Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে জয়ের দেখা পেলো অস্ট্রেলিয়া

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩
  • ২০৮ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দুই দলই এসেছিল তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের খোঁজে। লক্ষ্ণৌয়ে আগে ব্যাটিং করা শ্রীলঙ্কা ইনিংসের লম্বা একটা সময় ছিল দারুণ অবস্থানে। কিন্তু নাটকীয় ধসে ৮৪ রান তুলতে ১০ উইকেট হারিয়ে ২০৯ রানেই থামা শ্রীলঙ্কা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। রান তাড়ায় দিলশান মাদুশঙ্কার এক ওভারে ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথকে হারিয়ে চাপে পড়লেও মিচেল মার্শ, জশ ইংলিসের ফিফটিতে শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে স্বস্তির এ জয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানি থেকে উঠে এসেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। শ্রীলঙ্কাকে বিশ্বকাপে এ নিয়ে টান সপ্তম ম্যাচে হারাল তারা।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) লক্ষ্ণৌতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৩.৩ ওভারে ২০৯ রান তুলে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেছেন কুশল পেরেরা। অজিদের হয়ে ৪৭ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা। জবাবে খেলতে নেমে ৩৫.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে ফিফটি পেয়েছেন মিচেল মার্শ ও জশ ইংলিশ।

শ্রীলঙ্কার দেয়া ২১০ রানের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওপেনিং নামেন মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। এই দুইজন দেখে শুনে খেলে ভালো শুরু এনে দেন। উদ্বোধনী জুটিতে অজি এই দুই ব্যাটার করেন ২৪ রান। দলীয় ৩.১ ওভারের দিলশান মাদুসাংকা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হেঁটে যান ওয়ার্নার। যাওয়ার আগে তিনি করেন ৬ বলে ১১ রান।

এরপর দ্বিতীয় উইকেটে মাঠে নামেন স্টিভেন স্মিথ। তিনি রানের খাতা খোলার আগে আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন। দলীয় ৩.৬ ওভারের দিলশান মাদুশঙ্কার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হেঁটে যান স্মিথ। স্মিথ চলে যাওয়ায় অপর প্রান্তে আগলিয়ে থাকেন মিচেল মিচেল মার্শ। দেখে শুনে খেলে ক্যারিয়ারের ১৮তম অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। ফিফটির পর অবশ্য থিতু হতে পারেননি উইকেটে।

দলীয় ৮১ রানে মহেশ থিকশানার বলে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রান আউটের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নের পথে হেঁটে যান মার্শ। যাওয়ার আগে ৫১ বলে ৫২ রান করেন তিনি। এরপর মাঠে নামেন জশ ইংলিস। তাকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মার্নাস লাবুশেন। এই দুই জনে ৭৭ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেয়। তবে দলীয় ১৫৮ রানে অর্ধশত রান হতে ১০ দূরে থাকতে আউট হন লবুশেন। ৬০ বলে ৪০ করেন।

লাবুশেষন আউট হলেও উইকেটে থিতু হয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ইংলিস। তবে দলীয় ১৯২ রানে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৫.২তম ওভারেই ৮৮ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নেয় অজিরা। বল হাতে লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন দিলশান মাদুসাংকা।

এর আগে লখনৌতে গুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ে টসভাগ্য সহায় হয়েছে শ্রীলঙ্কার। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দাসুন শানাকার চোটে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া কুশল মেন্ডিস।

ওপেনিং জুটিতে দারুণ সূচনা পায় লঙ্কানরা। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের পাত্তা না দিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ১২৫ রান তুলে ফেলেন পাথুম নিশাঙ্কা আর কুশল পেরেরা। অবশেষে ২২তম ওভারে এসে উইকেটের দেখা পায় অস্ট্রেলিয়া। জুটি ভাঙেন অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

কামিন্সকে হুক করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ডেভিড ওয়ার্নারের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হন নিশাঙ্কা। ৬৭ বলে ৬১ রানের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি হাঁকান লঙ্কান ওপেনার। এরপর আরেক সেট ব্যাটার কুশল পেরেরাকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন কামিন্স। ৮২ বলে ১২ বাউন্ডারিতে পেরেরার ব্যাট থেকে আসে ৭৮ রান।

উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দেন লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসকে ব্যক্তিগত ৯ রানেই সাজঘরে ফেরান তিনি। পরের ওভারে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে (৮) ফেলেন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে। ৯ রানের মধ্যে ৩টি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা।

৩২.১ ওভারে ৪ উইকেটে শ্রীলঙ্কা ১৭৮ রান তোলার পর বৃষ্টির জন্য কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। খেলা শুরু হতে না হতেই আরও দুটি উইকেট হারিয়ে বসেছে লঙ্কানরা। মিচেল স্টার্কের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (৭), এরপর রানআউটের কবলে পড়েছেন দুনিথ ওয়াল্লালাগে (২)।

চামিকা করুনারত্নে (২) আর মাহিশ থিকশানাকে (০) এলবিডব্লিউ করেন জাম্পা। লাহিরু কুমারা (৪) হন স্টার্কের বলে বোল্ড। পাঁচ নম্বর ব্যাটার চারিথ আসালাঙ্কা কেবল সতীর্থদের আসা যাওয়া দেখছিলেন।

তিনিই লড়াই করে লঙ্কানদের দুইশ পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। শেষ ব্যাটার হিসেবে তিনিই আউট হয়েছেন, ৩৯ বলে ২৫ করে। শেষ উইকেটটি নেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল বোলার অ্যাডাম জাম্পা। ৪৭ রানে তিনি নিয়েছেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার মিচেল স্টার্ক আর প্যাট কামিন্সের।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজের সুফল পাচ্ছে না মানুষ, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে জয়ের দেখা পেলো অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশের সময় : ১১:৩৪:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দুই দলই এসেছিল তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের খোঁজে। লক্ষ্ণৌয়ে আগে ব্যাটিং করা শ্রীলঙ্কা ইনিংসের লম্বা একটা সময় ছিল দারুণ অবস্থানে। কিন্তু নাটকীয় ধসে ৮৪ রান তুলতে ১০ উইকেট হারিয়ে ২০৯ রানেই থামা শ্রীলঙ্কা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। রান তাড়ায় দিলশান মাদুশঙ্কার এক ওভারে ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথকে হারিয়ে চাপে পড়লেও মিচেল মার্শ, জশ ইংলিসের ফিফটিতে শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে স্বস্তির এ জয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানি থেকে উঠে এসেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। শ্রীলঙ্কাকে বিশ্বকাপে এ নিয়ে টান সপ্তম ম্যাচে হারাল তারা।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) লক্ষ্ণৌতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৩.৩ ওভারে ২০৯ রান তুলে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৮ রান করেছেন কুশল পেরেরা। অজিদের হয়ে ৪৭ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা। জবাবে খেলতে নেমে ৩৫.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে ফিফটি পেয়েছেন মিচেল মার্শ ও জশ ইংলিশ।

শ্রীলঙ্কার দেয়া ২১০ রানের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওপেনিং নামেন মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। এই দুইজন দেখে শুনে খেলে ভালো শুরু এনে দেন। উদ্বোধনী জুটিতে অজি এই দুই ব্যাটার করেন ২৪ রান। দলীয় ৩.১ ওভারের দিলশান মাদুসাংকা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হেঁটে যান ওয়ার্নার। যাওয়ার আগে তিনি করেন ৬ বলে ১১ রান।

