আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ইসরাইলিরা এখন থেকে ভিসা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ওয়াশিংটনে অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাস এই ঘোষণা দিয়েছে।
চলতি বছর ২৭ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলি নাগরিকদের জন্য এই ভিসা ওয়েভার চালু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে তারা জানিয়েছে, এ সুবিধাটি পুরোদমে পেতে দুই মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। এ পদ্ধতিতে ভিসার পরিবর্তে ভ্রমণ অনুমোদন দেয়া হবে ইলেকট্রনিক সিস্টেমে।
দূতাবাস জানিয়েছে, এখন থেকে ইসরায়েলিরা এই সুবিধার জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন। টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রশাসন সময়ের আগেই কাজ শেষ করেছেন, ফলে দুই মাস শেষ হওয়ার আগেই এই সুবিধা ভোগ করতে পারবে ইসরায়েলিরা।
যুক্তরাষ্ট্রে ভিসামুক্ত এ প্রবেশাধিকার দেয়া হয়েছে ৪১টি দেশের নাগরিকদের।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সাথে যুদ্ধ শুরুর দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে এ ঘোষণা আসায় ইসরাইলিরা বেশ আনন্দিত।
এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১৪০০’রও বেশি ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলি নাগরিকরা এখন ইলেক্ট্রনিক সিস্টেম ট্রাভেল অথোরাইজেশন (ইএসটিএ) এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ৭২ ঘণ্টা আগে আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের আলাদা ভিসা লাগবে না আর। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট লাগবে তাদের।
যেসব দেশ ভিসা প্রোগ্রামে অংশ নিতে চায় তাদের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। ইসরায়েল গত দুই বছরে দুটি মানদণ্ড পূরণ করেছে। তৃতীয় মানদণ্ড পূরণের জন্য লড়াই করছে ইসরায়েল। সেটি হলো ফিলিস্তিনি আমেরিকানসহ যেকোনো মার্কিন নাগরিক যারা ইসরায়েল থেকে ভ্রমণ করবে তাদের সঙ্গে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক আচরণ করতে হবে।
অনেক সমালোচক বলেছেন, আমেরিকান নাগরিক হওয়া সত্ত্বেও, ফিলিস্তিনি আমেরিকানরা ইসরায়েলে ভ্রমণ করার সময় বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
তবে ১৮ বছরের বেশি বয়সী যেসব ইসরাইলির বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট নেই, তারা ইএসটিএ’র মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন না। যাদের ইএসটিএ থেকে প্রত্যাখ্যান করা হবে, তারা সাধারণ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ ছাড়া যেসব ইসরাইলির বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আছে, তারা মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই ভিসার আওতায় দেশটিতে ভ্রমণ করতে পারবেন।
হামাসের সাথে চলমান সংঘাতের শুরু থেকেই ইসরাইলকে সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিকে অস্ত্রসহ নানা সহায়তা করছে মার্কিন সরকার। হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের পক্ষ নিয়ে দফায় দফায় দেশটিতে সফর করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত বুধবার তেল আবিব গিয়েও ইসরাইলের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।