Dhaka শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রথম যাত্রী হিসেবে ট্রেনে পদ্মা পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রথম যাত্রী হিসেবে নিজে টিকিট কেটে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে মাওয়া স্টেশন থেকে তিনি ট্রেনের টিকিট কাটেন। এসময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রীর ছোটবোন শেখ রেহানা ও প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের তিন শিশু সদস্যও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

একই সময় পদ্মা সেতুর সড়ক ভাগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহর ও আকাশ পথে হেলিকপ্টার মোতায়েন ছিল। বেলা একটা ১৬ মিনিটে পদ্মা সেতু পার হন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় প্রধানমন্ত্রী ট্রেনের জানালা দিয়ে পমত্ত পদ্মা সেতুর রূপ অবলোকন করেন। ট্রেনে বসেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রেনের সংযোগটা হলো, পদ্মা সেতু আমরা নিজেদের অর্থায়নে করতে পেরেছি। যার ফলে আমরা বাংলাদেশের মানুষ; যাদের কথা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাদের কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না। বাংলাদেশের মানুষকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। এর ফলে আমাদের আত্মবিশ্বাসটা এসেছে। এই পদ্মা সেতু নির্মাণের যারা শ্রম দিয়েছে, কাজ করেছে সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর ধন্যবাদ জানাচ্ছি দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন।

পদ্মা সেতুর নিচ লেন দিয়ে যখন ট্রেন যাচ্ছিলো তার উপরের লেনে পাড়ি দেয় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর। রেলপথে স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ভাঙ্গা রেল স্টেশনে পৌঁছাবেন। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা সেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন ক্ষমতাসীন দলের প্রধান শেখ হাসিনা। জনসভা শেষে তিনি পিতৃভূমি গোপালগঞ্জে যাবেন এবং সেখানে একদিন অবস্থান শেষে বুধবার (১১ অক্টোবর) সড়ক পথে ঢাকায় ফিরবেন।

এ ট্রেন যাত্রায় বঙ্গবন্ধুকন্যা সফর সঙ্গী হিসেবে নিয়েছেন রিকশাচালক, দিনমজুর থেকে শুরু করে মসজিদের ইমাম, রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ছোট বোন শেখ রেহানা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বাইরে আরও ৫০ জনকে সফর সঙ্গী হিসেবে নেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর ৫০ জন সফর সঙ্গীর মধ্যে রয়েছেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা ৪ জন, প্রাথমিক ছাত্র-ছাত্রী ৪ জন, প্রাথমিক শিক্ষক ১ জন, মাদরাসা ছাত্রছাত্রী ৩ জন, ইমাম ১ জন, মাদরাসাশিক্ষক ১ জন, ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী ২ জন, হিন্দু ধর্মাবলম্বী ১ জন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ১ জন, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ১ জন, রিকশাচালক ১ জন, কৃষক ১ জন, নারী কৃষক ১ জন, গার্মেন্টসকর্মী ১ জন, ফেরিচালক ১ জন, মাঝি ১ জন, মেট্রোরেল কন্ট্রোলার ১ জন, টিটিই ১ জন, ট্রেনচালক ১ জন, স্টেশন মাস্টার ১ জন, ওয়েম্যান ১ জন, বাসচালক ১ জন, হকার ১ জন, সবজি বিক্রেতা ১ জন, পাটকল শ্রমিক ১ জন, নার্স ১ জন, দিনমজুর ১ জন, জেলা আনসার ও ভিডিপি ১ জন, ভিডিপি ১ জন, পুলিশ ১ জন, ফায়ার সার্ভিস ১ জন, স্কাউট ১ জন, বিএনসিসি ১ জন, র‌্যাব ১ জন, রেল পুলিশ ১ জন, সেনাবাহিনীর ১ জন, নৌবাহিনীর ১ জন, বিমান বাহিনীর ১ জন, বিজিবির ১ জন, কোস্টগার্ডের ১ জন ও আরএনবির ১ জন সদস্য।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে মাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়ে সকাল পৌনে ১১টার দিকে মাওয়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চলতি বর্ষা যশোরের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য, দুর্ভোগে পথচারীরা

