নিজস্ব প্রতিবেদক :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল হক বলেন, বিএনপির শাসনামলে আইনের শাসনের ‘অ’-ও ছিল না। শেখ হাসিনা ৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ হিসেবে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও জেল হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু করেন। এবং এই বিচারকে একটি পর্যায়ে নিয়ে যান।
শনিবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আইনজীবীদের মহাসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমি যখন এই প্রোগ্রামের কার্ড দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে, তখন তিনি বলেছিলেন আমার বাড়িতে আমাকেই কার্ড দিতে হবে?
তিনি বলেন, আমাদের অস্তিত্ব আপনার (প্রধানমন্ত্রী) অস্তিত্বের ওপর নির্ভর করে। কারণ আপনি আইনের শাসন পরিচালনাকারী।
আইনমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার পর আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করার ঘৃণ্য হস্তক্ষেপ দেখতে পেয়েছি। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর আবারও এই মামলার বিচারের দায়িত্ব শেখ হাসিনার ওপরই বর্তায়। দেশি-বিদেশি সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে তিনি সেটা শেষ করেছেন।
মামলাজট কমাতে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আনিসুল হক বলেন, কোনো সরকারের আমলে মামলাজট নিরসনের চেষ্টা করা হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে মামলাজট কমানোর উদ্যোগ নেয়।
মহাসমাবেশে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ সারা দেশ থেকে আসা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসারী আইনজীবীরা এই মহাসমাবেশে অংশ নিয়েছেন।
এর আগে সকাল ১১টা ২৩ মিনিটে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর উপস্থিতি আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি।