Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আফগানিস্তানের পাকিস্তান বধ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
  • ২০৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬২ রানে হারে পাকিস্তান। ম্যাচের পর দেশটির সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজা শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আফগানিস্তানের কাছেও হারবে পাকিস্তান। অবশেষে সেই শঙ্কায় সত্যি হলো। নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ৮ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে বাবর আজম ও আবদুলহ শফিকের ফিফটিতে ভর করে ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান। শফিক ৭৫ বলে ৭৮ ও বাবর ৯২ বলে ৭৪ রান করেন।

পাকিস্তানের দেওয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্যে আফগানিস্তানের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ম্যাচের শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা। ধীরে ধীরে পাকিস্তান বোলারদের ওপর চড়া হতে থাকেন এই দুই ওপেনার। সেই ধারাবাহিকতায় ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ব্যক্তিগত অর্ধশতকে পূরন করেন ইব্রাহিম জাদরান। ইব্রাহিমের পর ফিফটি হাঁকিয়েছেন আরেক আফগান ওপেনার গুরবাজও।

৩৮ বলে অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। অবশ্য ফিফটির ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। আফ্রিদির বলে উসামার তালুবন্দী হওয়ার আগে ৬০ রান করেন এ ব্যাটার। এরপর বাইশ গজে আসেন রহমত শাহ। তার সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম। কিন্তু সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকা ইব্রাহিমকে দলীয় ১৯০ রানে সাজঘরে ফিরিয়েছেন হাসান আলী।

পরে উকেতে আসেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদী। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নিতে থাকেন রহমত শাহ। একই সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন রহমত। এই দুই ব্যাটারের জুটিতে জয়ে ভিত পেয়ে যায় আফগানরা। শেষ পর্যন্ত রহমত শাহের ৭৭ ও হাশমতউল্লাহর ৪৮ রানে ভর করে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরের পৌছে যায় আফগানরা। এতে বাবর আজমদের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বিশাল জয় পায় হাশমতউল্লাহর দল। পাকিস্তানের হয়ে বল হয়ে বল হাতে ১টি করে উইকেট নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলী।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। তবে দলীয় ৫৬ রানে ২২ বলে ১৭ রান করে আউট হন ইমাম-উল-হক। আজমতউল্লাহর শর্ট লেন্থের বল পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার নাভিনের হাতে ধরা পড়েন এ বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর তিনে ব্যাট হাতে আসেন অধিনায়ক বাবর আজম। তাকে নিয়ে ৫৫ রানের জুটি গড়েন আবদুল্লাহ শফিক। দলীয় ১১০ রানে ৭৫ বলে ৫৮ রান করে আউট হন আবদুল্লাহ শফিক। নূর আহমেদের ফুল লেন্থের বল সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোরে কাঁটা পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটার।

ক্রিজে এসে দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ রিজওয়ানও। তাকেও ফেরান নূর। এই বাঁহাতি রিষ্ট স্পিনারের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল সুইপ করতে গিয়ে মুজিবের হাতে ক্যাচ দেন পাকদের এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। পাঁচ নম্বর উইকেটে সৌদ শাকিলকে সঙ্গে নিয়ে ৪৩ রানের জুটি গড়েন বাবর। তবে দলীয় ১৬৩ রানে ৩৪ বলে ২৫ রান করে নবির বলে রশিদের হাতে ক্যাচ দেন শাকিল। এরপর শাদাব খানকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন বাবর। সাবলীল ব্যাটিংয়ে নিজের অর্ধশত পূরণ করেন পাক অধিনায়ক। তবে দলীয় ২০৬ রানে ৯২ বলে ৭৪ রান করে নূর আহমেদের বলে কাভারে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাবর।

ষষ্ঠ উইকেটে ইফতিখার আহমেদ ও শাদাব দু’জনেই মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন। দু’জন মিলে গড়েন ৭৩ রানের জুটি। দলীয় ২৭৯ রানে ২৬ বলে ৪০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন ইফতিখার। তার বিদায়ের পর আসেন শাহিন আফ্রিদি। এরপর ইনিংসের শেষ বলে ৩৮ বলে ৪০ রান করে আউট হন শাদাব। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট ২৮২ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। আফগানিস্তানের পক্ষে নূর আহমেদ নেন ৩টি উইকেট।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজের সুফল পাচ্ছে না মানুষ, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

