Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় অস্ট্রেলিয়ার

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:০২:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩
  • ১৯৮ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

লক্ষ্য ছিল ৩৬৮ রান। জিততে হলে বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে সফল হওয়ার রেকর্ড গড়তে হতো পাকিস্তানকে। পারেনি তারা, তবে লড়াই করেছে। বেঙ্গালুরুতে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড গড়া ওপেনিং জুটির অবদান বৃথা যায়নি। পাকিস্তানকে ৩০৫ রানে অলআউট করে ৬২ রানে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

৩৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম উল হকের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় পাকিস্তান। ১২৭ বলে ১৩৪ রান তুলে দিয়েছেন আবদুল্লাহ শফিক আর ইমাম উল হক। অবশেষে শফিকের আউটে ভেঙেছে এই জুটি।

মার্কাস স্টয়নিস বল হাতে নিয়েই পেয়েছেন সাফল্য। তাকে পুল করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ তুলে দেন শফিক। ৬১ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে ৭টি চার আর ২টি ছক্কা হাঁকান পাকিস্তানি ওপেনার।মার্কাস স্টয়নিস বল হাতে নিয়েই পেয়েছেন সাফল্য। তাকে পুল করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ তুলে দেন শফিক। ৬১ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে ৭টি চার আর ২টি ছক্কা হাঁকান পাকিস্তানি ওপেনার।

আরেক ওপেনার ইমাম উল হককেও শিকার করেছেন স্টয়নিস। ৭১ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ইমাম করেন ৭০। দুই সেট ব্যাটার ফেরার পর বাবর আজমের ওপর ভরসা ছিল। কিন্তু অ্যাডাম জাম্পার নিচু হয়ে যাওয়া বল পুল খেলতে গিয়ে কামিন্সের দারুণ এক ক্যাচ হয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

বাবর আজমের আউটের পর পরস্থিতি কিছুটা সামাল দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিল। ৪৮ বলে ৫৭ রানের একটি জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। যখন মনে হচ্ছিল উইকেটে টিকে গেছেন তারা ঠিক তখনই আঘাত হানেন প্যাট কামিন্স।

কামিন্সের একটি বাউন্সার পুল করতে গিয়ে স্টয়নিসের হাতে ধরা পড়েন এই বা হাতি ব্যাটসম্যান। ২৩২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসেন ইফতিখার আহমেদ।

৩৭ তম ওভারে কামিন্সের এক ওভারে ২টি ছক্কা হাকান এই ইফতিখার। ধুমধারাক্কা ব্যাটিং করা ইফতিখারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন জাম্পা। ৩৯তম ওভারের ৫ম বলে জাম্পার বল পায়ে লাগলে আম্পায়ার নট আউটের সিদ্ধান্ত দেন। অস্ট্রেলিয়া রিভিউ নিলে দেখা যায়, বল আগে প্যাডে লেগে ব্যাটে লেগেছে এবং স্ট্যাম্পেই আঘাত হেনেছে। ৩ ছক্কা মেরে ২০ বলে ২৬ রানে করে দলকে ২৬৯ রানে রেখেই বিদায় নেন ইফতিখার।

আরেক প্রান্তে আগলে ছিলেন রিজওয়ান। কিন্তু তিনিও ইফতিখারের আউটের পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি। ৪১তম ওভারের ৫ম বলে সেই জাম্পার একটি দুর্দান্ত ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন। ৫টি চারের সহায়তায় ৪০ বলে ৪৬ রান করেছিলেন রিজওয়ান। কার্যত তখনই শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ম্যাচে ফেরার কিঞ্চিত সম্ভাবনাটুকুও।

মোহাম্মদ নাওয়াজের ১৬ বলে ১৪ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে পাকিস্তানের। তিনিও জাম্পার বলে স্টাম্পড আউট হন। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি পাকিস্তান। ৪৫.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩০৫ রান করে পাকিস্তান।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে জাম্পা ৪টি, স্টয়নিস ও কামিন্স ২টি, হাজেলউড ও স্টার্ক ১টি করে উইকেট পান।

টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন ওয়ার্নার এবং মার্শ। তাদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়েই আজ ভেঙেছে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ২০১১ বিশ্বকাপে এই ব্যাঙ্গালুরুর মাঠেই ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে ১৮৩ রানের জুটি গড়েছিলেন শেন ওয়াটসন এবং ব্র্যাড হ্যাডিন। আর আজ দুই অজি ওপেনার মিলে স্কোরবোর্ডে তুলেন ২৫৯ রান।

পাকিস্তানি বোলারদের তুলোধুনা করে আজ পাওয়ার প্লেতেই ৮২ রান তুলেছেন দুই অজি ওপেনার। মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৩৯ বলেই নিজের ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন ওয়ার্নার। এর পরপরই ৪০ বলে ফিফটি তুলে নেন মার্শও। এ দুজন মিলে আজ ৭৫ বল খেলেই স্কোরবোর্ডে তুলেন ১০০ রান।

ওয়ার্নার এবং মার্শের সামনে আজ পাকিস্তানি বোলারররা ছিলেন একেবারে ছন্নছাড়া। পাওয়ার প্লে তে শাহিন আফ্রিদি মিতব্যয়ী থাকলেও বাকি সবাই ছিলেন খরুচে। এদিকে একের পর এক বাউন্ডারিতে আজ ওয়ার্নার নিজের সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ৮৫ বলেই। এরপর মার্শও নিজের ব্যক্তিগত শতক তুলে নিয়েছেন ১০০ বল খেলে।

ওয়ার্নার- মার্শের উদ্বোধনী জুটি আজ ভেঙেছেন শাহিন আফ্রিদি। দলীয় ২৫৯ রানে শাহিনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে উসামা মীরের ক্যাচে পরিণত হন মার্শ। সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ১০৮ বলে ১০ চার এবং ৯ ছয়ে ১২১ রান। আর বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটিই এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি।

এদিকে ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে তিনে নামিয়েছিল অজি টিম ম্যানেজম্যান্ট। তবে মারকুটে এ ব্যাটার হতাশ করেছেন আজও। মার্শ আউট হওয়ার পরের বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে তিনিও শূন্য রানেই ফিরেছেন সাজঘরে। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে তাই কিছুটা কমে আসে অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি।

ম্যাক্সওয়েলের পর মাঠে ওয়ার্নারের সঙ্গী হন স্মিথ। ৭ রান করে তিনিও ফিরেছেন দলীয় ২৮৪ রানেই। এদিকে দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও আজ ওয়ার্নারকে ফেরাতে পারেনি পাকিস্তানি বোলাররা। অজি ওপেনার ১১৬ বলে করেন ১৫০ রান। তাঁর সামনে সুযোগ ছিল বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেলার নিজের রেকর্ডই ভাঙার। তবে পারেননি তিনি।

দলীয় ৩২৫ রানে হারিস রউফের বলে বদলি নামা শাদাব খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। আউট হবার আগে করেছেন ১২৪ বলে ১৪ চার আর ৯ ছয়ে ১৬৩ রান। অতহচ এই ওয়ার্নার আজ ফিরতে পারতেন মাত্র ১০ রানেই। ৪.৩ ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন শাহিনের বলে। তবে সেই ক্যাচটি তালুবন্দী করতে পারেননি উসামা। ক্যাচ মিসের সেই খেসারতই আজ দিতে হয়েছে পাকিস্তানকে।

শেষের আগের ওভারে রউফের বলে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে বদলি ফিল্ডার শাদাব খানের হাতে ধরা পড়েন মার্নাস লাবুশেন (৮)। শেষ ওভারে আফ্রিদি তার চতুর্থ শিকার বানান মিচেল স্টার্ককে (২)। পরের বলে জশ হ্যাজেলউডকে ফিরিয়ে ম্যাচে দ্বিতীয়বার হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন পাকিস্তানি পেসার। পরের বল অ্যাডাম জাম্পার লেগস্টাম্প ঘেষে ওয়াইড হলে হ্যাটট্রিকবঞ্চিত হন আফ্রিদি।

শেষ ১০ ওভারে আফ্রিদি ও রউফের দারুণ বোলিংয়ে ৭০ রান দিয়ে পাকিস্তান নেয় ৬ উইকেট। দুজনই এই সময়ে তিনটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন। তাদের চমৎকারিত্বে অজিরা চারশ ছাড়ানোর আভাস দিলেও পারেনি।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন শাহিন। এছাড়া হারিস রউফ ৩টি ও উসামা মীর শিকার করেন একটি উইকেট।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পাকিস্তানকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশের সময় : ১১:০২:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

