স্পোর্টস ডেস্ক :
ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপে যাবার আগে কোচ চন্দিকা হাতুরুসিংহে সেমিফাইনালে খেলার ছঁক একে গিয়েছিলেন। চার-পাঁচটি ম্যাচ জিতলে সেমিফাইনালে ওঠা সম্ভব। এমন কমন গণমাধ্যমে এসেই বলেছিলিনে। তবে প্রথম তিন ম্যাচ শেষে চিত্রটা ভিন্ন কথা বলছে।
বিশ্বকাপের শুরুটা আফগানিস্তানকে হারিয়ে দাপটের সঙ্গে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে এরপরেই ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শোচনীয় পরাজয়। সামনে ৬টি ম্যাচ। যার মধ্যে ৪টি বড় প্রতিপক্ষ সাকিব বাহিনীর। এতেই সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন ম্লান হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের। তবে নিরাশার ভেতরেও আশারবাণী শোনালেন টাইগার পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। জানালেন বাকি থাকা ছয় ম্যাচের ছয়টিই জিতে সেমিফাইনালেও যেতে পারে বাংলাদেশ।
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে হেরেহে বাংলাদেশ। আর এরপরেই আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি আনুষ্ঠানিকতা সেরে যেতে চাইছিলেন। তবে পরে মিক্সড জোনে খেলোয়াড় পাঠানোর বাধ্যবাধকতায় বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ দল। দীর্ঘ সময় গণমাধ্যম কর্মীদের অপেক্ষায় রাখা হয়। প্রায় ৩০ মিনিট পর আসেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও সহকারি কোচ নিক পোথাস।
তবে কি বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন শেষ হবে গ্রুপ পর্বেই? সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন কি স্বপ্নই রয়ে যাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ফিজ বলেন, অসম্ভব কোনো কিছু না (সেমিফাইনালে যাওয়া)। আমরা তো ছয় ম্যাচের ছয়টাই জিততে পারি।
মোস্তাফিজকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে, পেশাদার হিসেবে চিন্তা করলে আফসোসের কিছু নেই। ছয় ম্যাচ সামনে আছে। ছয় ম্যাচের ছয়টিই জিততে পারি।
পেসারদের নিয়ে বিশ্বকাপের আগের বছর দুয়েক উচ্ছ্বাস ছিল অনেক। কিন্তু মূল টুর্নামেন্টে এসে ভালো কিছু করতে পারছিলেন না তারা। বিশেষত তাসকিন আহমেদ। তাকে নিয়ে জানতে চাইতেই মোস্তাফিজের জবাব, ‘ও তো খারাপ বোলিং করেনি আজকে। ভালো-খারাপ মিলিয়েই তো।
ভালো-খারাপ বোলিংয়ে তো আর তেমন কিছু যায় আসে না। তাসকিন উইকেট পাচ্ছেন না এটাই সমস্যা। তার আসলে কী হয়েছে? মোস্তাফিজের জবাব, ‘কিছু সময় বোলিং করলেই দেখবেন উইকেট পাবেন। কিছু সময় আল্লাহ-বিল্লাহ করেও উইকেট পাওয়া যায় না।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে। শুরুতে ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। কিন্তু ১৩তম ওভারের পর তাকে আবার আনা হয় ৩৯তম ওভারে। মাঝখানে কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেলের জুটিতে ম্যাচ প্রায় পুরোপুরি নিউজিল্যান্ডের দিকে হেলে গেছে।
মাঝখানে বোলিংয়ে আসলে কী ভালো হতো? মোস্তাফিজের জবাব, ওখানে অধিনায়ক যেটা ভালো মনে করেছে সেটাই। অধিনায়ক যেটা করেছেন, সেটাই ভালো। যে বোলিং করেছে ওখানে, সে তো উইকেট পেতে পারতো।
ব্যাটারদের পারফরম্যান্স আর বোলারদের হতাশা নিয়ে জানতে চাইলে মোস্তাফিজ বলেন, আশা করি সামনে ভালো দিন আসছে। সবসময় সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি এই আর কী। আমরা পেসার পাঁচজন সবসময় একসঙ্গে থাকি। আলাপ-আলোচনা করি।
মোস্তফিজকে সামনে পেয়ে গণমাধ্যমের ছিল কঠিন সব প্রশ্ন। তবে সব প্রশ্নই এড়িয়ে গেছেন দ্য ফিজ। বড় দুই হারের পর দলের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় ফিজ বলেন, আমরা ভালো করার অপশন খুঁজছি। কি করলে ভালো করব। সবাই মিলে কথা বলছিলাম।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কেবল ২৪৫ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। কিউইরা ঐ রান তাড়া করে যায় ৪৩ বল হাতে রেখে। বোলাররা শুরুটা ভালো করলেও নিতে পারেন কেবল দুই উইকেট। মোস্তাফিজ বলেন, আমরা পেসাররা শুরুটা ভালো করেছিলাম। আমাদের যদি আরো ৩০ রান বেশি হতো তাহলে আরো সুযোগ থাকতো। ওরা আরেকটু ঝুঁকি নিয়ে খেলতো। অন্তত ২৮০ এর মতো হলে ভালো কিছু হতো।
ক্যাচ মিস নিয়ে মোস্তাফিজ বলেন, যেটা উইকেট হয়নি, সেটাতো দুর্ভাগ্য বলে লাভ নেই। উইকেট ওরকম ছিল যারা ভালো জায়গায় বোলিং করেছে, তারা সফল হয়েছে।