আফগানিস্তানের পাকিস্তান বধ

প্রকাশের সময় : ১০:৪৯:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬২ রানে হারে পাকিস্তান। ম্যাচের পর দেশটির সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজা শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আফগানিস্তানের কাছেও হারবে পাকিস্তান। অবশেষে সেই শঙ্কায় সত্যি হলো। নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ৮ উইকেটে হারিয়েছে আফগানিস্তান।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে বাবর আজম ও আবদুলহ শফিকের ফিফটিতে ভর করে ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান। শফিক ৭৫ বলে ৭৮ ও বাবর ৯২ বলে ৭৪ রান করেন।

পাকিস্তানের দেওয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্যে আফগানিস্তানের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ম্যাচের শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা। ধীরে ধীরে পাকিস্তান বোলারদের ওপর চড়া হতে থাকেন এই দুই ওপেনার। সেই ধারাবাহিকতায় ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ব্যক্তিগত অর্ধশতকে পূরন করেন ইব্রাহিম জাদরান। ইব্রাহিমের পর ফিফটি হাঁকিয়েছেন আরেক আফগান ওপেনার গুরবাজও।

৩৮ বলে অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। অবশ্য ফিফটির ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। আফ্রিদির বলে উসামার তালুবন্দী হওয়ার আগে ৬০ রান করেন এ ব্যাটার। এরপর বাইশ গজে আসেন রহমত শাহ। তার সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম। কিন্তু সেঞ্চুরির পথে এগোতে থাকা ইব্রাহিমকে দলীয় ১৯০ রানে সাজঘরে ফিরিয়েছেন হাসান আলী।

পরে উকেতে আসেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদী। তাকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নিতে থাকেন রহমত শাহ। একই সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন রহমত। এই দুই ব্যাটারের জুটিতে জয়ে ভিত পেয়ে যায় আফগানরা। শেষ পর্যন্ত রহমত শাহের ৭৭ ও হাশমতউল্লাহর ৪৮ রানে ভর করে ৬ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরের পৌছে যায় আফগানরা। এতে বাবর আজমদের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বিশাল জয় পায় হাশমতউল্লাহর দল। পাকিস্তানের হয়ে বল হয়ে বল হাতে ১টি করে উইকেট নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলী।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। তবে দলীয় ৫৬ রানে ২২ বলে ১৭ রান করে আউট হন ইমাম-উল-হক। আজমতউল্লাহর শর্ট লেন্থের বল পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডার নাভিনের হাতে ধরা পড়েন এ বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর তিনে ব্যাট হাতে আসেন অধিনায়ক বাবর আজম। তাকে নিয়ে ৫৫ রানের জুটি গড়েন আবদুল্লাহ শফিক। দলীয় ১১০ রানে ৭৫ বলে ৫৮ রান করে আউট হন আবদুল্লাহ শফিক। নূর আহমেদের ফুল লেন্থের বল সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোরে কাঁটা পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটার।

ক্রিজে এসে দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ রিজওয়ানও। তাকেও ফেরান নূর। এই বাঁহাতি রিষ্ট স্পিনারের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল সুইপ করতে গিয়ে মুজিবের হাতে ক্যাচ দেন পাকদের এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। পাঁচ নম্বর উইকেটে সৌদ শাকিলকে সঙ্গে নিয়ে ৪৩ রানের জুটি গড়েন বাবর। তবে দলীয় ১৬৩ রানে ৩৪ বলে ২৫ রান করে নবির বলে রশিদের হাতে ক্যাচ দেন শাকিল। এরপর শাদাব খানকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন বাবর। সাবলীল ব্যাটিংয়ে নিজের অর্ধশত পূরণ করেন পাক অধিনায়ক। তবে দলীয় ২০৬ রানে ৯২ বলে ৭৪ রান করে নূর আহমেদের বলে কাভারে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাবর।

ষষ্ঠ উইকেটে ইফতিখার আহমেদ ও শাদাব দু’জনেই মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন। দু’জন মিলে গড়েন ৭৩ রানের জুটি। দলীয় ২৭৯ রানে ২৬ বলে ৪০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন ইফতিখার। তার বিদায়ের পর আসেন শাহিন আফ্রিদি। এরপর ইনিংসের শেষ বলে ৩৮ বলে ৪০ রান করে আউট হন শাদাব। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট ২৮২ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। আফগানিস্তানের পক্ষে নূর আহমেদ নেন ৩টি উইকেট।