আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান প্রথমবারের মতো ফোনে কথা বলেছেন। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন দুই নেতা।
মধ্যপ্রাচ্যে দুই পরাশক্তির নেতারা ৪৫ মিনিটে ফোনে কথা বলেছেন। এ সময় ফিলিস্তিনের সবশেষ পরিস্থিতি এবং গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা বন্ধ করা নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বুধবার (১১ অক্টোবর) ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে সম্পর্ক পুনরায় শুরু করার পর দুই নেতার মধ্যে এটি প্রথম ফোনালাপ।
ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিকবিষয়ক ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মোহাম্মদ জামশিদি বলেন, ইব্রাহিম রাইসি ও মোহাম্মদ বিন সালমান প্রথমবারের মতো ফোনে কথা বলেছেন। এ সময় দুই নেতা ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছেন। একই সঙ্গে তারা ইসলামি ঐক্যের ওপর জোর দিয়েছেন।
আলোচনায় তারা এ বিষয়ে ঐক্যমত্য পোষণ করেছেন যে, ফিলিস্তিনে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ সংকেত এবং সেখানে ইসরায়েলের অপরাধ তাদের জন্যই ভয়াবহ নিরাপত্তাহীনতার কারণ হবে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রাইসি এবং সৌদি যুবরাজ ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সৌদি ক্রাউন প্রিন্স নিশ্চিত করেছেন যে, চলমান উত্তেজনা বন্ধ করার জন্য সমস্ত আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পক্ষের সাথে যোগাযোগের জন্য সমস্ত সম্ভাব্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব।
সৌদি আরব এবং ইরান সাত বছরের বৈরিতার পর চীনের মধ্যস্ততায় সম্পর্ক স্থাপন করেছে।
গাজা উপত্যকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১,২০০ জনে দাঁড়িয়েছে। হামাসের আকস্মিক হামলার পর থেকে ষষ্ঠ দিনে ইসরাইলি বাহিনী গাজায় বোমাবর্ষণ বৃদ্ধি করায় প্রাণহানির সংখ্যা বাড়লো।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ইসরাইলের হামলায় ‘শহীদের সংখ্যা বেড়ে ১,২০০ এবং আহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৫,৬০০ জনে দাঁড়িয়েছে।