প্রথম যাত্রী হিসেবে ট্রেনে পদ্মা পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:০৯:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রথম যাত্রী হিসেবে নিজে টিকিট কেটে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে মাওয়া স্টেশন থেকে তিনি ট্রেনের টিকিট কাটেন। এসময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রীর ছোটবোন শেখ রেহানা ও প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের তিন শিশু সদস্যও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

একই সময় পদ্মা সেতুর সড়ক ভাগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহর ও আকাশ পথে হেলিকপ্টার মোতায়েন ছিল। বেলা একটা ১৬ মিনিটে পদ্মা সেতু পার হন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় প্রধানমন্ত্রী ট্রেনের জানালা দিয়ে পমত্ত পদ্মা সেতুর রূপ অবলোকন করেন। ট্রেনে বসেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রেনের সংযোগটা হলো, পদ্মা সেতু আমরা নিজেদের অর্থায়নে করতে পেরেছি। যার ফলে আমরা বাংলাদেশের মানুষ; যাদের কথা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাদের কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না। বাংলাদেশের মানুষকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। এর ফলে আমাদের আত্মবিশ্বাসটা এসেছে। এই পদ্মা সেতু নির্মাণের যারা শ্রম দিয়েছে, কাজ করেছে সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর ধন্যবাদ জানাচ্ছি দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন।

পদ্মা সেতুর নিচ লেন দিয়ে যখন ট্রেন যাচ্ছিলো তার উপরের লেনে পাড়ি দেয় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর। রেলপথে স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ভাঙ্গা রেল স্টেশনে পৌঁছাবেন। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা সেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন ক্ষমতাসীন দলের প্রধান শেখ হাসিনা। জনসভা শেষে তিনি পিতৃভূমি গোপালগঞ্জে যাবেন এবং সেখানে একদিন অবস্থান শেষে বুধবার (১১ অক্টোবর) সড়ক পথে ঢাকায় ফিরবেন।

এ ট্রেন যাত্রায় বঙ্গবন্ধুকন্যা সফর সঙ্গী হিসেবে নিয়েছেন রিকশাচালক, দিনমজুর থেকে শুরু করে মসজিদের ইমাম, রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ছোট বোন শেখ রেহানা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বাইরে আরও ৫০ জনকে সফর সঙ্গী হিসেবে নেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর ৫০ জন সফর সঙ্গীর মধ্যে রয়েছেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা ৪ জন, প্রাথমিক ছাত্র-ছাত্রী ৪ জন, প্রাথমিক শিক্ষক ১ জন, মাদরাসা ছাত্রছাত্রী ৩ জন, ইমাম ১ জন, মাদরাসাশিক্ষক ১ জন, ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী ২ জন, হিন্দু ধর্মাবলম্বী ১ জন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ১ জন, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ১ জন, রিকশাচালক ১ জন, কৃষক ১ জন, নারী কৃষক ১ জন, গার্মেন্টসকর্মী ১ জন, ফেরিচালক ১ জন, মাঝি ১ জন, মেট্রোরেল কন্ট্রোলার ১ জন, টিটিই ১ জন, ট্রেনচালক ১ জন, স্টেশন মাস্টার ১ জন, ওয়েম্যান ১ জন, বাসচালক ১ জন, হকার ১ জন, সবজি বিক্রেতা ১ জন, পাটকল শ্রমিক ১ জন, নার্স ১ জন, দিনমজুর ১ জন, জেলা আনসার ও ভিডিপি ১ জন, ভিডিপি ১ জন, পুলিশ ১ জন, ফায়ার সার্ভিস ১ জন, স্কাউট ১ জন, বিএনসিসি ১ জন, র‌্যাব ১ জন, রেল পুলিশ ১ জন, সেনাবাহিনীর ১ জন, নৌবাহিনীর ১ জন, বিমান বাহিনীর ১ জন, বিজিবির ১ জন, কোস্টগার্ডের ১ জন ও আরএনবির ১ জন সদস্য।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে মাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়ে সকাল পৌনে ১১টার দিকে মাওয়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।