Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আক্রমণ হলে পাল্টা আক্রমণ, কোনো ছাড় নয় : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কাউকে আক্রমণ করবো না, এই পর্যন্ত করি নাই। তাদের ভগবান অবতার অনেক শক্তি আছে। অনেকে খবর নেয়। আমরা আক্রমণে ছিলাম না। করি নাই। এবার সতর্ক পাহারায় আছি। আক্রমণ করলে পাল্টা আক্রমণ হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কেন ছাড়বো? অপশক্তিকে রুখতে হবে একসঙ্গে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কেন ছাড়ব? কাদের ছাড়ব? এরা (বিএনপি) ক্ষমতা গেলে বাংলাদেশ গিলে খাবে। এরা ক্ষমতা গেলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ গিলে খাবে। এরা ক্ষমতা গেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা গিলে খাবে। তাদের অপশক্তিকে একসঙ্গে রুখতে হবে।

আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, একাত্তরের বিজয়কে যদি সংহত করতে চান তাহলে বিজয়ের প্রধানতম শত্রু, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদের আসল ঠিকানা বিএনপিকে পরাজিত করতে হবে। এরা হলো সব অপশক্তির বিশ্বস্ত ঠিকানা। এই দলকে পরাজিত করতে হবে। না হলে বিজয় সংহত হবে না। যারা আমাদের বিজয়কে বার বার রক্তাক্ত করেছে, তাদের পরাজিত করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতীয় নেতাদের রক্ত আমাদের বিজয়কে রক্তাক্ত করেছে। এরপর ২১ বছর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়েছে। এরপরে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে আমাদের নেতাকর্মীদের রক্তে ভিজে গেছে বাংলার মাটি। আজকে আমাদের চিহ্নিত করতে হবে, কারা বিজয়ের শত্রু।

তিনি বলেন, বিজয় যদি নিশ্চিত করতে চান। তাহলে সবার আগে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের ঠিকানা বিএনপিকে পরাজিত করতে হবে। যারা আমাদের বিজয়কে বার বার ভূলণ্ঠিত করেছে, তাদের আমাদের পরাজিত করতে হবে। বাংলার মাটি থেকে এদের অস্তিত্ব মুছে দিতে হবে। তা না হলে চূড়ান্ত বিজয় সংহত হবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন- অনুমতি না দিলে অলিগলি দখল করবেন। অলিগলি দখল করলে নাকি সব দরজা খুলে যাবে গয়েশ্বর বাবুকে স্বাগত জানাতে। মনে নাই, আপনি কোরাল মাছের ঝোল খেয়ে আসছেন! এবার আপনার কপাল খারাপ। আমরা আটঘাট বেঁধে নেমেছি। অলিগলিতেও পালাবার পথ পাবেন না।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন তারা নাকি নেতাকর্মীদের আসতে বলেননি। ফখরুলের নরম কথায় বিশ্বাস করবেন না। তারা বিশ্বাসঘাতক। যাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে, জাতীয় নেতাদের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করে, তাদের আর বিশ্বাস করা যায় না।

তিনি বলেন, নরম কথায় বিশ্বাস করবেন না। বিএনপির মুখে মধু অন্তরে বিষ। এরা বিশ্বাসঘাতক। এই দলকে বিশ্বাস করা যায় না। প্রয়োজনে সতর্ক পাহারা থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, অপশক্তি থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করার আন্দোলন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চেতনায় মননে বাংলাদেশের জনগণ শপথ নিয়েছে। তারা অপশক্তি ও অপরাজনীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করবে।

কাদের বলেন, আমাদের বিজয় বারবার হস্তক্ষেপ করছে। গণতন্ত্রে আঘাত হেনেছে। বিজয় সংহত করতে হলে প্রধানতম শত্রু, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের আসল শক্তি বিএনপিকে পরাজিত করতে হবে। না হয়, বিজয় সংহত হবে না। তারা বারবার আমাদের বিজয়কে রক্তাক্ত করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একদিন-দুদিনের জন্য, তাদের সম্পূর্ণরূপে মোকাবিলা করে সুসংহত বিজয় চাই। দুর্নীতিবাজ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির অস্তিত্ব বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলতে হবে।

আগামী ২৭ তারিখ থেকে নেতাকর্মীদের নির্ঘুম রাত কাটানোর নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৭ তারিখ থেকে চোখে ঘুম থাকবে না। প্রয়োজনে নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে। যেখানে আমার অস্তিত্বের প্রশ্ন সেখানে ঘুম দিয়ে কি করবো। বারে বারে না এবারই এদের চিরতরে পরাজিত করতে হবে।

আওয়ামী লীগের লক্ষ্য শুধু নির্বাচন নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি নির্বাচন আমাদের লক্ষ্য না, আমাদের লক্ষ্য দেশ থেকে অপশক্তি, নৈরাজ্য ও জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত করা। বাইরে কে কি বলছে তা আমাদের জানার দরকার নেই। কারণ, মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শপথ নিয়েছে বাংলাদেশ থেকে অপশক্তি দূর করবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম), মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালপুর রহমান বাবু, ছাত্রলীগ সভাপতি ছাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দলের কেন্দ্রীয়, মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

