Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রার্থীর এজেন্টের ভূমিকা যথাযথ হলে কারচুপি ঠেকানো সম্ভব : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে, আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মিডিয়ার বক্তব্য শুনে থাকি। নির্বাচনে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টের ভূমিকা যদি যথাযথ হয় তাহলে কারচুপি পরাভূত করা সম্ভব বলে মনে হয়।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে ‘অবাধ ভোটাধিকার, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সিইসি বলেন, নির্বাচনে শক্তি প্রয়োগ করার বিষয় চিরকালই হয়ে আসছে। প্রদান উদ্দেশ্য হচ্ছে ভোটাদের ভোটাধিকার। কী কী অনিয়ম হতে পারে সে বিষয়ে আমরা জানতে চাই। সেটা জানতে পারলে আমরা হয়তো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারব।

এ কর্মশালায় আমন্ত্রিত অতিথি সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ জানান, প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোটে দলগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিতে ইসির করার কিছু না থাকলেও, সবার সহযোগিতা নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এজেন্টদের সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। নির্বাচনি কর্মকর্তারা সাহসী ভূমিকা পালন করলে এজেন্টরাও সাহসী ভূমিকা পালন করবে। তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে নির্বাচন অনেকটা এগিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, দলগুলো নিবন্ধিত হয় ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য। কোনও কারণে কোনও দল অংশ না নিলে করার কিছু থাকে না। কিন্তু কমিশন ভোটারসহ সবাইকে আশ্বস্ত করবে, ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। আশা করি, বর্তমান কমিশন একটা সুন্দর নির্বাচনের ব্যবস্থা নেবে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, রাজনৈতিক বিবদমান পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণমূলক ভোট নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। (সব দলকে ভোটে আনা) এটা ইসির দায়িত্ব নয়, রাজনৈতিক দলের ভূমিকা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রার্থীকে অবশ্যই সব কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট দিতে হবে। যদি না দেয়, জবাবদিহির মধ্যে আনা যায় না। এজেন্ট বের করে দিচ্ছে, শুধু হাওয়ার মধ্যে অভিযোগ দিলে হবে না। প্রার্থীর একটা দায় রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকেও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে।

এ নির্বাচন সামনে রেখে ধারাবাহিক কর্মশালার দ্বিতীয় ধাপে বুধবার সাবেক সহকর্মী ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বসেছে ইসি। এর আগে সেপ্টেম্বরেও এক দফা কর্মশালার আয়োজন করে।

বৈঠকে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা অংশ নিয়েছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

প্রার্থীর এজেন্টের ভূমিকা যথাযথ হলে কারচুপি ঠেকানো সম্ভব : সিইসি

প্রকাশের সময় : ০১:১০:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা নিষ্ঠার সঙ্গে, আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মিডিয়ার বক্তব্য শুনে থাকি। নির্বাচনে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টের ভূমিকা যদি যথাযথ হয় তাহলে কারচুপি পরাভূত করা সম্ভব বলে মনে হয়।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে ‘অবাধ ভোটাধিকার, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সিইসি বলেন, নির্বাচনে শক্তি প্রয়োগ করার বিষয় চিরকালই হয়ে আসছে। প্রদান উদ্দেশ্য হচ্ছে ভোটাদের ভোটাধিকার। কী কী অনিয়ম হতে পারে সে বিষয়ে আমরা জানতে চাই। সেটা জানতে পারলে আমরা হয়তো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারব।

এ কর্মশালায় আমন্ত্রিত অতিথি সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ জানান, প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোটে দলগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিতে ইসির করার কিছু না থাকলেও, সবার সহযোগিতা নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এজেন্টদের সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। নির্বাচনি কর্মকর্তারা সাহসী ভূমিকা পালন করলে এজেন্টরাও সাহসী ভূমিকা পালন করবে। তারা যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে নির্বাচন অনেকটা এগিয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, দলগুলো নিবন্ধিত হয় ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য। কোনও কারণে কোনও দল অংশ না নিলে করার কিছু থাকে না। কিন্তু কমিশন ভোটারসহ সবাইকে আশ্বস্ত করবে, ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। আশা করি, বর্তমান কমিশন একটা সুন্দর নির্বাচনের ব্যবস্থা নেবে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, রাজনৈতিক বিবদমান পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণমূলক ভোট নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। (সব দলকে ভোটে আনা) এটা ইসির দায়িত্ব নয়, রাজনৈতিক দলের ভূমিকা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রার্থীকে অবশ্যই সব কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট দিতে হবে। যদি না দেয়, জবাবদিহির মধ্যে আনা যায় না। এজেন্ট বের করে দিচ্ছে, শুধু হাওয়ার মধ্যে অভিযোগ দিলে হবে না। প্রার্থীর একটা দায় রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকেও সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে।

এ নির্বাচন সামনে রেখে ধারাবাহিক কর্মশালার দ্বিতীয় ধাপে বুধবার সাবেক সহকর্মী ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বসেছে ইসি। এর আগে সেপ্টেম্বরেও এক দফা কর্মশালার আয়োজন করে।

বৈঠকে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা অংশ নিয়েছেন।