Dhaka বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাজার সিন্ডিকেট অদৃশ্য, তাদের ধরা কঠিন: পরিকল্পনামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, বাজার সিন্ডিকেট অদৃশ্য। যারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের ধরা কঠিন। বাজার বিশৃঙ্খল করতে একটি গোষ্ঠী সক্রিয়। তবে তাদের শাস্তি দিতে আইনের প্রয়োগ করাটা জরুরি।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে’র উপলক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

এমএ মান্নান বলেন, উদীয়মান অর্থনীতিতে এমন কিছু ব্যত্যয় হয়। যেসব উদ্যোক্তা পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছে, তারা ততটা অভিজ্ঞ না। একটা উদীয়মান অর্থনীতিতে সব সময় চাহিদা ও জোগানের মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকে। স্থিতিশীল বুড়ো অর্থনীতিগুলোর বাজারে একটা ভারসাম্য আছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গেল মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। চলতি মাসেও তা অব্যাহত থাকবে। কারণ বোরোর ফলন ভালো হয়েছে। আশা করা যায়, চালের দাম কমবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি দুনিয়ার কারও নেই। বাজার নিজেকেই নিজে নিয়ন্ত্রণ করে। তবে সরবরাহ, চাহিদা কিছু অনুষঙ্গ আছে। এগুলো নিয়ে তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা যায়।

তিনি বলেন, বাজারের সিন্ডিকেট যদি দেখতে পারতাম, ধরতে পারতাম, তাহলে ব্যবস্থা নিতে পারতাম।

এম এ মান্নান বলেন, শ্রীলঙ্কা আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র, প্রতিবেশী। তুলনা করে লাভ নেই। গত দুই বছর আগে অনেকেই বলেছিলেন যে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে, শুধু বাঁশি বাজানো বাকি, সেটা হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা চাই, শ্রীলঙ্কা ভালো করুক, আমরাও ভালো করতে পারব। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি আকারে আমাদের অর্থনীতির ১০ ভাগের এক ভাগও নয়। কিছু সূচকে শ্রীলঙ্কা আবার আমাদের চেয়ে এগিয়ে। শ্রীলঙ্কা যদি ঘুরে দাঁড়িয়ে থাকে, ভালো। আমি প্রশংসা করি। আমরাও ঘুরে দাঁড়াচ্ছি, দাঁড়াব। ভয় বা সংকটের কোনো বিষয় নেই।’

এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি উদীয়মান। এ ধরনের অর্থনীতিতে কিছু বিকৃতি থাকবেই, লাভ বা মুনাফার সুযোগ নেবেই। এটা মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন ধরনের নিয়ন্ত্রণ বা নিয়ামক সংস্থাকে বিধিবিধান প্রয়োগ করতে হবে। আইনে যা আছে, সেটাকে মাঠে নেমে প্রয়োগ করতে হবে। এখানে কিছু ঘাটতি মাঝেমধ্যে হয়ে যায়। কয়েকটা নিয়ামক সংস্থা আছে, একেবারে নতুন। তাদের তো দাঁত গজাতে হবে। তারা আস্তে আস্তে অভিজ্ঞ হচ্ছে, কাজ করছে।

তিনি বলেন, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সিন্ডিকেট ভাঙা যাবে না। বাজার নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি দুনিয়ায় কারোরই নেই। বাজার নিজেকেই নিজে নিয়ন্ত্রণ করে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট ধরা যায় না, অধরা থেকে যায়। তবে তা সাময়িকভাবে বাজারের ভেতরেই থাকতে পারে। সিন্ডিকেট হয়, সিন্ডিকেট ভাঙে, আবার নতুন সিন্ডিকেট হয়। তবে সরবরাহ ও চাহিদার মতো কিছু অনুষঙ্গ আছে। এগুলো নিয়ে তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা যায়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বাজার সিন্ডিকেট অদৃশ্য, তাদের ধরা কঠিন: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, বাজার সিন্ডিকেট অদৃশ্য। যারা এর সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের ধরা কঠিন। বাজার বিশৃঙ্খল করতে একটি গোষ্ঠী সক্রিয়। তবে তাদের শাস্তি দিতে আইনের প্রয়োগ করাটা জরুরি।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে’র উপলক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

এমএ মান্নান বলেন, উদীয়মান অর্থনীতিতে এমন কিছু ব্যত্যয় হয়। যেসব উদ্যোক্তা পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছে, তারা ততটা অভিজ্ঞ না। একটা উদীয়মান অর্থনীতিতে সব সময় চাহিদা ও জোগানের মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকে। স্থিতিশীল বুড়ো অর্থনীতিগুলোর বাজারে একটা ভারসাম্য আছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গেল মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। চলতি মাসেও তা অব্যাহত থাকবে। কারণ বোরোর ফলন ভালো হয়েছে। আশা করা যায়, চালের দাম কমবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি দুনিয়ার কারও নেই। বাজার নিজেকেই নিজে নিয়ন্ত্রণ করে। তবে সরবরাহ, চাহিদা কিছু অনুষঙ্গ আছে। এগুলো নিয়ে তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা যায়।

তিনি বলেন, বাজারের সিন্ডিকেট যদি দেখতে পারতাম, ধরতে পারতাম, তাহলে ব্যবস্থা নিতে পারতাম।

এম এ মান্নান বলেন, শ্রীলঙ্কা আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র, প্রতিবেশী। তুলনা করে লাভ নেই। গত দুই বছর আগে অনেকেই বলেছিলেন যে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে, শুধু বাঁশি বাজানো বাকি, সেটা হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা চাই, শ্রীলঙ্কা ভালো করুক, আমরাও ভালো করতে পারব। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি আকারে আমাদের অর্থনীতির ১০ ভাগের এক ভাগও নয়। কিছু সূচকে শ্রীলঙ্কা আবার আমাদের চেয়ে এগিয়ে। শ্রীলঙ্কা যদি ঘুরে দাঁড়িয়ে থাকে, ভালো। আমি প্রশংসা করি। আমরাও ঘুরে দাঁড়াচ্ছি, দাঁড়াব। ভয় বা সংকটের কোনো বিষয় নেই।’

এম এ মান্নান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি উদীয়মান। এ ধরনের অর্থনীতিতে কিছু বিকৃতি থাকবেই, লাভ বা মুনাফার সুযোগ নেবেই। এটা মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন ধরনের নিয়ন্ত্রণ বা নিয়ামক সংস্থাকে বিধিবিধান প্রয়োগ করতে হবে। আইনে যা আছে, সেটাকে মাঠে নেমে প্রয়োগ করতে হবে। এখানে কিছু ঘাটতি মাঝেমধ্যে হয়ে যায়। কয়েকটা নিয়ামক সংস্থা আছে, একেবারে নতুন। তাদের তো দাঁত গজাতে হবে। তারা আস্তে আস্তে অভিজ্ঞ হচ্ছে, কাজ করছে।

তিনি বলেন, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সিন্ডিকেট ভাঙা যাবে না। বাজার নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি দুনিয়ায় কারোরই নেই। বাজার নিজেকেই নিজে নিয়ন্ত্রণ করে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট ধরা যায় না, অধরা থেকে যায়। তবে তা সাময়িকভাবে বাজারের ভেতরেই থাকতে পারে। সিন্ডিকেট হয়, সিন্ডিকেট ভাঙে, আবার নতুন সিন্ডিকেট হয়। তবে সরবরাহ ও চাহিদার মতো কিছু অনুষঙ্গ আছে। এগুলো নিয়ে তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা যায়।