নিজস্ব প্রতিবেদক :
লোকোমাস্টার (চালক) আবুল কাশেম ২০ বছর ধরে চাকরি করছেন বাংলাদেশ রেলওয়েতে। চাকরি জীবনে বিরল অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, রেলে ২০ বছর চাকরি করছি। এমন উল্লেখযোগ্য দিন আর আসেনি। কখনো আসবে কি না জানি না। রেলে চাকরি জীবনে আমার স্বপ্ন পূরণের দিন আজ।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মুন্সিগঞ্জের মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে গণমাধ্যমের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
এই লোক মাস্টার আসলাম উদ্দিন খান মূল চালক হিসেবে না থাকলেও জরুরি প্রয়োজনে বাড়তি ইঞ্জিন অংশ চালক হিসেবে থাকবেন। যা একইসাথে প্রধানমন্ত্রীকে বহন করা ট্রেনের সাথে ছেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, আজ আমাদের আনন্দের দিন, স্বপ্ন পূরণের দিন। রেলে আমরা যারা কাজ করি, আমাদের স্বপ্নের দিন। আজ আমাদের ট্রেনে যাত্রীসাধারণের সঙ্গে সফরসঙ্গী হবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মো. আসলাম উদ্দিন খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায় স্বপ্নের ট্রেন আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। তিনি রেল বান্ধব সরকার। তার সময়ে রেলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তার হাত ধরেই আজ আমাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমাদের রেলওয়ের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সেলুট জানাই।
তিনি আরও বলেন, এ অনুভূতি আনন্দের, উৎসাহের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ট্রেনে যাচ্ছেন এটাই আমার কাছে চাকরি জীবনে বড় প্রাপ্তি। এটি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না, আমরা গর্বিত। উচ্ছ্বাসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করছি। পদ্মা সেতু তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রী যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন… প্রথমে হবে কি হবে না. এমন দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন বলেই সম্ভব হয়েছে।
চাকরি জীবনে এর চেয়ে স্বরণীয় ঘটনা রয়েছে কি না জানতে চাইলে আবুল কাশেম বলেন, না এত বড় স্মরণীয় ঘটনা ঘটেনি। আজ পূর্বের সব ঘটনাকে পেছনে ফেলে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমিই পদ্মা সেতু দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালিয়ে প্রথম পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছি।
তিনি বলেন, ট্রেনের কোঅপারেটর হিসেবে আছি। আমার সঙ্গে আছে আরও ২ জুনিয়র।
মো. আসলাম উদ্দিন খান বলেন, আমি মূল ট্রেনের সামনে থাকবো। আমার পেছনের অংশে প্রধানমন্ত্রীকে বহন করা ট্রেন থাকবে।
উল্লেখ্য, প্রমত্তা পদ্মার বুকে স্থাপিত স্বপ্নের সেতুতে রেলসংযোগ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন সেতুতে চলা ট্রেনের লোক মাস্টার হিসেবে থাকবেন (চালক) আবুল আবুল কাশেম। এছাড়াও লোক মাস্টার হিসেবে থাকবেন আহসান উদ্দিন ও রবিউল ইসলাম।