লক্ষ্য ছিল ৩৬৮ রান। জিততে হলে বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে সফল হওয়ার রেকর্ড গড়তে হতো পাকিস্তানকে। পারেনি তারা, তবে লড়াই করেছে। বেঙ্গালুরুতে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড গড়া ওপেনিং জুটির অবদান বৃথা যায়নি। পাকিস্তানকে ৩০৫ রানে অলআউট করে ৬২ রানে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

৩৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম উল হকের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় পাকিস্তান। ১২৭ বলে ১৩৪ রান তুলে দিয়েছেন আবদুল্লাহ শফিক আর ইমাম উল হক। অবশেষে শফিকের আউটে ভেঙেছে এই জুটি।

মার্কাস স্টয়নিস বল হাতে নিয়েই পেয়েছেন সাফল্য। তাকে পুল করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ তুলে দেন শফিক। ৬১ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে ৭টি চার আর ২টি ছক্কা হাঁকান পাকিস্তানি ওপেনার।মার্কাস স্টয়নিস বল হাতে নিয়েই পেয়েছেন সাফল্য। তাকে পুল করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ তুলে দেন শফিক। ৬১ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে ৭টি চার আর ২টি ছক্কা হাঁকান পাকিস্তানি ওপেনার।

আরেক ওপেনার ইমাম উল হককেও শিকার করেছেন স্টয়নিস। ৭১ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ইমাম করেন ৭০। দুই সেট ব্যাটার ফেরার পর বাবর আজমের ওপর ভরসা ছিল। কিন্তু অ্যাডাম জাম্পার নিচু হয়ে যাওয়া বল পুল খেলতে গিয়ে কামিন্সের দারুণ এক ক্যাচ হয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

বাবর আজমের আউটের পর পরস্থিতি কিছুটা সামাল দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিল। ৪৮ বলে ৫৭ রানের একটি জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। যখন মনে হচ্ছিল উইকেটে টিকে গেছেন তারা ঠিক তখনই আঘাত হানেন প্যাট কামিন্স।

কামিন্সের একটি বাউন্সার পুল করতে গিয়ে স্টয়নিসের হাতে ধরা পড়েন এই বা হাতি ব্যাটসম্যান। ২৩২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে আসেন ইফতিখার আহমেদ।

৩৭ তম ওভারে কামিন্সের এক ওভারে ২টি ছক্কা হাকান এই ইফতিখার। ধুমধারাক্কা ব্যাটিং করা ইফতিখারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন জাম্পা। ৩৯তম ওভারের ৫ম বলে জাম্পার বল পায়ে লাগলে আম্পায়ার নট আউটের সিদ্ধান্ত দেন। অস্ট্রেলিয়া রিভিউ নিলে দেখা যায়, বল আগে প্যাডে লেগে ব্যাটে লেগেছে এবং স্ট্যাম্পেই আঘাত হেনেছে। ৩ ছক্কা মেরে ২০ বলে ২৬ রানে করে দলকে ২৬৯ রানে রেখেই বিদায় নেন ইফতিখার।

আরেক প্রান্তে আগলে ছিলেন রিজওয়ান। কিন্তু তিনিও ইফতিখারের আউটের পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি। ৪১তম ওভারের ৫ম বলে সেই জাম্পার একটি দুর্দান্ত ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন। ৫টি চারের সহায়তায় ৪০ বলে ৪৬ রান করেছিলেন রিজওয়ান। কার্যত তখনই শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ম্যাচে ফেরার কিঞ্চিত সম্ভাবনাটুকুও।

মোহাম্মদ নাওয়াজের ১৬ বলে ১৪ রান কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে পাকিস্তানের। তিনিও জাম্পার বলে স্টাম্পড আউট হন। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি পাকিস্তান। ৪৫.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩০৫ রান করে পাকিস্তান।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে জাম্পা ৪টি, স্টয়নিস ও কামিন্স ২টি, হাজেলউড ও স্টার্ক ১টি করে উইকেট পান।

টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন ওয়ার্নার এবং মার্শ। তাদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়েই আজ ভেঙেছে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ২০১১ বিশ্বকাপে এই ব্যাঙ্গালুরুর মাঠেই ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে ১৮৩ রানের জুটি গড়েছিলেন শেন ওয়াটসন এবং ব্র্যাড হ্যাডিন। আর আজ দুই অজি ওপেনার মিলে স্কোরবোর্ডে তুলেন ২৫৯ রান।

