Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় ইসরায়েল দায়ী নয় : বাইডেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইসরায়েলে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েলের বেন গুরিয়ান বিমানবন্দরে অবতরণ করে বাইডেনকে বহনকারী মার্কিন বিমান। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বাইডেনকে অভ্যর্থনা জানান। যুদ্ধের মধ্যেই বুধবার (১৮ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে তেল আবিবে পৌঁছান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

সফরে বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বাইডেন এমন সময় এই সফরে গেলেন, যখন ফিলিস্তিনের গাজার একটি হাসপাতালে বোমা হামলার অভিযোগ উঠেছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। তবে ইসরায়েলে পৌঁছেই বাইডেন বলেছেন, হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় ইসরায়েল দায়ী নয়। বরং এ ঘটনায় অন্যরা দায়ী। গতকাল গাজার হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত এবং ক্ষুব্ধ।

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে বাইডেন বলেছেন, হাসপাতালে বোমা হামলায় আপনি নন, বরং অন্যরা দায়ী। মনে হচ্ছে, এর পেছনে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো রয়েছে।

বাইডেন বলেন, আমি এখানে একটি কারণে উপস্থিত হয়েছি। আমি চাই ইসরায়েলের জনগণ এবং বিশ্ববাসী জানুক, যুক্তরাষ্ট্র কার পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের মেডিকেল ডিরেক্টরকে ডেকেছিল এবং তাকে বলেছিল, আমরা আপনাকে গতকাল দুটি রকেট দিয়ে সতর্ক করেছিলাম, আপনি এখনও হাসপাতালে কেন কাজ করছেন, কেন আপনি হাসপাতালটি খালি করেননি?

বাইডেন বলেন, কিন্তু অনেক মানুষ এই বিষয়ে নিশ্চিত নন। আমাদের অনেক কিছু অতিক্রম করতে হবে। বিশ্ব দেখছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ গণতান্ত্রিক শক্তির মতো ইসরায়েলেরও একটি মূল্যবোধ রয়েছে। তারা তাকিয়ে আমরা কী করতে যাচ্ছি তা দেখার জন্য।

অন্যদিকে নেতানিয়াহু বলেন, হামাসকে পরাজিত করতে সভ্য বিশ্বকে এক হতে হবে। সেভাবেই হামাসকে পরাজিত করতে হবে, যেভাবে আইএসকে করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার গাজার হাসপাতালে বিমান হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছেন ফিলিস্তিনি ও হামাস কর্মকর্তারা। এই হামলায় অন্তত ৫০০ জন নিহতের দাবি করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইসরায়েল হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেছে, ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের ব্যর্থ রকেট উৎক্ষেপণ এই হামলার জন্য দায়ী। গোষ্ঠীটি তা অস্বীকার করেছে।

এই সফরে নেতানিয়াহুর সঙ্গে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের বিষয়ে আলোচনা করবেন বাইডেন। তাছাড়া ইসরায়েল সফর শেষে বুধবার জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ফিলিস্তিন,মিসর ও জর্ডানের নেতাদের সঙ্গে বাইডেনের বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু অবরুদ্ধ গাজার হাসপাতালে হামলার পর পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছে জর্ডান। জর্ডানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি এ তথ্য জানিয়েছেন।

৭ অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের আজ ১২তম দিন। এই সংঘাতে অন্তত তিন হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ৯৪০ শিশু এবং ১ হাজার ৩২ নারী আছেন। অপরদিকে হামাসের হামলায় অন্তত এক হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় ইসরায়েল দায়ী নয় : বাইডেন

প্রকাশের সময় : ১০:১২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

ইসরায়েলে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইসরায়েলের বেন গুরিয়ান বিমানবন্দরে অবতরণ করে বাইডেনকে বহনকারী মার্কিন বিমান। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বাইডেনকে অভ্যর্থনা জানান। যুদ্ধের মধ্যেই বুধবার (১৮ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে তেল আবিবে পৌঁছান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

সফরে বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বাইডেন এমন সময় এই সফরে গেলেন, যখন ফিলিস্তিনের গাজার একটি হাসপাতালে বোমা হামলার অভিযোগ উঠেছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। তবে ইসরায়েলে পৌঁছেই বাইডেন বলেছেন, হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় ইসরায়েল দায়ী নয়। বরং এ ঘটনায় অন্যরা দায়ী। গতকাল গাজার হাসপাতালে বিস্ফোরণের ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত এবং ক্ষুব্ধ।

প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে বাইডেন বলেছেন, হাসপাতালে বোমা হামলায় আপনি নন, বরং অন্যরা দায়ী। মনে হচ্ছে, এর পেছনে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো রয়েছে।

বাইডেন বলেন, আমি এখানে একটি কারণে উপস্থিত হয়েছি। আমি চাই ইসরায়েলের জনগণ এবং বিশ্ববাসী জানুক, যুক্তরাষ্ট্র কার পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের মেডিকেল ডিরেক্টরকে ডেকেছিল এবং তাকে বলেছিল, আমরা আপনাকে গতকাল দুটি রকেট দিয়ে সতর্ক করেছিলাম, আপনি এখনও হাসপাতালে কেন কাজ করছেন, কেন আপনি হাসপাতালটি খালি করেননি?

বাইডেন বলেন, কিন্তু অনেক মানুষ এই বিষয়ে নিশ্চিত নন। আমাদের অনেক কিছু অতিক্রম করতে হবে। বিশ্ব দেখছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ গণতান্ত্রিক শক্তির মতো ইসরায়েলেরও একটি মূল্যবোধ রয়েছে। তারা তাকিয়ে আমরা কী করতে যাচ্ছি তা দেখার জন্য।

অন্যদিকে নেতানিয়াহু বলেন, হামাসকে পরাজিত করতে সভ্য বিশ্বকে এক হতে হবে। সেভাবেই হামাসকে পরাজিত করতে হবে, যেভাবে আইএসকে করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার গাজার হাসপাতালে বিমান হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছেন ফিলিস্তিনি ও হামাস কর্মকর্তারা। এই হামলায় অন্তত ৫০০ জন নিহতের দাবি করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইসরায়েল হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেছে, ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের ব্যর্থ রকেট উৎক্ষেপণ এই হামলার জন্য দায়ী। গোষ্ঠীটি তা অস্বীকার করেছে।

এই সফরে নেতানিয়াহুর সঙ্গে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের বিষয়ে আলোচনা করবেন বাইডেন। তাছাড়া ইসরায়েল সফর শেষে বুধবার জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ফিলিস্তিন,মিসর ও জর্ডানের নেতাদের সঙ্গে বাইডেনের বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু অবরুদ্ধ গাজার হাসপাতালে হামলার পর পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছে জর্ডান। জর্ডানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি এ তথ্য জানিয়েছেন।

৭ অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের আজ ১২তম দিন। এই সংঘাতে অন্তত তিন হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ৯৪০ শিশু এবং ১ হাজার ৩২ নারী আছেন। অপরদিকে হামাসের হামলায় অন্তত এক হাজার ৪০০ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।