আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মিসরের ইসমালিয়া শহরে সুয়েজ খাল সংলগ্ন পুলিশ কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। এখন পর্যন্ত ৩৮ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) ভোর রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে এবং স্থানীয় হাসপাতালগুলোকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। আগুন লাগার কারণ এখনও অজানা এবং সরকারও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।
সোমবার (২ অক্টোবর) ভোরে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হলেও এখনো আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, শহরের নিরাপত্তা অধিদফতরটি থেকে দাউ দাউ করে আগুনের লেলিহান শিখা উঠেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ভবনটির মূল সম্মুখভাগটি ধসে পড়েছে।
কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভাতে সক্ষম হন দমকলকর্মীরা। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে ঘটনাস্থলে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং বাকি ২৬ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সেখানে পুলিশ ২৪ ঘন্টা কর্মরত থাকে। সিভিল ডিফেন্স সূত্র জানায়, আগুনের কারণে নিরাপত্তা অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের কিছু অংশ ধসে পড়ে। মিসরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘটনাস্থলে ৫০টি অ্যাম্বুলেন্স এবং দুটি সামরিক বিমান পাঠিয়েছে।
একজন মিসরীয় সাংবাদিক বলেছেন, আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ার কারণে মৃত্যু হতে পারে বা আহতদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে সকালে ভোরো মিসরের ইসমাইলিয়া শহরের একটি পুলিশ কমপ্লেক্সে ভয়াবহ আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, নিরাপত্তা অধিদপ্তরে ভবন থেকে দাউ দাউ করে আগুনের শিখা বের হচ্ছে। তখন দুইজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছিল, দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে।
ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে বের করে আনতে দেখা গেলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না। তবে এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে আগুনে কেউ নিহত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
মারাত্মক আগুনের ঘটনাগুলো মিসরে একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে অনেক ভবন জরাজীর্ণ এবং রক্ষণাবেক্ষণও সঠিকভাবে করা হয় না।
দুইজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে দমকলের ইঞ্জিন পাঠানো হয়েছে কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই কয়েকজনকে বের করে আনতে দেখা গেলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়।
স্থানীয় বেসামরিক প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই আগুনে ভবনের কিছু অংশ ধসে পড়েছে। এতে প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে।
মিশরে অগ্নিকাণ্ড অবশ্য বেশ সাধারণ ঘটনা। উত্তর আফ্রিকার এই দেশটির বহু ভবন জরাজীর্ণ এবং খারাপভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। ২০২২ সালের আগস্টে শর্ট সার্কিটের কারণে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে কায়রোর একটি গির্জায় ৪১ জন উপাসকের প্রাণহানি হয়।
এর আগে ২০২১ সালের মার্চ মাসে রাজধানীর একটি টেক্সটাইল মিলে আগুনে কমপক্ষে ২০ জন প্রাণ হারায়। তারও আগে ২০২০ সালে দু’টি হাসপাতালের আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।