Dhaka সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তদের ওপর চাপ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করলেও ক্রেতা পর্যায়ে নাগালে আসছে না দাম। এই অবস্থায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন বাজার করতে আসা মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখনও পর্যাপ্ত সবজি আসেনি, যে কারণে দামও তুলনামূলক কিছুটা বেশি। তবে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে এই দাম কমে আসবে।

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তদের ওপর চাপ আরও বাড়ছে। ফলে বাজারের তালিকায় কাটছাঁট করতে হচ্ছে তাদের। অধিকাংশ মানুষ অস্বাভাবিক বাজার দরে ক্ষোভ প্রকাশও করছেন।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে সিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি, টমেটো ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, মুলা ৭০ টাকা, পটল ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৫০ (কেজি), পেঁপে ২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজি। এ ছাড়াও শসা ৮০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ টাকা (ছোট), বাঁধাকপি ৩০ টাকা (ছোট) দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী কাদের হোসেন বলেন, শুক্রবার এলেই সবজি, মাছ-মাংসের দাম বেড়ে যায়। পরশু বাজার করে নিয়ে গেছি, ঢেঁড়স ছিল ৫০ টাকা, আজকে নাকি ৮০ টাকা। দুইদিনেই দেশে কী এমন হয়ে গেলো যে ৩০ টাকা দাম বেড়ে গেল? তার মানে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম বাড়ায়। আর ব্যবসায়ীদের এই অনিয়ম যেন দেখার কেউ নেই।

তিনি বলেন, হয়তো এই দাম কিছু মানুষের জন্য কিছুই না, আমাদের মতো মধ্য-নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য অনেক কিছু। ৫০০ টাকা বাজারে নিয়ে গেলে ব্যাগ অর্ধেকও ভরে না, অথচ গত বছরখানেক আগেও এমন ছিল না।

বেশ কয়েক মাস হলো ডিমের বাজারে চলছে অস্থিরতা। শেষ এক সপ্তাহে প্রতি হালি ডিমের দাম পাঁচ টাকা বেড়ে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড়বাজারে কিনলে ডিমের ডজন পড়ছে ১৬০ টাকা, যা পাড়া-মহল্লার খুচরা দোকানে ১৬৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ, ভোক্তাদের এখন একটি ডিম কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৫ টাকা। অথচ সরকার প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।

সরকারের দাম বেঁধে দেওয়া আরেক পণ্য পেঁয়াজ। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি এ পণ্যটির দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। এখন দেশি ভালোমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

শুরু ডিম-পেঁয়াজ নয়, বাজারে আলুসহ প্রায় সব ধরনের সবজি ও মাছের দামেও অস্থিরতা রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে অধিকাংশ সবজির দাম আকাশছোঁয়া। পেঁপে ছাড়া অন্য কোনো সবজি ৮০ টাকা কেজির কমে মিলছে না।

অন্যদিকে দর বাড়তি মাছ-মাংসেরও। কেজিতে ১৫ টাকার মতো বেড়ে ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ এবং সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সীমিত আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি কেনে পাঙাশ, চাষের কই ও তেলাপিয়া জাতীয় মাছ। বাজারে এসব মাছের কেজিও এখন ২২০ থেকে ২৮০ টাকা। এছাড়া রুই, কাতলা, কালিবাউশ ও মৃগেল বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়। যা কয়েক সপ্তাহ আগে তুলনায় কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা। চিতল ৪০০-৪৫০ টাকা, সুরমা ২০০, চিংড়ি ৬০০-১০০০ টাকা, পাঙাশ ২৫০ টাকা, কৈ ৩০০-৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০-১৫০ টাকা, পোয়া মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, শিং মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা ও পাবদা ৩০০-৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারের মাছ বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত ইলিশ বেচাবিক্রি হয়েছে। এখন অন্যান্য মাছ বিক্রি করছি। এ ২২ দিন নদীতে ইলিশ শিকার বন্ধ থাকলে সামনে আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যাবে। তখন দামও কিছুটা কম থাকবে। তবে এ কয়দিন চাষের মাছগুলোই নিতে হবে ক্রেতাদের।

