিনি কোনো নিয়ম ভেঙে ঢাকা যাননি।

টিম ম্যানেজমেন্ট ও বিসিবির সঙ্গে কথা বলেই সাকিব দেশে এসেছিলেন বলেও জানালেন তাসকিন। বলেন, উনি টিম ম্যানেজমেন্ট ও বিসিবির সঙ্গে কথা বলেই ঢাকায় এসেছেন। আমাদের ওই দিন রেস্ট ডে ছিল। অফিসিয়াল অনুশীলনে উনি আছেন এখানে। আমার মনে হয় আরও বাহবা দেওয়া দরকার। আমাদের কোনো সমস্যা নেই, আমাদের এটা প্রভাবও ফেলছে না।

তাসকিন বলেন, তার (সাকিব) আসার পর আমাদের দলের সবাই একটা ডিনার করেছি। একটা ভালো সময় কাটিয়েছি। আশা করছি সামনে নতুন কিছু শুরু করবো ভালো কিছু করে। চারটা ম্যাচ আছে এই চারটা ম্যাচও যদি ভালো খেলতে পারি তাহলে ভিন্ন কিছু হতে পারে। এখন আসলে কালকের ম্যাচটাই মূল ফোকাস।

নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগে চোট প্রসঙ্গে নিয়ে তাসকিন বলেন, প্রায় দুই বছর আগে কাঁধের চোট প্রথম পেয়েছিলাম দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে। অনেক আগে থেকেই টেন্ডনে একটু টিয়ার (ছেঁড়া) আছে। এটা ম্যানেজ করেই সব সময় খেলেছি। এমনকি এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপেও এই ব্যথা নিয়েই খেলেছি। হঠাৎ ব্যথাটা বেড়ে গিয়েছিল। ম্যানেজমেন্ট, ডাক্তার, ফিজিও পরে এমআরআই করে দেখে, ভেতরে একটু ফুলে গেছে। এর জন্য কয়েকটা দিন বিশ্রামে নিয়ে এখন ভালো বোধ করছি। মনে হচ্ছে, ভালো অবস্থাতেই আছি। খেললে আরও বোঝা যাবে, কী অবস্থা হয়। আমাকে যখন ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়েছিল, ডাক্তার বলেছিল, ঠিক হবে কিনা, এর কোনো গ্যারান্টি নেই। সময়ও লাগবে বছরখানেক। সে পুনর্বাসনের আরেকটা বিকল্প দিয়েছিল। পরে দেড় মাসের পুনর্বাসন শেষে আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত খেললাম। এখন ব্যথাটা একটু বেড়ে গেছে।

বিশ্বকাপ শেষে পুনরায় কাঁধের ডাক্তার দেখাবেন তাসকিন, আপাতত ম্যানেজ করে খেলার চিন্তা এই তারকা পেসারের, বিশ্বকাপের পর কাঁধবিশেষজ্ঞ দেখিয়ে আবার পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা হয়তো বোর্ড করবে। অস্ত্রোপচার শেষ অপশন। আমিও চাই ম্যানেজ করে যত দূর খেলা যায়। ব্যথাটা বেড়ে গেলে শতভাগ দিতে কষ্ট হয়। তবে ফাস্ট বোলারদের সবারই ছোটখাটো চোট থাকে। দোয়া করবেন যেন কাঁধ পুরোপুরি ঠিক হয়ে যায়।

বিশ্বকাপে তাসকিন এখনও নিজের সেরাটা দিতে পারেননি। আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা প্রথম তিন ম্যাচ মিলে ওভারপ্রতি ৬.৩০ রান খরচ করে মাত্র ২ উইকেট নেন তিনি। এরপর ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে খেলা হয়নি। আগামীকাল দুপুর আড়াইটায় কলকাতার ইডেন গার্ডেনে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজের সুফল পাচ্ছে না মানুষ, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

সাকিবের দেশে আসা নিয়ে যা বললেন তাসকিন

প্রকাশের সময় : ০৬:০০:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপের মাঝপথে দল ফেলে হঠাৎ ঢাকায় চলে এসেছিলেন সাকিব আল হাসান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে মুম্বাই থেকে দলের সঙ্গে পরের ম্যাচের ভেন্যু কলকাতায় না যাওয়ায় বাংলাদেশ অধিনায়ককে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। এমনকী কি কারণে এমন আচমকা ঢাকা সফর তা নিয়েও ছিল জল্পনা।

পরে জানা যায়, ব্যাটিং নিয়ে কোচ ও বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিমের সঙ্গে একান্তে কাজ করতেই ঢাকা এসেছেন সাকিব। অবশ্য মিরপুর ইনডোরে দুই দিনে দুই সেশন করে বৃহস্পতিবার (২৬অক্টোবর) রাতেই দলের সঙ্গে যোগ দেন সাকিব। শনিবার (২৮ অক্টোবর) কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ।

ম্যাচের আগে শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিব ইস্যুতে কথা বলেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।

বিশ্বকাপ চলমান রেখে দল রেখে সাকিবের দেশে ফেরার ব্যাপারটা কতটা নিয়মের মধ্যে থেকে? কতটা প্রয়োজনীয় ছিল? অধিনায়ক বলেই কি সাকিব বাড়তি সুবিধাটা পেলেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তাসকিন বলেছেন, টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলে তাদের অনুমতি নিয়েই সাকিব ভাই ঢাকায় গেছেন। তিনি টিম ম্যানেজমেন্টকে বলেছিলেন, নিজের ব্যাটিং নিয়ে কাজ করতে চান। সেই দিন আমাদের বিশ্রামও ছিল। তাই ম্যানেজমেন্ট তাকে অনুমতি দিয়েছে। কলকাতা থেকে ঢাকাও কাছে। ক্রিকেট সংশিষ্ট কারণেই গেছিলেন তিনি। অন্য কিছু না। ঢাকায় চার ঘণ্টা ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন সাকিব।

তিনি আরও বলেন, আমরা টিমমেটরা তার এই যাওয়ায় প্রশংসাই করেছি। তার ব্যাটিং আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাকিব ভাইও এটা নিয়ে খুবই মরিয়া যে তিনি কীভাবে ভালো করবেন। তিনি কোনো নিয়ম ভেঙে ঢাকা যাননি।

টিম ম্যানেজমেন্ট ও বিসিবির সঙ্গে কথা বলেই সাকিব দেশে এসেছিলেন বলেও জানালেন তাসকিন। বলেন, উনি টিম ম্যানেজমেন্ট ও বিসিবির সঙ্গে কথা বলেই ঢাকায় এসেছেন। আমাদের ওই দিন রেস্ট ডে ছিল। অফিসিয়াল অনুশীলনে উনি আছেন এখানে। আমার মনে হয় আরও বাহবা দেওয়া দরকার। আমাদের কোনো সমস্যা নেই, আমাদের এটা প্রভাবও ফেলছে না।

তাসকিন বলেন, তার (সাকিব) আসার পর আমাদের দলের সবাই একটা ডিনার করেছি। একটা ভালো সময় কাটিয়েছি। আশা করছি সামনে নতুন কিছু শুরু করবো ভালো কিছু করে। চারটা ম্যাচ আছে এই চারটা ম্যাচও যদি ভালো খেলতে পারি তাহলে ভিন্ন কিছু হতে পারে। এখন আসলে কালকের ম্যাচটাই মূল ফোকাস।

নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগে চোট প্রসঙ্গে নিয়ে তাসকিন বলেন, প্রায় দুই বছর আগে কাঁধের চোট প্রথম পেয়েছিলাম দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে। অনেক আগে থেকেই টেন্ডনে একটু টিয়ার (ছেঁড়া) আছে। এটা ম্যানেজ করেই সব সময় খেলেছি। এমনকি এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপেও এই ব্যথা নিয়েই খেলেছি। হঠাৎ ব্যথাটা বেড়ে গিয়েছিল। ম্যানেজমেন্ট, ডাক্তার, ফিজিও পরে এমআরআই করে দেখে, ভেতরে একটু ফুলে গেছে। এর জন্য কয়েকটা দিন বিশ্রামে নিয়ে এখন ভালো বোধ করছি। মনে হচ্ছে, ভালো অবস্থাতেই আছি। খেললে আরও বোঝা যাবে, কী অবস্থা হয়। আমাকে যখন ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়েছিল, ডাক্তার বলেছিল, ঠিক হবে কিনা, এর কোনো গ্যারান্টি নেই। সময়ও লাগবে বছরখানেক। সে পুনর্বাসনের আরেকটা বিকল্প দিয়েছিল। পরে দেড় মাসের পুনর্বাসন শেষে আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত খেললাম। এখন ব্যথাটা একটু বেড়ে গেছে।

বিশ্বকাপ শেষে পুনরায় কাঁধের ডাক্তার দেখাবেন তাসকিন, আপাতত ম্যানেজ করে খেলার চিন্তা এই তারকা পেসারের, বিশ্বকাপের পর কাঁধবিশেষজ্ঞ দেখিয়ে আবার পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা হয়তো বোর্ড করবে। অস্ত্রোপচার শেষ অপশন। আমিও চাই ম্যানেজ করে যত দূর খেলা যায়। ব্যথাটা বেড়ে গেলে শতভাগ দিতে কষ্ট হয়। তবে ফাস্ট বোলারদের সবারই ছোটখাটো চোট থাকে। দোয়া করবেন যেন কাঁধ পুরোপুরি ঠিক হয়ে যায়।

বিশ্বকাপে তাসকিন এখনও নিজের সেরাটা দিতে পারেননি। আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা প্রথম তিন ম্যাচ মিলে ওভারপ্রতি ৬.৩০ রান খরচ করে মাত্র ২ উইকেট নেন তিনি। এরপর ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে খেলা হয়নি। আগামীকাল দুপুর আড়াইটায় কলকাতার ইডেন গার্ডেনে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।