পাকিস্তানি বোলারদের তুলোধুনা করে আজ পাওয়ার প্লেতেই ৮২ রান তুলেছেন দুই অজি ওপেনার। মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৩৯ বলেই নিজের ব্যক্তিগত অর্ধশতক তুলে নেন ওয়ার্নার। এর পরপরই ৪০ বলে ফিফটি তুলে নেন মার্শও। এ দুজন মিলে আজ ৭৫ বল খেলেই স্কোরবোর্ডে তুলেন ১০০ রান।

ওয়ার্নার এবং মার্শের সামনে আজ পাকিস্তানি বোলারররা ছিলেন একেবারে ছন্নছাড়া। পাওয়ার প্লে তে শাহিন আফ্রিদি মিতব্যয়ী থাকলেও বাকি সবাই ছিলেন খরুচে। এদিকে একের পর এক বাউন্ডারিতে আজ ওয়ার্নার নিজের সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ৮৫ বলেই। এরপর মার্শও নিজের ব্যক্তিগত শতক তুলে নিয়েছেন ১০০ বল খেলে।

ওয়ার্নার- মার্শের উদ্বোধনী জুটি আজ ভেঙেছেন শাহিন আফ্রিদি। দলীয় ২৫৯ রানে শাহিনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে উসামা মীরের ক্যাচে পরিণত হন মার্শ। সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ১০৮ বলে ১০ চার এবং ৯ ছয়ে ১২১ রান। আর বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটিই এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি।

এদিকে ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে তিনে নামিয়েছিল অজি টিম ম্যানেজম্যান্ট। তবে মারকুটে এ ব্যাটার হতাশ করেছেন আজও। মার্শ আউট হওয়ার পরের বলেই ক্যাচ তুলে দিয়ে তিনিও শূন্য রানেই ফিরেছেন সাজঘরে। পরপর দুই উইকেট হারিয়ে তাই কিছুটা কমে আসে অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি।

ম্যাক্সওয়েলের পর মাঠে ওয়ার্নারের সঙ্গী হন স্মিথ। ৭ রান করে তিনিও ফিরেছেন দলীয় ২৮৪ রানেই। এদিকে দ্রুত ৩ উইকেট হারালেও আজ ওয়ার্নারকে ফেরাতে পারেনি পাকিস্তানি বোলাররা। অজি ওপেনার ১১৬ বলে করেন ১৫০ রান। তাঁর সামনে সুযোগ ছিল বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেলার নিজের রেকর্ডই ভাঙার। তবে পারেননি তিনি।

দলীয় ৩২৫ রানে হারিস রউফের বলে বদলি নামা শাদাব খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। আউট হবার আগে করেছেন ১২৪ বলে ১৪ চার আর ৯ ছয়ে ১৬৩ রান। অতহচ এই ওয়ার্নার আজ ফিরতে পারতেন মাত্র ১০ রানেই। ৪.৩ ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন শাহিনের বলে। তবে সেই ক্যাচটি তালুবন্দী করতে পারেননি উসামা। ক্যাচ মিসের সেই খেসারতই আজ দিতে হয়েছে পাকিস্তানকে।

শেষের আগের ওভারে রউফের বলে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে বদলি ফিল্ডার শাদাব খানের হাতে ধরা পড়েন মার্নাস লাবুশেন (৮)। শেষ ওভারে আফ্রিদি তার চতুর্থ শিকার বানান মিচেল স্টার্ককে (২)। পরের বলে জশ হ্যাজেলউডকে ফিরিয়ে ম্যাচে দ্বিতীয়বার হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন পাকিস্তানি পেসার। পরের বল অ্যাডাম জাম্পার লেগস্টাম্প ঘেষে ওয়াইড হলে হ্যাটট্রিকবঞ্চিত হন আফ্রিদি।

শেষ ১০ ওভারে আফ্রিদি ও রউফের দারুণ বোলিংয়ে ৭০ রান দিয়ে পাকিস্তান নেয় ৬ উইকেট। দুজনই এই সময়ে তিনটি করে উইকেট ভাগাভাগি করেন। তাদের চমৎকারিত্বে অজিরা চারশ ছাড়ানোর আভাস দিলেও পারেনি।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন শাহিন। এছাড়া হারিস রউফ ৩টি ও উসামা মীর শিকার করেন একটি উইকেট।