বাজারে ডিমের সঙ্গে মুরগির দামও বেড়েছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। এ সপ্তাহে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে কক এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে কক ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজি আর গরুর মাংস ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খিলগাঁও তালতলা বাজারে এনামূল হোসেন নামের একজন ক্রেতা বলেন, সরকার যেসব পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সেগুলোর দামও বাড়ছে। আর যেগুলোর বেঁধে দেয়নি সেগুলো তো আকাশ ছুঁয়েছে। সরকার কিছুতেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। শুধু গণমাধ্যমে বাজার সিন্ডিকেটের কথা বলে দায় এড়ানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা অসহায় মানুষ কি এই সিন্ডিকেটের কারণে না খেয়ে মরবো? আর সেটা বসে বসে দেখবে সরকার! তাহলে কি সরকার ব্যবসায়ীদের জন্য, সাধারণ মানুষের স্বার্থরক্ষার জন্য নয়!

ফরিদ হোসেন নামের একজন বলেন, আমার জন্য বাজার হয়ে উঠেছে অসহনীয়। আগে শখে শখে বাজারে আসতাম। প্রয়োজন না হলেও অনেক কিছু দেখে দেখে কিনতাম। এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসই কিনতে পারছি না। বাজারে যেতে হবে ভাবলেই অস্বস্তি লাগে।

তিনি বলেন, একটার পর একটা জিনিসের দাম বাড়ছে। যা আয় করি তা দিয়ে এখন আর সংসার চলে না। এত দ্রুত খরচ বাড়লে সমন্বয় করবো কীভাবে?

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আড়াই বছরেও শেষ হয়নি সেতু নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তদের ওপর চাপ

প্রকাশের সময় : ১২:২৯:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করলেও ক্রেতা পর্যায়ে নাগালে আসছে না দাম। এই অবস্থায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন বাজার করতে আসা মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে এখনও পর্যাপ্ত সবজি আসেনি, যে কারণে দামও তুলনামূলক কিছুটা বেশি। তবে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে এই দাম কমে আসবে।

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তদের ওপর চাপ আরও বাড়ছে। ফলে বাজারের তালিকায় কাটছাঁট করতে হচ্ছে তাদের। অধিকাংশ মানুষ অস্বাভাবিক বাজার দরে ক্ষোভ প্রকাশও করছেন।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে সিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি, টমেটো ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, মুলা ৭০ টাকা, পটল ৮০, মিষ্টি কুমড়া ৫০ (কেজি), পেঁপে ২৫ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ টাকা কেজি। এ ছাড়াও শসা ৮০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা কেজি, ফুলকপি ৪০ টাকা (ছোট), বাঁধাকপি ৩০ টাকা (ছোট) দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী কাদের হোসেন বলেন, শুক্রবার এলেই সবজি, মাছ-মাংসের দাম বেড়ে যায়। পরশু বাজার করে নিয়ে গেছি, ঢেঁড়স ছিল ৫০ টাকা, আজকে নাকি ৮০ টাকা। দুইদিনেই দেশে কী এমন হয়ে গেলো যে ৩০ টাকা দাম বেড়ে গেল? তার মানে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো দাম বাড়ায়। আর ব্যবসায়ীদের এই অনিয়ম যেন দেখার কেউ নেই।

তিনি বলেন, হয়তো এই দাম কিছু মানুষের জন্য কিছুই না, আমাদের মতো মধ্য-নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য অনেক কিছু। ৫০০ টাকা বাজারে নিয়ে গেলে ব্যাগ অর্ধেকও ভরে না, অথচ গত বছরখানেক আগেও এমন ছিল না।

