Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ আগ বাড়িয়ে বিএনপির সমাবেশে কোনো হামলা করবে না : কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৯০ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি শান্তি সমাবেশে হামলা করলে পাল্টা হামলা করা হবে এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আগ বাড়িয়ে বিএনপির সমাবেশে কোনো হামলা করবে না।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে বনানীর সেতু ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল (কর্ণফুলী টানেল) উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপির কর্মসূচি আর বিদেশিদের তৎপরতায় সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে না।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি প্রতিরোধ বা প্রতিশোধ হবে পুরোটাই আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের বিপরীতে ভায়োলেন্স। বিএনপি যদি আমাদের শান্তি সমাবেশে হামলা করে, তাহলে আমাদের কর্মীরা বসে থাকবে না। তারাও পাল্টা হামলা করবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা বিএনপির সমাবেশে হমলা করিনি, করবও না। কারণ আমরা সরকারে আছি। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আমরা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আমরা নির্বাচনে শান্তি চাই। নির্বাচনের আগের পরিবেশটাতেও শান্তি চাই। আমরা দেশ চালাচ্ছি তাই আমরা গায়ে পড়ে অশান্ত পরিবেশ হতে দেব না।

তিনি বলেন, আজকের এই উন্নয়ন, বিরোধীরা স্বপ্নেও কখনো এমন উন্নয়ন দেখেনি। এমন উন্নয়নের কথা ভাবতেও পারেনি। তারা আন্দোলন করছে। আমরা একদিকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় রাজপথে সতর্ক পাহারায় আছি। অন্যদিকে আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আমরা উসকানি দেব কেন? আমাদের উস্কানি দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। শান্তিপূর্ণভাবে দেশটাকে চালাতে চাই।

তিনি বলেন, তারা ৭১ -এ পরাজিত হয়ে ৭৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে ধংস করার চেষ্টা করছে। তারা ১৯৪৭ সালের দ্বিজাতিতত্ত্বের ধারণা ধারণ করে। তারা প্রতিরোধের নামে সহিংসতা করতে চায়।

এ সময় ওবায়দুল কাদের জানান, বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করছে, সমালোচনার জবাবও দিচ্ছে উন্নয়ন দিয়ে।

বিএনপির সমাবেশের দিন আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ কেন এই প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনে যাতে মানুষের ক্ষতি না করতে পারে এ জন্যই আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বারবার বলছে তারা প্রতিশোধ নেবে, তার অর্থ হচ্ছে, তারা আবারও সংঘাত করতে চায়। এমন হলে সরকারও নীরব থাকবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

আর সরকারের ওপর বিদেশি চাপ নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, পশ্চিমাদের মতো সরকারও চায় সুষ্ঠু ভোট, তাই চাপের কোনো কারণ নেই। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ২৯ অক্টোবর তার সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছেন।

কাদের বলেন, প্রতিশোধ নেয়ার বিএনপির যে লক্ষ্যে এর শেষ কোথায়? তা আমাদের বোধগম্য নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোই কি তাদের শেষ লক্ষ্য? সেটাই জানতে চাই আমরা।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাঁসের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতার (ভূমিমন্ত্রী) নৈশভোজের বিষয়ে কাদের বলেন, এ নিয়ে কিছুই জানি না আমরা। এটা আনঅফিসিয়াল অর্থাৎঅনানুষ্ঠানিক। উনিই এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ হচ্ছে কিনা বিদেশিরা পর্যবেক্ষক হিসেবে দেখতে পারে। এখানে চাপ আসবে কেন? প্রধানমন্ত্রী ও তার কন্যার সঙ্গে যখন দুইবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সেলফি তোলেন, তখন ভেতরে ভেতরে কোন কথা হয়েছে। আমি সেটাই বুঝাতে চেয়েছি। এটা সুসম্পর্কের লক্ষণ।

সেতুমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের পরের দিন সকাল ৬টা থেকে সবার জন্য খুলে দেয়া হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আওয়ামী লীগ আগ বাড়িয়ে বিএনপির সমাবেশে কোনো হামলা করবে না : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৩:২৫:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি শান্তি সমাবেশে হামলা করলে পাল্টা হামলা করা হবে এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ আগ বাড়িয়ে বিএনপির সমাবেশে কোনো হামলা করবে না।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে বনানীর সেতু ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল (কর্ণফুলী টানেল) উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপির কর্মসূচি আর বিদেশিদের তৎপরতায় সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে না।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি প্রতিরোধ বা প্রতিশোধ হবে পুরোটাই আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের বিপরীতে ভায়োলেন্স। বিএনপি যদি আমাদের শান্তি সমাবেশে হামলা করে, তাহলে আমাদের কর্মীরা বসে থাকবে না। তারাও পাল্টা হামলা করবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা বিএনপির সমাবেশে হমলা করিনি, করবও না। কারণ আমরা সরকারে আছি। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। আমরা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আমরা নির্বাচনে শান্তি চাই। নির্বাচনের আগের পরিবেশটাতেও শান্তি চাই। আমরা দেশ চালাচ্ছি তাই আমরা গায়ে পড়ে অশান্ত পরিবেশ হতে দেব না।

তিনি বলেন, আজকের এই উন্নয়ন, বিরোধীরা স্বপ্নেও কখনো এমন উন্নয়ন দেখেনি। এমন উন্নয়নের কথা ভাবতেও পারেনি। তারা আন্দোলন করছে। আমরা একদিকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় রাজপথে সতর্ক পাহারায় আছি। অন্যদিকে আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আমরা উসকানি দেব কেন? আমাদের উস্কানি দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। শান্তিপূর্ণভাবে দেশটাকে চালাতে চাই।

তিনি বলেন, তারা ৭১ -এ পরাজিত হয়ে ৭৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে ধংস করার চেষ্টা করছে। তারা ১৯৪৭ সালের দ্বিজাতিতত্ত্বের ধারণা ধারণ করে। তারা প্রতিরোধের নামে সহিংসতা করতে চায়।

এ সময় ওবায়দুল কাদের জানান, বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করছে, সমালোচনার জবাবও দিচ্ছে উন্নয়ন দিয়ে।

বিএনপির সমাবেশের দিন আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ কেন এই প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলনে যাতে মানুষের ক্ষতি না করতে পারে এ জন্যই আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বারবার বলছে তারা প্রতিশোধ নেবে, তার অর্থ হচ্ছে, তারা আবারও সংঘাত করতে চায়। এমন হলে সরকারও নীরব থাকবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

আর সরকারের ওপর বিদেশি চাপ নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, পশ্চিমাদের মতো সরকারও চায় সুষ্ঠু ভোট, তাই চাপের কোনো কারণ নেই। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ২৯ অক্টোবর তার সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছেন।

কাদের বলেন, প্রতিশোধ নেয়ার বিএনপির যে লক্ষ্যে এর শেষ কোথায়? তা আমাদের বোধগম্য নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠানোই কি তাদের শেষ লক্ষ্য? সেটাই জানতে চাই আমরা।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাঁসের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতার (ভূমিমন্ত্রী) নৈশভোজের বিষয়ে কাদের বলেন, এ নিয়ে কিছুই জানি না আমরা। এটা আনঅফিসিয়াল অর্থাৎঅনানুষ্ঠানিক। উনিই এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ হচ্ছে কিনা বিদেশিরা পর্যবেক্ষক হিসেবে দেখতে পারে। এখানে চাপ আসবে কেন? প্রধানমন্ত্রী ও তার কন্যার সঙ্গে যখন দুইবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সেলফি তোলেন, তখন ভেতরে ভেতরে কোন কথা হয়েছে। আমি সেটাই বুঝাতে চেয়েছি। এটা সুসম্পর্কের লক্ষণ।

সেতুমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের পরের দিন সকাল ৬টা থেকে সবার জন্য খুলে দেয়া হবে।