এরপর দ্বিতীয় উইকেটে মাঠে নামেন স্টিভেন স্মিথ। তিনি রানের খাতা খোলার আগে আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন। দলীয় ৩.৬ ওভারের দিলশান মাদুশঙ্কার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হেঁটে যান স্মিথ। স্মিথ চলে যাওয়ায় অপর প্রান্তে আগলিয়ে থাকেন মিচেল মিচেল মার্শ। দেখে শুনে খেলে ক্যারিয়ারের ১৮তম অর্ধশতক পূর্ণ করেন তিনি। ফিফটির পর অবশ্য থিতু হতে পারেননি উইকেটে।

দলীয় ৮১ রানে মহেশ থিকশানার বলে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে রান আউটের ফাঁদে পড়ে প্যাভিলিয়নের পথে হেঁটে যান মার্শ। যাওয়ার আগে ৫১ বলে ৫২ রান করেন তিনি। এরপর মাঠে নামেন জশ ইংলিস। তাকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মার্নাস লাবুশেন। এই দুই জনে ৭৭ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেয়। তবে দলীয় ১৫৮ রানে অর্ধশত রান হতে ১০ দূরে থাকতে আউট হন লবুশেন। ৬০ বলে ৪০ করেন।

লাবুশেষন আউট হলেও উইকেটে থিতু হয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ইংলিস। তবে দলীয় ১৯২ রানে ৫৮ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৫.২তম ওভারেই ৮৮ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নেয় অজিরা। বল হাতে লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন দিলশান মাদুসাংকা।

এর আগে লখনৌতে গুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ে টসভাগ্য সহায় হয়েছে শ্রীলঙ্কার। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দাসুন শানাকার চোটে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া কুশল মেন্ডিস।

ওপেনিং জুটিতে দারুণ সূচনা পায় লঙ্কানরা। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের পাত্তা না দিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ১২৫ রান তুলে ফেলেন পাথুম নিশাঙ্কা আর কুশল পেরেরা। অবশেষে ২২তম ওভারে এসে উইকেটের দেখা পায় অস্ট্রেলিয়া। জুটি ভাঙেন অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

কামিন্সকে হুক করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ডেভিড ওয়ার্নারের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হন নিশাঙ্কা। ৬৭ বলে ৬১ রানের ইনিংসে ৮টি বাউন্ডারি হাঁকান লঙ্কান ওপেনার। এরপর আরেক সেট ব্যাটার কুশল পেরেরাকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন কামিন্স। ৮২ বলে ১২ বাউন্ডারিতে পেরেরার ব্যাট থেকে আসে ৭৮ রান।

উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দেন লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। লঙ্কান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসকে ব্যক্তিগত ৯ রানেই সাজঘরে ফেরান তিনি। পরের ওভারে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে (৮) ফেলেন এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে। ৯ রানের মধ্যে ৩টি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা।

৩২.১ ওভারে ৪ উইকেটে শ্রীলঙ্কা ১৭৮ রান তোলার পর বৃষ্টির জন্য কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। খেলা শুরু হতে না হতেই আরও দুটি উইকেট হারিয়ে বসেছে লঙ্কানরা। মিচেল স্টার্কের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (৭), এরপর রানআউটের কবলে পড়েছেন দুনিথ ওয়াল্লালাগে (২)।

চামিকা করুনারত্নে (২) আর মাহিশ থিকশানাকে (০) এলবিডব্লিউ করেন জাম্পা। লাহিরু কুমারা (৪) হন স্টার্কের বলে বোল্ড। পাঁচ নম্বর ব্যাটার চারিথ আসালাঙ্কা কেবল সতীর্থদের আসা যাওয়া দেখছিলেন।

তিনিই লড়াই করে লঙ্কানদের দুইশ পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। শেষ ব্যাটার হিসেবে তিনিই আউট হয়েছেন, ৩৯ বলে ২৫ করে। শেষ উইকেটটি নেন ম্যাক্সওয়েল। অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল বোলার অ্যাডাম জাম্পা। ৪৭ রানে তিনি নিয়েছেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার মিচেল স্টার্ক আর প্যাট কামিন্সের।