আক্রমণ হলে পাল্টা আক্রমণ, কোনো ছাড় নয় : কাদের

প্রকাশের সময় : ০৭:৪২:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা কাউকে আক্রমণ করবো না, এই পর্যন্ত করি নাই। তাদের ভগবান অবতার অনেক শক্তি আছে। অনেকে খবর নেয়। আমরা আক্রমণে ছিলাম না। করি নাই। এবার সতর্ক পাহারায় আছি। আক্রমণ করলে পাল্টা আক্রমণ হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। কেন ছাড়বো? অপশক্তিকে রুখতে হবে একসঙ্গে।

বুধবার (২৫ অক্টোবর) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কেন ছাড়ব? কাদের ছাড়ব? এরা (বিএনপি) ক্ষমতা গেলে বাংলাদেশ গিলে খাবে। এরা ক্ষমতা গেলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ গিলে খাবে। এরা ক্ষমতা গেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা গিলে খাবে। তাদের অপশক্তিকে একসঙ্গে রুখতে হবে।

আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, একাত্তরের বিজয়কে যদি সংহত করতে চান তাহলে বিজয়ের প্রধানতম শত্রু, সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদের আসল ঠিকানা বিএনপিকে পরাজিত করতে হবে। এরা হলো সব অপশক্তির বিশ্বস্ত ঠিকানা। এই দলকে পরাজিত করতে হবে। না হলে বিজয় সংহত হবে না। যারা আমাদের বিজয়কে বার বার রক্তাক্ত করেছে, তাদের পরাজিত করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতীয় নেতাদের রক্ত আমাদের বিজয়কে রক্তাক্ত করেছে। এরপর ২১ বছর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়েছে। এরপরে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে আমাদের নেতাকর্মীদের রক্তে ভিজে গেছে বাংলার মাটি। আজকে আমাদের চিহ্নিত করতে হবে, কারা বিজয়ের শত্রু।

তিনি বলেন, বিজয় যদি নিশ্চিত করতে চান। তাহলে সবার আগে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের ঠিকানা বিএনপিকে পরাজিত করতে হবে। যারা আমাদের বিজয়কে বার বার ভূলণ্ঠিত করেছে, তাদের আমাদের পরাজিত করতে হবে। বাংলার মাটি থেকে এদের অস্তিত্ব মুছে দিতে হবে। তা না হলে চূড়ান্ত বিজয় সংহত হবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন- অনুমতি না দিলে অলিগলি দখল করবেন। অলিগলি দখল করলে নাকি সব দরজা খুলে যাবে গয়েশ্বর বাবুকে স্বাগত জানাতে। মনে নাই, আপনি কোরাল মাছের ঝোল খেয়ে আসছেন! এবার আপনার কপাল খারাপ। আমরা আটঘাট বেঁধে নেমেছি। অলিগলিতেও পালাবার পথ পাবেন না।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন তারা নাকি নেতাকর্মীদের আসতে বলেননি। ফখরুলের নরম কথায় বিশ্বাস করবেন না। তারা বিশ্বাসঘাতক। যাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে, জাতীয় নেতাদের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করে, তাদের আর বিশ্বাস করা যায় না।

তিনি বলেন, নরম কথায় বিশ্বাস করবেন না। বিএনপির মুখে মধু অন্তরে বিষ। এরা বিশ্বাসঘাতক। এই দলকে বিশ্বাস করা যায় না। প্রয়োজনে সতর্ক পাহারা থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, অপশক্তি থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করার আন্দোলন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চেতনায় মননে বাংলাদেশের জনগণ শপথ নিয়েছে। তারা অপশক্তি ও অপরাজনীতিমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করবে।

কাদের বলেন, আমাদের বিজয় বারবার হস্তক্ষেপ করছে। গণতন্ত্রে আঘাত হেনেছে। বিজয় সংহত করতে হলে প্রধানতম শত্রু, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের আসল শক্তি বিএনপিকে পরাজিত করতে হবে। না হয়, বিজয় সংহত হবে না। তারা বারবার আমাদের বিজয়কে রক্তাক্ত করেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, একদিন-দুদিনের জন্য, তাদের সম্পূর্ণরূপে মোকাবিলা করে সুসংহত বিজয় চাই। দুর্নীতিবাজ সাম্প্রদায়িক অপশক্তির অস্তিত্ব বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলতে হবে।

আগামী ২৭ তারিখ থেকে নেতাকর্মীদের নির্ঘুম রাত কাটানোর নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২৭ তারিখ থেকে চোখে ঘুম থাকবে না। প্রয়োজনে নির্ঘুম রাত কাটাতে হবে। যেখানে আমার অস্তিত্বের প্রশ্ন সেখানে ঘুম দিয়ে কি করবো। বারে বারে না এবারই এদের চিরতরে পরাজিত করতে হবে।

আওয়ামী লীগের লক্ষ্য শুধু নির্বাচন নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি নির্বাচন আমাদের লক্ষ্য না, আমাদের লক্ষ্য দেশ থেকে অপশক্তি, নৈরাজ্য ও জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত করা। বাইরে কে কি বলছে তা আমাদের জানার দরকার নেই। কারণ, মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শপথ নিয়েছে বাংলাদেশ থেকে অপশক্তি দূর করবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম), মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি গাজী মেসবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক আফজালপুর রহমান বাবু, ছাত্রলীগ সভাপতি ছাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী আসিফ ইনান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

দলের কেন্দ্রীয়, মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।