বেশ কয়েক মাস হলো ডিমের বাজারে চলছে অস্থিরতা। শেষ এক সপ্তাহে প্রতি হালি ডিমের দাম পাঁচ টাকা বেড়ে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড়বাজারে কিনলে ডিমের ডজন পড়ছে ১৬০ টাকা, যা পাড়া-মহল্লার খুচরা দোকানে ১৬৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ, ভোক্তাদের এখন একটি ডিম কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৫ টাকা। অথচ সরকার প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।

সরকারের দাম বেঁধে দেওয়া আরেক পণ্য পেঁয়াজ। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি এ পণ্যটির দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। এখন দেশি ভালোমানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

শুরু ডিম-পেঁয়াজ নয়, বাজারে আলুসহ প্রায় সব ধরনের সবজি ও মাছের দামেও অস্থিরতা রয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। বিশেষ করে অধিকাংশ সবজির দাম আকাশছোঁয়া। পেঁপে ছাড়া অন্য কোনো সবজি ৮০ টাকা কেজির কমে মিলছে না।

অন্যদিকে দর বাড়তি মাছ-মাংসেরও। কেজিতে ১৫ টাকার মতো বেড়ে ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ এবং সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সীমিত আয়ের মানুষ সবচেয়ে বেশি কেনে পাঙাশ, চাষের কই ও তেলাপিয়া জাতীয় মাছ। বাজারে এসব মাছের কেজিও এখন ২২০ থেকে ২৮০ টাকা। এছাড়া রুই, কাতলা, কালিবাউশ ও মৃগেল বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়। যা কয়েক সপ্তাহ আগে তুলনায় কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা। চিতল ৪০০-৪৫০ টাকা, সুরমা ২০০, চিংড়ি ৬০০-১০০০ টাকা, পাঙাশ ২৫০ টাকা, কৈ ৩০০-৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০-১৫০ টাকা, পোয়া মাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, শিং মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা ও পাবদা ৩০০-৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারের মাছ বিক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত ইলিশ বেচাবিক্রি হয়েছে। এখন অন্যান্য মাছ বিক্রি করছি। এ ২২ দিন নদীতে ইলিশ শিকার বন্ধ থাকলে সামনে আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যাবে। তখন দামও কিছুটা কম থাকবে। তবে এ কয়দিন চাষের মাছগুলোই নিতে হবে ক্রেতাদের।

বাজারে ডিমের সঙ্গে মুরগির দামও বেড়েছে। বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। এ সপ্তাহে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে কক এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে কক ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজি আর গরুর মাংস ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খিলগাঁও তালতলা বাজারে এনামূল হোসেন নামের একজন ক্রেতা বলেন, সরকার যেসব পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সেগুলোর দামও বাড়ছে। আর যেগুলোর বেঁধে দেয়নি সেগুলো তো আকাশ ছুঁয়েছে। সরকার কিছুতেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। শুধু গণমাধ্যমে বাজার সিন্ডিকেটের কথা বলে দায় এড়ানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা অসহায় মানুষ কি এই সিন্ডিকেটের কারণে না খেয়ে মরবো? আর সেটা বসে বসে দেখবে সরকার! তাহলে কি সরকার ব্যবসায়ীদের জন্য, সাধারণ মানুষের স্বার্থরক্ষার জন্য নয়!

ফরিদ হোসেন নামের একজন বলেন, আমার জন্য বাজার হয়ে উঠেছে অসহনীয়। আগে শখে শখে বাজারে আসতাম। প্রয়োজন না হলেও অনেক কিছু দেখে দেখে কিনতাম। এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসই কিনতে পারছি না। বাজারে যেতে হবে ভাবলেই অস্বস্তি লাগে।

তিনি বলেন, একটার পর একটা জিনিসের দাম বাড়ছে। যা আয় করি তা দিয়ে এখন আর সংসার চলে না। এত দ্রুত খরচ বাড়লে সমন্বয় করবো কীভাবে?