নিজস্ব প্রতিবেদক :
পদ্মা সেতু হয়ে দেশের দক্ষিণের পথে রেল যোগাযোগের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ডিজিটাল সুইচ টিপে তিনি উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন। এরপর দোয়া ও মোনাজত করা হয়।
এর মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলে রেলের নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। যার ফলে পণ্য আনা-নেওয়া সহজ হওয়ার পাশাপাশি প্রসার হবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প কারখানার। যা অবদান রাখবে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে।
এর আগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সড়ক পথে গণভবন থেকে মাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মাওয়ায় পৌঁছান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা।
রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, মুন্সিগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী প্রমুখ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানস্থলে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য ও স্থানীয় জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘবে পদ্মা সেতুতে সড়ক যোগাযোগ, রাজধানীর যানজট নিরসনে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধনের ধারাবাহিকতায় ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধন করা হলো। ঢাকা-যশোর ১৭২ কিলোমিটার রেলসংযোগ প্রকল্পের মধ্যে প্রথম দফায় এই রেলপথ উদ্বোধন হলো।
রেল মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুক্ষণের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে চড়ে ভাঙ্গার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। রেলপথে স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ভাঙ্গা রেল স্টেশনে পৌঁছাবেন। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা সেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন ক্ষমতাসীন দলের প্রধান শেখ হাসিনা। জনসভা শেষে তিনি পিতৃভূমি গোপালগঞ্জে যাবেন এবং সেখানে একদিন অবস্থান শেষে বুধবার (১১ অক্টোবর) সড়ক পথে ঢাকায় ফিরবেন।