নিজস্ব প্রতিবেদক :
দলের নেতাকর্মীদের বর্তমান আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা সবাই এবার রাজপথে নেমে গেছি। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো হতাশা নেই। যারা মাঠে আছে, তাদের মধ্যে হতাশা থাকে না।
রোববার (১৫ অক্টোবর) গুলশানে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে দেশীয়-আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা ও এই মুহূর্তে আমাদের করণীয় শীর্ষক সেমিনার এবং ‘নো কমেন্টস’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তোমরা যে যা বলো ভাই, আমার সোনার হরিণ চাই। আমরা যে যা বলছি, উনি ওনার মতোই ভাবছেন। প্রধানমন্ত্রী জবরদখল করে ক্ষমতায় বসে আছেন।
তিনি বলেন, যুগপৎ আন্দোলন যারা করছি, তাদের মধ্যেও কোনো হতাশা নেই। আমাদের কতো নেতা-কর্মী জীবন দিচ্ছে। তবুও হতাশা নেই। বিজয় আমাদের হবেই। আমাদের নেত্রী, এই অবস্থায়ও আপোস করেননি। নেতা-কর্মীরাও আপোস করবে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগের মতোই নির্বাচন করতে চাচ্ছেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো এবার আর পারবেন না। বাকি সব রাজনৈতিক দল নিয়ে গণতন্ত্র রক্ষায় রাজপথে নেমেছি…লড়াই চালিয়ে যাবো…এ লড়াইয়ে আমরাই বিজয়ী হবো।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্ব যেভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিষয়ে অবস্থান নিয়েছে, তা আমাদের সাহস যোগাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
একটা কথা সবসময় মনে রাখতে হবে, আমরা একা নই। পশ্চিমা বিশ্ব যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তারা আমাদের সাহায্য করছে। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। এই লড়াইয়ে ইতিমধ্যে আমাদের অনেক প্রাণ গেছে, সহস্রাধিক মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। ৪৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। এতে এটাই প্রমাণ করে যে এ দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য তার সমস্ত ত্যাগ স্বীকার করার জন্য প্রস্তুত।’ -বলেন ফখরুল।
খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, এত অসুস্থতা ও নির্যাতনের মধ্যেও খালেদা জিয়া এখনো নতি স্বীকার করেননি। তাই আমি বিশ্বাস করি, আমাদের লড়াই অবশ্যই সফল হবে এবং আমরা গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে সক্ষম হব। একইসঙ্গে আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে আমরা যারা লড়াই করছি, আমাদের লড়াইকে আরও বেগবান করতে হবে। রাজপথে ফয়সালা করার জন্য আমরা নেমেছি। এবং চূড়ান্ত বিজয় অবশ্যই আমরা অর্জন করতে সক্ষম হব। আমি মনে করি, সেখানেই বাংলাদেশের মানুষের দ্বিতীয় মুক্তি সম্ভব হবে।
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান ও দলটির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, আবদুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ।